প্রকাশ্যে কোন পক্ষের সমর্থন বা বিরোধিতা করতে চাইছে না ভারত
সারা
দুনিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতরা এখন দিল্লিতে। নিয়মিত বার্ষিক বৈঠকে
যোগ দিতে গেছেন তারা। তবে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের
বিষয়টি একটু আলাদা। রুটিন বৈঠকের পাশাপাশি বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতি
নিয়েও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে ব্রিফ করেছেন তিনি।
যে আলোচনায় উঠে এসেছে মূলত তিনটি বিষয়-
১. বাংলাদেশের পরিস্থিতি সামলাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে প্রতিবেশী ভারতকে তারা আশ্বস্ত করেছে।
২. ভারত একটা ব্যাপারে খুব সতর্ক। তারা প্রকাশ্যে অন্তত কোন পক্ষের সমর্থন বা বিরোধিতা করতে চাইছে না। তারা চাইছেন বাংলাদেশের সঙ্কটটা দ্রুত মিটুক। কিন্তু সে সমাধানে যেন ভারতের কোন ছায়া না দেখা যায়।
৩. বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো হাত মিলিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়লে এবং সেই সরকার ভারতের স্বার্থের দিকেও খেয়াল রাখলে তাতে সাউথ ব্লকের অসুবিধা নেই।
এ বৈঠক সম্পর্কে গতরাতে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ গতকাল দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেছেন বলে বিবিসি জানতে পেরেছে। ভারত এ বৈঠক নিয়ে সরকারিভাবে একেবারেই মুখ খোলেনি। বরং তারা এ বৈঠকের গুরুত্ব একটু খাটো করে দেখাচ্ছে। বলছে, এটা একটা নিয়মিত রুটিন বার্ষিক বৈঠক। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে এ মুহূর্তে রাজনীতি বা নিরাপত্তা পরিস্থিতি যে পর্যায়ে তাতে এ বৈঠকটাকে রুটিন বৈঠক ঠিক বলা যাচ্ছে না সঙ্গত কারণেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিবিসি যেটা জানতে পেরেছে তা হলো- মি. শরণ তার মন্ত্রীকে এটাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার এখনও মনে করছে যে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। দরকারে তারা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতেও প্রস্তুত। কিন্তু ইমার্জেন্সি বা সামরিক বাহিনী নামার মতো অবস্থা এখনও হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বিবিসিকে আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে বা তিনি আপসের জন্য প্রস্তুত- এমন কোন ইঙ্গিত তারা কিন্তু পাননি। বরং তিনি আরও কড়া হাতে সহিংসতার মোকাবিলা করবেন বলে কথা দিয়েছেন। উল্টো দিকে ঢাকাতে ভারতীয় হাইকমিশনের মূল্যায়ন বলা চলে যে, বিরোধী বিএনপির পেছনে যথেষ্ট পপুলার সাপোর্ট থাকা সত্ত্বেও গত একমাসের টানা অবরোধ বা পেট্রলবোমা হামলার জেরে সেই জনপ্রিয়তাতেও কিন্তু আস্তে আস্তে ভাটার টান পড়ছে। সাধারণ মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, বিরক্ত হয়ে পড়ছেন বলেই তাদের ধারণা। কিন্তু ভারত একটা ব্যাপারে খুব সতর্ক। তারা প্রকাশ্যে অন্তত কোন পক্ষের সমর্থন বা বিরোধিতা করতে চাইছেন না। তারা চাইছেন বাংলাদেশের সঙ্কটটা দ্রুত মিটুক। কিন্তু সে সমাধানে যেন ভারতের কোন ছায়া না দেখা যায়।
ভারত বাংলাদেশের সঙ্কটের ঠিক কি ধরনের সমাধান দেখতে চাইছে এর উত্তরে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, যে সমাধানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরবে- সেটাই তাদের কাম্য। তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিদ্যুৎ, রেল পরিবহন ইত্যাদি নানা খাতে ভারতীয় কোম্পানিগুলো শত শত কোটি টাকা লগ্নি করেছে। এই টানা অবরোধ অস্থিরতায় সেই বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। অর্থনীতির দিক থেকে বাংলাদেশের এই যে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বটা ভারতের কাছে সেটার জন্যই তারা একটা সুস্থির গণতান্ত্রিক কাঠামো চান যেটা ব্যবসা- বাণিজ্যকে সাহায্য করবে। মুশকিল হলো, বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলটা ঐতিহাসিকভাবে জটিল এবং রক্তাক্ত। এখনও সেরকম চেষ্টা হলে তারই পুনরাবৃত্তি হবে বলে ভারতের আশঙ্কা। কিন্তু ধরা যাক বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো হাত মিলিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়লো। এবং সেই সরকার ভারতের স্বার্থের দিকেও খেয়াল রাখলো, তাতে আমাদের অসুবিধা কোথায়। ভারতের সাউথ ব্লকের কর্তারা এমন কথাও বলছেন। যদিও তারা খুব ভালো করেই জানেন সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
