খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার হুমকি- কার্যালয়ের ৩৫ গজ দূরে জমায়েত
(রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক লীগের নেতা–কর্মীদের অবস্থান। তাঁরা গতকাল কার্যালয়টি ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তাঁরা সেখানেই বিক্ষোভ করেন l ছবি: প্রথম আলো) অবিলম্বে
হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি
দাবি জানিয়েছে সরকার-সমর্থক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ। সংগঠনটি হুমকি দিয়ে
বলেছে, কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে খালেদা জিয়াকে ঘেরাও করে তাঁকে
অবরুদ্ধ করে রাখা হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের
কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতারা এ হুমকি দেন। শ্রমিক লীগের
দুই-তিন হাজার নেতা-কর্মী দুই দফা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে গুলশানের ৮৬
নম্বর সড়কে অবস্থিত খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের প্রায় ৩৫ গজের মধ্যে পৌঁছে
যায়। ওই সড়ক দিয়ে কার্যালয়ে যেতে দুটি বাড়ির আগে গুলশান মডেল স্কুলের
ফটক বরাবর বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। অবশ্য এরপর ব্যারিকেড ভেঙে
সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ যেতে দেয়নি। সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে
পুলিশ শ্রমিকদের আর সামনে এগোতে দেয়নি। ওই কার্যালয়ের এত কাছে এর আগে আর
কোনো সংগঠন কর্মসূচি নিয়ে যেতে পারেনি।
গতকাল কর্মসূচিতে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ, ঢাকা মহানগর ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলার ইউনিটগুলো অংশ নেয়। ঢাকার বিভিন্ন থানা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শ্রমিকেরা প্রথমে গুলশান ২ নম্বরের কাছে ডিসিসি মার্কেটের সামনে জড়ো হন। এরপর খালেদা জিয়ার বাড়ি ও কার্যালয়ে যাওয়ার প্রধান সড়ক গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরের কাছে জড়ো হন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের ওখানেই আটকে দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেন শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান। এতে পুলিশ নমনীয় হয়। অবশ্য পুলিশ মিছিলকারীদের ৮৬ নম্বর সড়কের প্রবেশমুখ পর্যন্ত যেতে দেবে বলে নেতাদের জানায়। পুলিশের সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার আগেই বেলা পৌনে ১২টার দিকে শ্রমিকেরা পুলিশদের ধাক্কা দিয়ে সামনে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে মিছিলের সামনের কর্মীরা খালেদার বাড়ির দিকে যেতে চাইলে ৯১ নম্বর সড়ক থেকে সংগঠনের নেতারা মিছিলকারীদের ঘুরিয়ে কার্যালয়ের দিকে নিয়ে যান। মিছিলকারীদের ৯০ নম্বর সড়ক থেকে ৮৬ নম্বরে ঢোকার মুখে পুলিশ আটকে দেয়। সেখানে মিছিলকারীদের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। প্রায় ১০ মিনিট ধাক্কাধাক্কির পর পুলিশকে পেছনে ফেলে বিক্ষোভকারীরা আরও প্রায় ২০ থেকে ২৫ গজ সামনে মডেল স্কুলের সামনে চলে আসে। সেখানে পুলিশের আরেকটি দল বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে শুক্কুর মাহামুদ ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও হরতালে হতাহত হচ্ছেন সাধারণ শ্রমিক। যানবাহনে পেট্রলবোমা মারা হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। তাই তাঁরা খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করে তাঁদের দাবির কথা জানাতে এসেছিলেন। শুক্কুর মাহামুদ শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, জ্বালাও-পোড়াও ও হরতাল-অবরোধ বন্ধ না হলে পরে তাঁরা খালেদার বাড়ি ঘেরাও করে তাঁকে অবরুদ্ধ করবেন।
গতকাল কর্মসূচিতে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ, ঢাকা মহানগর ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলার ইউনিটগুলো অংশ নেয়। ঢাকার বিভিন্ন থানা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শ্রমিকেরা প্রথমে গুলশান ২ নম্বরের কাছে ডিসিসি মার্কেটের সামনে জড়ো হন। এরপর খালেদা জিয়ার বাড়ি ও কার্যালয়ে যাওয়ার প্রধান সড়ক গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরের কাছে জড়ো হন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের ওখানেই আটকে দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেন শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান। এতে পুলিশ নমনীয় হয়। অবশ্য পুলিশ মিছিলকারীদের ৮৬ নম্বর সড়কের প্রবেশমুখ পর্যন্ত যেতে দেবে বলে নেতাদের জানায়। পুলিশের সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার আগেই বেলা পৌনে ১২টার দিকে শ্রমিকেরা পুলিশদের ধাক্কা দিয়ে সামনে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে মিছিলের সামনের কর্মীরা খালেদার বাড়ির দিকে যেতে চাইলে ৯১ নম্বর সড়ক থেকে সংগঠনের নেতারা মিছিলকারীদের ঘুরিয়ে কার্যালয়ের দিকে নিয়ে যান। মিছিলকারীদের ৯০ নম্বর সড়ক থেকে ৮৬ নম্বরে ঢোকার মুখে পুলিশ আটকে দেয়। সেখানে মিছিলকারীদের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। প্রায় ১০ মিনিট ধাক্কাধাক্কির পর পুলিশকে পেছনে ফেলে বিক্ষোভকারীরা আরও প্রায় ২০ থেকে ২৫ গজ সামনে মডেল স্কুলের সামনে চলে আসে। সেখানে পুলিশের আরেকটি দল বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে শুক্কুর মাহামুদ ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও হরতালে হতাহত হচ্ছেন সাধারণ শ্রমিক। যানবাহনে পেট্রলবোমা মারা হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। তাই তাঁরা খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করে তাঁদের দাবির কথা জানাতে এসেছিলেন। শুক্কুর মাহামুদ শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, জ্বালাও-পোড়াও ও হরতাল-অবরোধ বন্ধ না হলে পরে তাঁরা খালেদার বাড়ি ঘেরাও করে তাঁকে অবরুদ্ধ করবেন।
No comments