‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ প্রস্তাবে অসন্তুষ্ট বিচারকেরা- প্রশাসনের কর্মকর্তা বিচার বিভাগের বদলি তালিকায়
প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তাকে বিচার বিভাগে কর্মরত দেখিয়ে বদলির প্রস্তাব করেছে আইন মন্ত্রণালয়। শতরুপা তালুকদার নামের ওই কর্মকর্তাকে কক্সবাজারের সহকারী জজ উল্লেখ করে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি করা হয়েছে। অথচ এ নামে কোনো কর্মকর্তা কক্সবাজার কিংবা বিচার বিভাগেও নেই।
অথচ গত ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে বিচার বিভাগে কর্মরত যে ১৫৮ কর্মকর্তার বদলির প্রস্তাব পাঠানো হয়, তাতে ৬ নম্বরে এই নামটি রয়েছে।
জানা যায়, শতরুপা তালুকদার নামে প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা মূলত রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার পদে কর্মরত।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, সাধারণত যেখানে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিজ জেলায় পদায়ন না করলেও কাছাকাছি জেলায় বদলি করা হয়। কিন্তু এবারের বদলির প্রস্তাবে অনেককেই অনেক দূরের জেলায় বদলি করতে বলা হয়েছে। আবার একজন বিচারককে তাঁর নিজ জেলাতেই বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে। ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ এ প্রস্তাব নিয়ে অনেক সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজ এবং বিচারিক হাকিমদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি করেছে বলেও জানা গেছে।
এরই মধ্যে ৪৫ জন বিচারক তাঁদের কর্মস্থল বদলির প্রস্তাব পুনির্ববেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে আবেদন (রিপ্রেজেনটেশন) জমা দিয়েছেন। তাতে তাঁরা বলছেন, বদলির এ প্রস্তাব বাস্তবসংগত নয়।
বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের বদলির প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক (জিএ) কমিটি তা অনুমোদন করে। এরপর আইন মন্ত্রণালয় গেজেট জারি করে।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫৮ জন কর্মকর্তার বদলির একটি আদেশ গত ২৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে যায়। এর পরেই কর্মকর্তারা ওই তালিকার বিষয়ে জানতে পারেন।
প্রস্তাবে দেখা যায়, বান্দরবানে যাঁর বাড়ি, তাঁকে কুড়িগ্রামে বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে। কয়েকজন নারী কর্মকর্তাকেও নিজ জেলা থেকে অনেক দূরের জেলায় বদলি করতে বলা হয়েছে, যা তাঁদের জন্য ভোগান্তি হলে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। দূরের জেলায় বদলির তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বড় অংশের বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগে। আবার উত্তরাঞ্চলের একজন বিচারককে তাঁর নিজ জেলাতেই বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেন, তালিকাটি যে গুরুত্ব দিয়ে করা হয়নি, তার বড় প্রমাণ তালিকার ৬ নম্বরে থাকা শতরুপা তালকুদার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শতরুপার বিচার বিভাগ ও প্রশাসন—দুটিতেই চাকরি হয়েছিল। কিন্তু তিনি যোগ দেন প্রশাসন ক্যাডারে। ফলে কক্সবাজারের সহকারী জজ হিসেবে টাঙ্গাইলে বদলির প্রস্তাব অবাস্তব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রথম আলোকে জানান, তিনি বিষয়টি যাচাই করে দেখবেন।
অথচ গত ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে বিচার বিভাগে কর্মরত যে ১৫৮ কর্মকর্তার বদলির প্রস্তাব পাঠানো হয়, তাতে ৬ নম্বরে এই নামটি রয়েছে।
জানা যায়, শতরুপা তালুকদার নামে প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা মূলত রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার পদে কর্মরত।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, সাধারণত যেখানে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিজ জেলায় পদায়ন না করলেও কাছাকাছি জেলায় বদলি করা হয়। কিন্তু এবারের বদলির প্রস্তাবে অনেককেই অনেক দূরের জেলায় বদলি করতে বলা হয়েছে। আবার একজন বিচারককে তাঁর নিজ জেলাতেই বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে। ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ এ প্রস্তাব নিয়ে অনেক সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজ এবং বিচারিক হাকিমদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি করেছে বলেও জানা গেছে।
এরই মধ্যে ৪৫ জন বিচারক তাঁদের কর্মস্থল বদলির প্রস্তাব পুনির্ববেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে আবেদন (রিপ্রেজেনটেশন) জমা দিয়েছেন। তাতে তাঁরা বলছেন, বদলির এ প্রস্তাব বাস্তবসংগত নয়।
বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের বদলির প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক (জিএ) কমিটি তা অনুমোদন করে। এরপর আইন মন্ত্রণালয় গেজেট জারি করে।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫৮ জন কর্মকর্তার বদলির একটি আদেশ গত ২৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে যায়। এর পরেই কর্মকর্তারা ওই তালিকার বিষয়ে জানতে পারেন।
প্রস্তাবে দেখা যায়, বান্দরবানে যাঁর বাড়ি, তাঁকে কুড়িগ্রামে বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে। কয়েকজন নারী কর্মকর্তাকেও নিজ জেলা থেকে অনেক দূরের জেলায় বদলি করতে বলা হয়েছে, যা তাঁদের জন্য ভোগান্তি হলে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। দূরের জেলায় বদলির তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বড় অংশের বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগে। আবার উত্তরাঞ্চলের একজন বিচারককে তাঁর নিজ জেলাতেই বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেন, তালিকাটি যে গুরুত্ব দিয়ে করা হয়নি, তার বড় প্রমাণ তালিকার ৬ নম্বরে থাকা শতরুপা তালকুদার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শতরুপার বিচার বিভাগ ও প্রশাসন—দুটিতেই চাকরি হয়েছিল। কিন্তু তিনি যোগ দেন প্রশাসন ক্যাডারে। ফলে কক্সবাজারের সহকারী জজ হিসেবে টাঙ্গাইলে বদলির প্রস্তাব অবাস্তব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রথম আলোকে জানান, তিনি বিষয়টি যাচাই করে দেখবেন।
No comments