বৃষ্টিতে দুর্ভোগ আখেরি মোনাজাত আজ by ইকবাল আহমেদ সরকার ও এম. এ হায়দার সরকার
তাবলীগ
জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মুসলিমদের জিকির-আজকারের
মধ্য দিয়ে গতকাল বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে।
আজ সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাত
পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সা’দ। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দুই
পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। তবে শনিবার ভোর রাতে ইজতেমা ময়দানসহ আশেপাশের
এলাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানিতে ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা। এ
কারণে ফজরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় একাধিক জামাতে। তবে মুসল্লিরা জানিয়েছেন,
বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মুসুল্লিদের ইজতেমার মুরব্বি প্রকৌশলী
মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, শনিবার গভীর রাতে বিশ্ব ইজতেমাস্থল ও আশপাশের
এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে ময়দানের মুসল্লিদের অনেকেই ভিজে
গেছেন। ভিজে যায় তাদের বিছানা-কাপড়-চোপড়ও। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় শনিবার
দুপুরে বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বিরা এক বৈঠকে বসেন। পরে আবহাওয়া পরিস্থিতি
সাময়িকভাবে ভাল হয়ে যাওয়ায় রোববার আখেরি মোনাজাতের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এ
পর্বেও ইজতেমা ময়দানে শতাধিক যৌতুকবিহীন বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বাদ
জোহর মাওলানা নুরুল হক ইমান, আমল, জাহান্নাম, জান্নাত ও দাওয়াতে মেহনতের
উপর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান রাখেন।
বয়ান: তিনি বলেন, দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। মহান আল্লাহর কাছে আমল ছাড়া দুনিয়ার জিন্দেগির কোন মূল্য নাই। দুনিয়ার কামাই রোজগার দুনিয়াতেই কাজে লাগবে, আখেরাতে কোন কাজে লাগবে না। যখন মায়ের পেটে ছিলাম তখন বুঝতে পারি নাই পৃথিবী যে এতো বড়। আবার পৃথিবী থেকে বুঝতে পারছি না যে আখেরাত কত বড়। তিনি আরও বলেন, জান্নাত হলো চিরস্থায়ী শান্তির জায়গা। জান্নাতে একবার কেউ গেলে সেখান থেকে আর বের হবে না। জান্নাতের জমিনের ঘাস হবে জাফরানের মতো। জান্নাতের ইটের জোড়া হবে রুপার আর প্লাস্টার হবে হিরা-মুক্তা-জহরত দিয়ে। দুনিয়াতে যার যে পরিমাণ গুনাহ্ হবে পরকালে সে পরিমাণ শাস্তি ভোগ করবে। তাবলীগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা নুরুল হক অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তার বয়ানে বলেন, মহান আল্লাহ্র প্রতি কারোনের কোন বিশ্বাস ছিল না। সে নিজের অর্জিত সম্পদকে আল্লাহ্র সম্পদ বলে স্বীকার করতো না। বরং নিজেকে এসব সম্পদের একছত্র মালিক মনে করতো। তার সেই সম্পদ দুনিয়াতে কোন কাজে আসে নাই। ইমান, আমল, আখলাক ভাল থাকলে এবং দুনিয়ার সম্পদ আল্লাহ্র পথে কুরবান করলে আখেরাতে কামিয়াব হওয়া যায়। জান-মাল আল্লাহ্র পথে খরচ করলে আল্লাহ্ আরও বাড়িয়ে দেন। মাওলানা নুরুল হক দুনিয়ার ভিআইপিদের নিয়ে গর্ব-অহঙ্কারের বিষয় তুলে ধরে তার বয়ানে আরও বলেন, দুনিয়ার যত ভিআইপি আছে সবাইকে একসঙ্গে করে ওজন দিলে একজন নবী-রাসুলের (সা.) একটি আঙুলের সমানও হবে না। তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি মহান আল্লাহ্র হেদায়েতনামা মেনে চলে তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব হবে। দুনিয়ার মানুষকে আল্লাহ্র পথে ডাকার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসুল পাঠানো হয়েছে এবং আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবন বিধানও পাঠানো হয়েছে। দাওয়াতের মাধ্যমে মানুষের ইমান মজবুত হয়। ইমান মজবুত হলে আল্লাহ্র সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল্লাহ্র সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলে দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবী হয়। গত শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আনুষ্ঠাকিভাবে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান শুরু হয়।
ইজতেমায় থেমে থেমে বৃষ্টি: শুক্রবার রাতে বিশ্ব ইজতেমাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ব্যাপী বৃষ্টিতে ময়দানের মুসল্লিদের অনেকেই কাকভেজা হন। ভিজে যায় তাদের বিছানা-কাপড়-চোপড়ও। একদিকে শীত অন্যদিকে বৃষ্টিতে মুসল্লিরা পড়েন সাময়িক ভোগান্তিতে। শনিবার গভীর রাতের দিকে ওই বৃষ্টি শুরু হয় চলে প্রায় সাড়ে চারটা পর্যন্ত। পরে সাময়িক বিরতি দিয়ে শনিবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় এবং থেমে থেমে চলতে থাকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
কুড়িগ্রাম থেকে বিশ্ব ইজতেমায় আগত নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা নুরুল আমিন জানান, ভোর রাতে হালকা বৃষ্টি হয়। তাদের সামিয়ানার নিচে কোন টিন বা পলিথিন সিট না থাকায় বৃষ্টির পানি নিচে পড়ে তাদের বিছানাসহ মালসামানা হালকা ভিজে গেছে। চটের ছামিয়ানা চুইয়ে ময়দানের খিত্তায় খিত্তায় পানি পড়তে থাকায় মুসল্লিরা যার যার সামানা হেফাজতে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ছাড়া বৃষ্টিতে কিছুটা শীত বেড়েছে। ইজতেমায় তিনি সাময়িক ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও এটাকে তিনি আল্লাহর রহমত হিসেবেই মনে করেন।
টঙ্গীতে হঠাৎ পলিথিন সিটের দাম বৃদ্ধি: বৃষ্টির কারণে মুসল্লিদের পলিথিন সিটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ ইজতেমাস্থলের আশেপাশের বাজারে ব্যবসায়ীরা পলিথিন সিটের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বিদেশী মুসল্লিদের প্রতিক্রিয়া: মালেশিয়ার নাগরিক ওমর আবদুল্লার সঙ্গে কথা বললে তিনি ইজতেমা সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মক্কায় অনুষ্ঠিত পবিত্র হজের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসম্মিলন। এর ফলে বাংলাদেশে সারা বিশ্বের মুসলিম সমপ্রদায় একত্রিত হতে পারছি। এজন্য বাংলাদেশ ইসলাম প্রচারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ চমৎকার একটি দেশ। মালেশিয়ার নাগরিক হোসাইন বলেন, তাবলীগ জামাত বিশ্ব মুসলমানের জন্য একটি বিরাট সুযোগ। এর মাধ্যমে জামাতবন্দি হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করাসহ দ্বীনের মেহনত অর্থাৎ দাওয়াতি কাজ করা যায়। দেশটিও খুব সুন্দর এবং এদেশের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। আবদুল্লাহ, মানবজমিনকে বলেন বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশে এবার নিয়ে তিনবার এসেছি। এখানে প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এদেশের মানুষগুলো ধন্য। তিনি বলেন, ইজতেমা থেকে ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। জানা যায় আল্লাহ ও রাসুল (সা.) সম্পর্কে, আখিরাত ও পরকাল সম্পর্কে। তাই ছুটে এসেছি।
২ মুসল্লির মৃত্যু: গতকাল ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- বরিশালের আলী আজিম (৬৫), নীলফামারী জেলার পলাশ বাড়ী থানার গোলাম আজম খান (৬০)। অন্যদিকে ইজতেমায় যোগ দিতে আসা গতকাল ভোরে রাস্তা পারাপারের সময় দু্রতগামী বাসের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ফজর রহমানও কামরুল। টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মানবজমিনকে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত আরও ৪জনকে ভর্তি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে গত দুই দিন ইজতেমায় আসা ৬ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
যৌতুকবিহীন বিয়ে: প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও ইজতেমা ময়দানের মূল মঞ্চে কনের অভিভাবক ও বরের উপস্থিতিতে যৌতুকবিহীন বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা সা’দ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বর ও কনে পক্ষের এজাব-কবুল গ্রহণের মাধ্যমে ১৪১টি বিবাহ সম্পন্ন করেন। বিবাহ অনুষ্ঠানে খুরমা খেজুর পরিবেশন করা হয়।
চিলাভুক্ত মুসল্লি: এ পর্বেও ইজতেমার প্যান্ডেলের উত্তর- পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন খিত্তা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চিল্লায় অংশ গ্রহণেচ্ছু মুসল্লিদের এ কামরায় আনা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পরে কাকরাইল মসজিদের তাবলিগী মুরব্বিদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকা ভাগ করে তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগী কাজে পাঠনো হবে।
বয়ান: তিনি বলেন, দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। মহান আল্লাহর কাছে আমল ছাড়া দুনিয়ার জিন্দেগির কোন মূল্য নাই। দুনিয়ার কামাই রোজগার দুনিয়াতেই কাজে লাগবে, আখেরাতে কোন কাজে লাগবে না। যখন মায়ের পেটে ছিলাম তখন বুঝতে পারি নাই পৃথিবী যে এতো বড়। আবার পৃথিবী থেকে বুঝতে পারছি না যে আখেরাত কত বড়। তিনি আরও বলেন, জান্নাত হলো চিরস্থায়ী শান্তির জায়গা। জান্নাতে একবার কেউ গেলে সেখান থেকে আর বের হবে না। জান্নাতের জমিনের ঘাস হবে জাফরানের মতো। জান্নাতের ইটের জোড়া হবে রুপার আর প্লাস্টার হবে হিরা-মুক্তা-জহরত দিয়ে। দুনিয়াতে যার যে পরিমাণ গুনাহ্ হবে পরকালে সে পরিমাণ শাস্তি ভোগ করবে। তাবলীগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা নুরুল হক অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তার বয়ানে বলেন, মহান আল্লাহ্র প্রতি কারোনের কোন বিশ্বাস ছিল না। সে নিজের অর্জিত সম্পদকে আল্লাহ্র সম্পদ বলে স্বীকার করতো না। বরং নিজেকে এসব সম্পদের একছত্র মালিক মনে করতো। তার সেই সম্পদ দুনিয়াতে কোন কাজে আসে নাই। ইমান, আমল, আখলাক ভাল থাকলে এবং দুনিয়ার সম্পদ আল্লাহ্র পথে কুরবান করলে আখেরাতে কামিয়াব হওয়া যায়। জান-মাল আল্লাহ্র পথে খরচ করলে আল্লাহ্ আরও বাড়িয়ে দেন। মাওলানা নুরুল হক দুনিয়ার ভিআইপিদের নিয়ে গর্ব-অহঙ্কারের বিষয় তুলে ধরে তার বয়ানে আরও বলেন, দুনিয়ার যত ভিআইপি আছে সবাইকে একসঙ্গে করে ওজন দিলে একজন নবী-রাসুলের (সা.) একটি আঙুলের সমানও হবে না। তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি মহান আল্লাহ্র হেদায়েতনামা মেনে চলে তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব হবে। দুনিয়ার মানুষকে আল্লাহ্র পথে ডাকার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসুল পাঠানো হয়েছে এবং আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবন বিধানও পাঠানো হয়েছে। দাওয়াতের মাধ্যমে মানুষের ইমান মজবুত হয়। ইমান মজবুত হলে আল্লাহ্র সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল্লাহ্র সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলে দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবী হয়। গত শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আনুষ্ঠাকিভাবে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান শুরু হয়।
ইজতেমায় থেমে থেমে বৃষ্টি: শুক্রবার রাতে বিশ্ব ইজতেমাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ব্যাপী বৃষ্টিতে ময়দানের মুসল্লিদের অনেকেই কাকভেজা হন। ভিজে যায় তাদের বিছানা-কাপড়-চোপড়ও। একদিকে শীত অন্যদিকে বৃষ্টিতে মুসল্লিরা পড়েন সাময়িক ভোগান্তিতে। শনিবার গভীর রাতের দিকে ওই বৃষ্টি শুরু হয় চলে প্রায় সাড়ে চারটা পর্যন্ত। পরে সাময়িক বিরতি দিয়ে শনিবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় এবং থেমে থেমে চলতে থাকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
কুড়িগ্রাম থেকে বিশ্ব ইজতেমায় আগত নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা নুরুল আমিন জানান, ভোর রাতে হালকা বৃষ্টি হয়। তাদের সামিয়ানার নিচে কোন টিন বা পলিথিন সিট না থাকায় বৃষ্টির পানি নিচে পড়ে তাদের বিছানাসহ মালসামানা হালকা ভিজে গেছে। চটের ছামিয়ানা চুইয়ে ময়দানের খিত্তায় খিত্তায় পানি পড়তে থাকায় মুসল্লিরা যার যার সামানা হেফাজতে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ছাড়া বৃষ্টিতে কিছুটা শীত বেড়েছে। ইজতেমায় তিনি সাময়িক ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও এটাকে তিনি আল্লাহর রহমত হিসেবেই মনে করেন।
টঙ্গীতে হঠাৎ পলিথিন সিটের দাম বৃদ্ধি: বৃষ্টির কারণে মুসল্লিদের পলিথিন সিটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ ইজতেমাস্থলের আশেপাশের বাজারে ব্যবসায়ীরা পলিথিন সিটের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বিদেশী মুসল্লিদের প্রতিক্রিয়া: মালেশিয়ার নাগরিক ওমর আবদুল্লার সঙ্গে কথা বললে তিনি ইজতেমা সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মক্কায় অনুষ্ঠিত পবিত্র হজের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসম্মিলন। এর ফলে বাংলাদেশে সারা বিশ্বের মুসলিম সমপ্রদায় একত্রিত হতে পারছি। এজন্য বাংলাদেশ ইসলাম প্রচারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ চমৎকার একটি দেশ। মালেশিয়ার নাগরিক হোসাইন বলেন, তাবলীগ জামাত বিশ্ব মুসলমানের জন্য একটি বিরাট সুযোগ। এর মাধ্যমে জামাতবন্দি হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করাসহ দ্বীনের মেহনত অর্থাৎ দাওয়াতি কাজ করা যায়। দেশটিও খুব সুন্দর এবং এদেশের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। আবদুল্লাহ, মানবজমিনকে বলেন বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশে এবার নিয়ে তিনবার এসেছি। এখানে প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এদেশের মানুষগুলো ধন্য। তিনি বলেন, ইজতেমা থেকে ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। জানা যায় আল্লাহ ও রাসুল (সা.) সম্পর্কে, আখিরাত ও পরকাল সম্পর্কে। তাই ছুটে এসেছি।
২ মুসল্লির মৃত্যু: গতকাল ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- বরিশালের আলী আজিম (৬৫), নীলফামারী জেলার পলাশ বাড়ী থানার গোলাম আজম খান (৬০)। অন্যদিকে ইজতেমায় যোগ দিতে আসা গতকাল ভোরে রাস্তা পারাপারের সময় দু্রতগামী বাসের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ফজর রহমানও কামরুল। টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মানবজমিনকে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত আরও ৪জনকে ভর্তি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে গত দুই দিন ইজতেমায় আসা ৬ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
যৌতুকবিহীন বিয়ে: প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও ইজতেমা ময়দানের মূল মঞ্চে কনের অভিভাবক ও বরের উপস্থিতিতে যৌতুকবিহীন বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা সা’দ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বর ও কনে পক্ষের এজাব-কবুল গ্রহণের মাধ্যমে ১৪১টি বিবাহ সম্পন্ন করেন। বিবাহ অনুষ্ঠানে খুরমা খেজুর পরিবেশন করা হয়।
চিলাভুক্ত মুসল্লি: এ পর্বেও ইজতেমার প্যান্ডেলের উত্তর- পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন খিত্তা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চিল্লায় অংশ গ্রহণেচ্ছু মুসল্লিদের এ কামরায় আনা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পরে কাকরাইল মসজিদের তাবলিগী মুরব্বিদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকা ভাগ করে তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগী কাজে পাঠনো হবে।
No comments