যে আলোচনায় উঠে এসেছে মূলত তিনটি বিষয়-
১. বাংলাদেশের পরিস্থিতি সামলাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে প্রতিবেশী ভারতকে তারা আশ্বস্ত করেছে।
২. ভারত একটা ব্যাপারে খুব সতর্ক। তারা প্রকাশ্যে অন্তত কোন পক্ষের সমর্থন বা বিরোধিতা করতে চাইছে না। তারা চাইছেন বাংলাদেশের সঙ্কটটা দ্রুত মিটুক। কিন্তু সে সমাধানে যেন ভারতের কোন ছায়া না দেখা যায়।
৩. বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো হাত মিলিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়লে এবং সেই সরকার ভারতের স্বার্থের দিকেও খেয়াল রাখলে তাতে সাউথ ব্লকের অসুবিধা নেই।
এ বৈঠক সম্পর্কে গতরাতে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ গতকাল দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেছেন বলে বিবিসি জানতে পেরেছে। ভারত এ বৈঠক নিয়ে সরকারিভাবে একেবারেই মুখ খোলেনি। বরং তারা এ বৈঠকের গুরুত্ব একটু খাটো করে দেখাচ্ছে। বলছে, এটা একটা নিয়মিত রুটিন বার্ষিক বৈঠক। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে এ মুহূর্তে রাজনীতি বা নিরাপত্তা পরিস্থিতি যে পর্যায়ে তাতে এ বৈঠকটাকে রুটিন বৈঠক ঠিক বলা যাচ্ছে না সঙ্গত কারণেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিবিসি যেটা জানতে পেরেছে তা হলো- মি. শরণ তার মন্ত্রীকে এটাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার এখনও মনে করছে যে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। দরকারে তারা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতেও প্রস্তুত। কিন্তু ইমার্জেন্সি বা সামরিক বাহিনী নামার মতো অবস্থা এখনও হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বিবিসিকে আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে বা তিনি আপসের জন্য প্রস্তুত- এমন কোন ইঙ্গিত তারা কিন্তু পাননি। বরং তিনি আরও কড়া হাতে সহিংসতার মোকাবিলা করবেন বলে কথা দিয়েছেন। উল্টো দিকে ঢাকাতে ভারতীয় হাইকমিশনের মূল্যায়ন বলা চলে যে, বিরোধী বিএনপির পেছনে যথেষ্ট পপুলার সাপোর্ট থাকা সত্ত্বেও গত একমাসের টানা অবরোধ বা পেট্রলবোমা হামলার জেরে সেই জনপ্রিয়তাতেও কিন্তু আস্তে আস্তে ভাটার টান পড়ছে। সাধারণ মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, বিরক্ত হয়ে পড়ছেন বলেই তাদের ধারণা। কিন্তু ভারত একটা ব্যাপারে খুব সতর্ক। তারা প্রকাশ্যে অন্তত কোন পক্ষের সমর্থন বা বিরোধিতা করতে চাইছেন না। তারা চাইছেন বাংলাদেশের সঙ্কটটা দ্রুত মিটুক। কিন্তু সে সমাধানে যেন ভারতের কোন ছায়া না দেখা যায়।
ভারত বাংলাদেশের সঙ্কটের ঠিক কি ধরনের সমাধান দেখতে চাইছে এর উত্তরে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, যে সমাধানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরবে- সেটাই তাদের কাম্য। তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিদ্যুৎ, রেল পরিবহন ইত্যাদি নানা খাতে ভারতীয় কোম্পানিগুলো শত শত কোটি টাকা লগ্নি করেছে। এই টানা অবরোধ অস্থিরতায় সেই বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। অর্থনীতির দিক থেকে বাংলাদেশের এই যে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বটা ভারতের কাছে সেটার জন্যই তারা একটা সুস্থির গণতান্ত্রিক কাঠামো চান যেটা ব্যবসা- বাণিজ্যকে সাহায্য করবে। মুশকিল হলো, বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলটা ঐতিহাসিকভাবে জটিল এবং রক্তাক্ত। এখনও সেরকম চেষ্টা হলে তারই পুনরাবৃত্তি হবে বলে ভারতের আশঙ্কা। কিন্তু ধরা যাক বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো হাত মিলিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়লো। এবং সেই সরকার ভারতের স্বার্থের দিকেও খেয়াল রাখলো, তাতে আমাদের অসুবিধা কোথায়। ভারতের সাউথ ব্লকের কর্তারা এমন কথাও বলছেন। যদিও তারা খুব ভালো করেই জানেন সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
No comments