‘হাত দুইটা ভালো হবে তো’ -রিক্সাচালক ফজলুর আকুতি by মহিউদ্দীন জুয়েল
হাসপাতালের
বেডে শুয়ে ফরিয়াদ জানাচ্ছিলেন ফজলুর রহমান (৫০)। বারবারই বলছিলেন, আমার
হাত দুইটা ভালো হবে তো। আমি আবার আগের মতো রিক্সা চালাতে পারবো তো। মেয়েটার
সামনে এসএসসি পরীক্ষা। কিভাবে টাকা জোগাড় হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে শনিবার সকালে শোনা যায় এমনি সব আকুতি।
শুক্রবার রাতে যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে অবরোধকারীদের ছোড়া পেট্রল বোমায় ঝলসে
গেছে ফজলুর দুই হাত। পুড়ে গেছে শরীরের ৩০ শতাংশ জায়গা।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ওইদিন রাতেই ভর্তি করা হয় বার্ন ইউনিটে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফজলু। বলেন, জীবনে কোনদিন কারো ক্ষতি করি নাই। তাহলে আমার এই অবস্থা হলো কেনো। কোথা থেকে আগুন আইসা পড়লো বুঝতে পারি নাই। মুর্হতেই সব দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো। তিনি জানান, দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত বেঁচে রয়েছেন। নিজে পড়ালেখা করতে পারেননি। তাই আদরের মেয়েটিকে স্কুলে দিয়েছিলেন। তার পড়াশোনার খরচ যোগাতে রিক্সা চালাচ্ছেন। পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে এক ছেলে-একমেয়ে। অভাবের সংসারে অল্প বয়সে তাই ছেলেটিকেও হাল ধরতে চালাতে হচ্ছে অটোরিক্সা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় দাড়িয়ে কাঁদছিলেন ছেলে আমিনুর রহমান।
মানবজমিনকে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি-আওয়ামী লীগ করিনা। সহিংসতা আমাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। বাবার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এখন এতো টাকা কোথা থেকে আনবো জানিনা।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ দিন আগে বাবা বোনের পড়াশোনার খরচ নিতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন গ্রামের বাড়ি থেকে। ঘটনার দিন অতিরিক্ত আয়ের আশায় রিক্সা নিয়ে ভাড়ায় বেরিয়েছিলেন। কিন্তু পরে শুনি তাকে পেট্টোল বোমা মারা হয়েছে।
ফজলুর রহমানের ছেলে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, শুক্রবার রাত ১০টায় নগরীর কর্ণেল হাট এলাকায় যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের দিকে ফিরছিলেন রিক্সাচালক ফজলু। এই সময় হঠাৎ উড়ে এসে তার গায়ে পুড়ে পেট্টোল বোমা।
মুর্হতেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে আগুন। আল্লাগো বলে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। এরপর লোকজন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। আহত ফজলু তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে শহরের আকবর শাহ থানার কর্নেল হাট এলাকার বিশ্ব কলোনীতে উঠেছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগার ধামইরহাট থানার ঈষৎপুর এলাকায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মিশমা সুলতানা বলেন, তার দুই হাত ঝলসে গেছে। ক্ষত বেশি। শুকাতে সময় লাগবে। সুস্থ হতে কতোদিন লাগবে কিংবা আদৌ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে কিনা তা এখনি বলতে পারছি না। তার শরীরের ৩০ শতাংশ জায়গা পুড়ে গেছে।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ওইদিন রাতেই ভর্তি করা হয় বার্ন ইউনিটে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফজলু। বলেন, জীবনে কোনদিন কারো ক্ষতি করি নাই। তাহলে আমার এই অবস্থা হলো কেনো। কোথা থেকে আগুন আইসা পড়লো বুঝতে পারি নাই। মুর্হতেই সব দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো। তিনি জানান, দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত বেঁচে রয়েছেন। নিজে পড়ালেখা করতে পারেননি। তাই আদরের মেয়েটিকে স্কুলে দিয়েছিলেন। তার পড়াশোনার খরচ যোগাতে রিক্সা চালাচ্ছেন। পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে এক ছেলে-একমেয়ে। অভাবের সংসারে অল্প বয়সে তাই ছেলেটিকেও হাল ধরতে চালাতে হচ্ছে অটোরিক্সা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় দাড়িয়ে কাঁদছিলেন ছেলে আমিনুর রহমান।
মানবজমিনকে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি-আওয়ামী লীগ করিনা। সহিংসতা আমাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। বাবার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এখন এতো টাকা কোথা থেকে আনবো জানিনা।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ দিন আগে বাবা বোনের পড়াশোনার খরচ নিতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন গ্রামের বাড়ি থেকে। ঘটনার দিন অতিরিক্ত আয়ের আশায় রিক্সা নিয়ে ভাড়ায় বেরিয়েছিলেন। কিন্তু পরে শুনি তাকে পেট্টোল বোমা মারা হয়েছে।
ফজলুর রহমানের ছেলে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, শুক্রবার রাত ১০টায় নগরীর কর্ণেল হাট এলাকায় যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের দিকে ফিরছিলেন রিক্সাচালক ফজলু। এই সময় হঠাৎ উড়ে এসে তার গায়ে পুড়ে পেট্টোল বোমা।
মুর্হতেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে আগুন। আল্লাগো বলে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। এরপর লোকজন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। আহত ফজলু তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে শহরের আকবর শাহ থানার কর্নেল হাট এলাকার বিশ্ব কলোনীতে উঠেছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগার ধামইরহাট থানার ঈষৎপুর এলাকায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মিশমা সুলতানা বলেন, তার দুই হাত ঝলসে গেছে। ক্ষত বেশি। শুকাতে সময় লাগবে। সুস্থ হতে কতোদিন লাগবে কিংবা আদৌ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে কিনা তা এখনি বলতে পারছি না। তার শরীরের ৩০ শতাংশ জায়গা পুড়ে গেছে।
No comments