আমিন জুট মিল- খাল দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ
(চট্টগ্রাম আমিন জুট মিলের পাশে প্রবাহিত খালটির জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এতে সংকুচিত হয়ে পড়েছে খাল। ছবিটি গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জুট মিল এলাকা থেকে তোলা l প্রথম আলো) চট্টগ্রাম
আমিন জুট মিলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত খালের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবৈধভাবে দখল
করে ঘরবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় দখলদারেরা। এতে পুরো খাল সংকুচিত হয়ে
পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই মিলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, আমিন জুট মিলের কেরানি লাইনের শুরুতে খালের
প্রবেশমুখে টিনের ঘর তুলেছেন আমিনা আক্তার নামের এক নারী। এতে প্রবেশমুখটি
সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কেরানি লাইনের পাশে দখল না হলেও এর বিপরীত পাশে
ক্রমাগত দখল হচ্ছে খালের জায়গা। দখলদারেরা প্রথমে মাটি দিয়ে অল্প অল্প
অংশ ভরাট করেছেন। তারপর সেখানে বালুর বস্তা ফেলে ও বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করা
হয়েছে। এর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে টিনের ঘর।
আমিন জুট মিলের নিরাপত্তাকর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৯৮০ সালে যখন মিলে কাজ শুরু করি, তখন খালের প্রশস্ততা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ ফুট। আর এখন খালের বেশির ভাগ অংশের প্রশস্ততা ৫ থেকে ১০ ফুটের বেশি হবে না। বৃষ্টির সময় পানি আটকে গিয়ে আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।’ আমিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাই দুই বছর আগে এখানে ঘর তৈরি করে থাকছি। কেউ এখন পর্যন্ত বাধা দেয়নি।’
খালের ভেতর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত বছরের ২২ অক্টোবর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে চিঠি দেন আমিন জুট মিলের উপমহাব্যবস্থাপক জ্যোৎস্না আফরোজ। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, মিলসহ পুরো এলাকার পানিপ্রবাহের একমাত্র মাধ্যম খালটি মিলের ইঅ্যান্ডএফ কোয়ার্টারের (কেরানি কলোনি) পাশ দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়েছে। এর ভেতর ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় তা পানি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি অতিবর্ষণের ফলে খালের পানি তীব্রভাবে প্রবাহিত হওয়ায় উত্তর দিকে, অর্থাৎ জুট মিলের পাশে ব্যাপক ভূমিধস হয়। এতে খালের পাড়ে অবস্থিত ইঅ্যান্ডএফ কোয়ার্টার, মিলের আবাসিক স্থাপনা, পাকা গোডাউন, সীমানাপ্রাচীরসহ মিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ভূসম্পত্তি হুমকির মুখে পড়েছে। খাল সংকুচিত হয়ে না পড়লে এমনটি হতো না।
এদিকে সিটি করপোরেশনের ভূসম্পত্তি বিভাগ তদন্তে খাল দখলের প্রমাণ পেয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় মফিজ ভান্ডারী, আলফু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মনোয়ারা বেগম, শাহ আলম, মো. জসিমসহ ১২ জন খালের জায়গা দখল করে টিনশেড ঘর তৈরি করেছেন।
তাঁদের মধ্যে আলফু মিয়া, শাহ আলম ও মনোয়ারা বেগমের তৈরি করা ঘরগুলোয় গিয়ে এ প্রতিনিধি কাউকে পাননি। সেখানে থাকা ভাড়াটেদের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কেউ মালিকদের মুঠোফোন নম্বর দিতে পারেননি। আবুল কালাম, শওকত আলী ও সুফিয়া খাতুন নামের কয়েকজন ভাড়াটে জানান, তাঁরা এক থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়ে এসব ঘরে ভাড়া থাকেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর (৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর) এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, খালের জায়গা উদ্ধার করতে করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেয়র ভূসম্পত্তি বিভাগকে খালের জায়গা দখলমুক্ত করার ব্যাপারে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আমিন জুট মিলের নিরাপত্তাকর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৯৮০ সালে যখন মিলে কাজ শুরু করি, তখন খালের প্রশস্ততা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ ফুট। আর এখন খালের বেশির ভাগ অংশের প্রশস্ততা ৫ থেকে ১০ ফুটের বেশি হবে না। বৃষ্টির সময় পানি আটকে গিয়ে আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।’ আমিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাই দুই বছর আগে এখানে ঘর তৈরি করে থাকছি। কেউ এখন পর্যন্ত বাধা দেয়নি।’
খালের ভেতর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত বছরের ২২ অক্টোবর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে চিঠি দেন আমিন জুট মিলের উপমহাব্যবস্থাপক জ্যোৎস্না আফরোজ। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, মিলসহ পুরো এলাকার পানিপ্রবাহের একমাত্র মাধ্যম খালটি মিলের ইঅ্যান্ডএফ কোয়ার্টারের (কেরানি কলোনি) পাশ দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়েছে। এর ভেতর ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় তা পানি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি অতিবর্ষণের ফলে খালের পানি তীব্রভাবে প্রবাহিত হওয়ায় উত্তর দিকে, অর্থাৎ জুট মিলের পাশে ব্যাপক ভূমিধস হয়। এতে খালের পাড়ে অবস্থিত ইঅ্যান্ডএফ কোয়ার্টার, মিলের আবাসিক স্থাপনা, পাকা গোডাউন, সীমানাপ্রাচীরসহ মিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ভূসম্পত্তি হুমকির মুখে পড়েছে। খাল সংকুচিত হয়ে না পড়লে এমনটি হতো না।
এদিকে সিটি করপোরেশনের ভূসম্পত্তি বিভাগ তদন্তে খাল দখলের প্রমাণ পেয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় মফিজ ভান্ডারী, আলফু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মনোয়ারা বেগম, শাহ আলম, মো. জসিমসহ ১২ জন খালের জায়গা দখল করে টিনশেড ঘর তৈরি করেছেন।
তাঁদের মধ্যে আলফু মিয়া, শাহ আলম ও মনোয়ারা বেগমের তৈরি করা ঘরগুলোয় গিয়ে এ প্রতিনিধি কাউকে পাননি। সেখানে থাকা ভাড়াটেদের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কেউ মালিকদের মুঠোফোন নম্বর দিতে পারেননি। আবুল কালাম, শওকত আলী ও সুফিয়া খাতুন নামের কয়েকজন ভাড়াটে জানান, তাঁরা এক থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়ে এসব ঘরে ভাড়া থাকেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর (৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর) এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, খালের জায়গা উদ্ধার করতে করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেয়র ভূসম্পত্তি বিভাগকে খালের জায়গা দখলমুক্ত করার ব্যাপারে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments