যাত্রাবাড়ীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত : কালশীতে গুলিবিদ্ধ লাশ
যাত্রাবাড়ীতে
পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো: রাসেল (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি রাসেল পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে। অপর দিকে
রাসেলের পরিবার দাবি করেছে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ। এ
দিকে, ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ
উদ্ধার করা হয়েছে। তার লাশ হাসপাতাল মর্গে আছে। এ দিকে রাসেলকে নিয়ে গত ২৪
দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘গাড়িচাপায়’ ২৬
জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী নিহতের ঘটনা ঘটল।
যাত্রাবাড়ীতে নিহত রাসেল সম্পর্কে পুলিশ বলেছে, ডিবি পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাসেলের নামে কোনো মামলা নেই। সে ছিল দোকান কর্মচারী। কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃত্ততা তার ছিল না।
গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাসেলের লাশ শনাক্ত করেন বড় ভাই মো: আকাশ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসেল তার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে নদীর ওপার কেরানীগঞ্জে যাবে বলে জানায়। এর পর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। টেলিভিশনের স্ক্রলে যাত্রাবাড়ীতে অজ্ঞাত ব্যক্তি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার সংবাদ দেখে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। এরপর তিনি ভাই রাসেলের লাশ শনাক্ত করেন। তিনি জানান, নিহত রাসেল চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তার স্ত্রীর নাম শেফালী বেগম। এক সন্তানের জনক ছিলেন রাসেল। পাগলা ভরেরবাজার ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জে পরিবার নিয়ে থাকতেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আকাশ দাবি করেন, রাসেল পাগলায় তার মালিকানাধীন বৈশাখী মোবাইল সার্ভিসে কাজ করত। তার নামে কোনো থানায় কোনো মামলা নেই। তবে চার-পাঁচ মাস আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় রাসেল কয়েক বন্ধুসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। রাসেল কোনো রাজনীতিও করত না। ও শুধু দোকানে কাজ করত।
এ দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর হুমায়ুন সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, গত রোববার রাত পৌনে ৪টার দিকে মাতুয়াইল কনকর্ড টাওয়ার ও কাঠেরপুল এলাকায় ডিবি পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। ডিবি তখন আত্ম রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পৌনে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। রাসেলের বাবার নাম আবদুর রব সরকার। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাগদা আগৈলছড়ায়।
এ দিকে, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত (৩০) যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তার পরনে ছিল চেক শার্ট ও ছাই রঙের প্যান্ট।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার সাব ইন্সপেক্টর বেনজির আহমেদ কালশী নতুন রাস্তার মোটর ওয়ার্কশপের দক্ষিণ পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশটি উদ্ধার করে। তার ডান কানের পাশে ও বাম পাঁজরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, দুষ্কৃতকারীরা শারীরিক নির্যাতনের পর তাকে গুলি করে ফেলে যায়। তার লাশ হাসপাতাল মর্গে আছে। গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত লাশের খোঁজে কেউ হাসপাতাল মর্গে যায়নি।
যাত্রাবাড়ীতে নিহত রাসেল সম্পর্কে পুলিশ বলেছে, ডিবি পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাসেলের নামে কোনো মামলা নেই। সে ছিল দোকান কর্মচারী। কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃত্ততা তার ছিল না।
গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাসেলের লাশ শনাক্ত করেন বড় ভাই মো: আকাশ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসেল তার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে নদীর ওপার কেরানীগঞ্জে যাবে বলে জানায়। এর পর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। টেলিভিশনের স্ক্রলে যাত্রাবাড়ীতে অজ্ঞাত ব্যক্তি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার সংবাদ দেখে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। এরপর তিনি ভাই রাসেলের লাশ শনাক্ত করেন। তিনি জানান, নিহত রাসেল চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তার স্ত্রীর নাম শেফালী বেগম। এক সন্তানের জনক ছিলেন রাসেল। পাগলা ভরেরবাজার ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জে পরিবার নিয়ে থাকতেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আকাশ দাবি করেন, রাসেল পাগলায় তার মালিকানাধীন বৈশাখী মোবাইল সার্ভিসে কাজ করত। তার নামে কোনো থানায় কোনো মামলা নেই। তবে চার-পাঁচ মাস আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় রাসেল কয়েক বন্ধুসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। রাসেল কোনো রাজনীতিও করত না। ও শুধু দোকানে কাজ করত।
এ দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর হুমায়ুন সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, গত রোববার রাত পৌনে ৪টার দিকে মাতুয়াইল কনকর্ড টাওয়ার ও কাঠেরপুল এলাকায় ডিবি পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। ডিবি তখন আত্ম রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পৌনে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। রাসেলের বাবার নাম আবদুর রব সরকার। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাগদা আগৈলছড়ায়।
এ দিকে, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত (৩০) যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তার পরনে ছিল চেক শার্ট ও ছাই রঙের প্যান্ট।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার সাব ইন্সপেক্টর বেনজির আহমেদ কালশী নতুন রাস্তার মোটর ওয়ার্কশপের দক্ষিণ পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশটি উদ্ধার করে। তার ডান কানের পাশে ও বাম পাঁজরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, দুষ্কৃতকারীরা শারীরিক নির্যাতনের পর তাকে গুলি করে ফেলে যায়। তার লাশ হাসপাতাল মর্গে আছে। গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত লাশের খোঁজে কেউ হাসপাতাল মর্গে যায়নি।
No comments