মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দিকেই ত্রুটি দেখছে
বাংলাদেশের
জন-অসন্তোষের মেয়াদ ও ব্যাপ্তি যে এতটা টেকসই হতে পারে তা বিস্ময়কর। ১৯৭১
সালে দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামকালে যারা যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল তাদের
শাস্তি দানের ঘটনায় ২০১৩ সালে প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল। ২০১৩ সালের প্রতিবাদ
কর্মসূচিতে যদি কোন নীতিগত বিষয় থেকে থাকে, তাহলে এখন সেটাই এক অনভিজ্ঞ
ক্ষমতার লড়াই হিসেবে ফিরে এসেছে। দেশটির রাজনীতি প্রধানত দুই বৃহৎ দল-
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিভক্ত। যে দু’জন এই দল দুটির নেতৃত্ব
দিয়েছেন, তারা উভয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকা দুই পরিবার থেকে এসেছেন, একটি
ধর্মনিরপেক্ষ ঘরানার অন্যটি ইসলামভিত্তিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল
সংসদের ৩শ’ আসনের মধ্যে ২৩২টি আসনে জয়লাভ করে, তবে ভোটের হার ছিল মাত্র
৩৯.৮ ভাগ। কারণ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হওয়ার
যুক্তি দেখিয়ে বিএনপি নির্বাচন বয়কট করেছিল।
শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি গত এক মাসের বেশি সময় ধরে অবরোধ কর্মসূচি পালন করায় বাংলাদেশ হিংসা কবলিত রয়েছে। ৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েকশ’ গাড়ি ভাঙচুর বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসে পাবনায় বোমা হামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং ৭ হাজারের বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় এবং সাময়িক সময়ের জন্য সরকার তার বাড়ির বিদ্যুৎসংযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখে। শাসকরা মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবলিত সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর আইন প্রয়োগে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। বিএনপি ও তার মিত্ররা তবুও প্রতিবাদ বজায় রাখতে সক্ষম হচ্ছে। কারণ, বিরোধীদলীয় কর্মীদের কারারুদ্ধ করা এবং তাদের প্রতিবাদের ওপর ক্রাকডাউন চালানোয় ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং মাঝামাঝি কোন অবস্থানে তেমন কোন চেষ্টা চালানোর পরিবর্তে অন্যত্র যেভাবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক ডাইনেস্টি আচরণ করে থাকে তারা তেমনই করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দিকে ত্রুটি লক্ষ্য করছে। তারা বাসে অগ্নিসংযোগ এবং ট্রেনলাইনচ্যুত করার মতো ঘটনাকে ‘বিবেকহীন আক্রমণ’ বলে সমালোচনা এবং একই সঙ্গে সরকারের প্রতি ‘শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের’ এবং একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের অধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। এখন যদি উভয় পক্ষ এসব কথা শোনে।
[ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় গত ৮ই ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ আবার বিশৃঙ্খলার আবর্তে শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়র হুবহু তরজমা।]
শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি গত এক মাসের বেশি সময় ধরে অবরোধ কর্মসূচি পালন করায় বাংলাদেশ হিংসা কবলিত রয়েছে। ৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েকশ’ গাড়ি ভাঙচুর বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসে পাবনায় বোমা হামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং ৭ হাজারের বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় এবং সাময়িক সময়ের জন্য সরকার তার বাড়ির বিদ্যুৎসংযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখে। শাসকরা মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবলিত সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর আইন প্রয়োগে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। বিএনপি ও তার মিত্ররা তবুও প্রতিবাদ বজায় রাখতে সক্ষম হচ্ছে। কারণ, বিরোধীদলীয় কর্মীদের কারারুদ্ধ করা এবং তাদের প্রতিবাদের ওপর ক্রাকডাউন চালানোয় ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং মাঝামাঝি কোন অবস্থানে তেমন কোন চেষ্টা চালানোর পরিবর্তে অন্যত্র যেভাবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক ডাইনেস্টি আচরণ করে থাকে তারা তেমনই করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দিকে ত্রুটি লক্ষ্য করছে। তারা বাসে অগ্নিসংযোগ এবং ট্রেনলাইনচ্যুত করার মতো ঘটনাকে ‘বিবেকহীন আক্রমণ’ বলে সমালোচনা এবং একই সঙ্গে সরকারের প্রতি ‘শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের’ এবং একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের অধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। এখন যদি উভয় পক্ষ এসব কথা শোনে।
[ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় গত ৮ই ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ আবার বিশৃঙ্খলার আবর্তে শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়র হুবহু তরজমা।]
No comments