টাকা কীভাবে শোধ দেবেন ফজলুর?- চট্টগ্রামে পেট্রলবোমায় দগ্ধ রিকশাচালক by প্রণব বল
ডিসেম্বর
মাসে ছয় হাজার টাকা ধার করেছিলেন ফজলুর রহমান। তাঁর মেয়ে রুমি আক্তার
এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার ফি জমা দিতে এই টাকা ধার করতে হয়েছে
তাঁকে। মেয়েকে নিয়ে বড় স্বপ্ন তাঁর। সংসার খরচ তো আছেই, ধার করা টাকা
ফেরত দেওয়ার দুশ্চিন্তাও এক মাস ধরে পোড়াচ্ছে ফজলুর রহমানকে। পঞ্চাশ
পেরোনো জীর্ণ শরীর নিয়ে তাই রাতেও রিকশা নিয়ে বের হতে হয় তাঁকে।
হাড়ভাঙা খাটুনির পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন।
এরপর আবারও রিকশা নিয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু ঘরে ফেরার আগেই অন্ধকার
ফুঁড়ে ছুটে আসা পেট্রলবোমায় ফজলুর রহমানের জীবন এখন সংকটাপন্ন। টানা
অবরোধের মধ্যে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কর্নেলহাট সিডিএ-১
নম্বর এলাকায় রিকশা চালানো অবস্থায় পেট্রলবোমা হামলার শিকার হন তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে গতকাল শনিবার কথা হয় ফজলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একদিন রিকশা না চালালে আমার সংসার চলে না। তার ওপর ওই ঋণ। এখন কী হবে? আমার তো সব শেষ।’ নগরের বিশ্বকলোনি এলাকায় ছেলে আমিনুর রহমানকে নিয়ে থাকেন ফজলুর রহমান। আমিনও রিকশা চালান। তাঁদের বাড়ি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায়। সাত মাস আগে ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি কর্নেলহাট থেকে দুই যাত্রী নিয়ে বিশ্বকলোনি যাচ্ছিলাম। সিডিএ-১ এলাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার পাশের অন্ধকার থেকে একজন পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। এসে পড়ে আমার হাতের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে আমার হাত ও লুঙ্গিতে আগুন লেগে যায়। দুই যাত্রী লাফ দিয়ে বেঁচে যান।’
আগুনে দুই হাত, কোমরসহ দুই পা দগ্ধ হয়েছে ফজলুর রহমানের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মিশমা ইসলাম জানিয়েছেন, ‘ফজলুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোগী কথা বলছে, এটা দেখে ভালো মনে হতে পারে। কিন্তু ৩৫ শতাংশ পোড়া রোগীর অবস্থা যেকোনো মুহূর্তে খারাপ হয়ে যেতে পারে।’
বাবার চিকিৎসা, সংসার খরচ, বোনের পরীক্ষা— কীভাবে একা সব সামাল দেবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না আমিনুর রহমান। তিনি জানান, নওগাঁয় মায়ের সঙ্গে তাঁর বোন থাকে। মুঠোফোনে তাঁদের খবর জানিয়েছেন। সবাই কাঁদছে। তিনি বলেন, ‘আমার বোন এসএসসি পরীক্ষা দেবে, এ নিয়ে বেশি ভাবতেন বাবা। এখন সব শেষ হয়ে গেল।’
দগ্ধ ট্রাকচালক: প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অন্য একটি শয্যায় কাতরাচ্ছেন ট্রাকচালক তাজুল ইসলাম। তাঁর তিন সন্তান। ১০ জানুয়ারি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে পেট্রলবোমা হামলার শিকার হন। বুক, মুখ, হাতসহ তাঁর শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান চিকিৎসকেরা। তাজুল বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের ওপর কেন হামলা হয়?’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে গতকাল শনিবার কথা হয় ফজলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একদিন রিকশা না চালালে আমার সংসার চলে না। তার ওপর ওই ঋণ। এখন কী হবে? আমার তো সব শেষ।’ নগরের বিশ্বকলোনি এলাকায় ছেলে আমিনুর রহমানকে নিয়ে থাকেন ফজলুর রহমান। আমিনও রিকশা চালান। তাঁদের বাড়ি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায়। সাত মাস আগে ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি কর্নেলহাট থেকে দুই যাত্রী নিয়ে বিশ্বকলোনি যাচ্ছিলাম। সিডিএ-১ এলাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার পাশের অন্ধকার থেকে একজন পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। এসে পড়ে আমার হাতের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে আমার হাত ও লুঙ্গিতে আগুন লেগে যায়। দুই যাত্রী লাফ দিয়ে বেঁচে যান।’
আগুনে দুই হাত, কোমরসহ দুই পা দগ্ধ হয়েছে ফজলুর রহমানের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক মিশমা ইসলাম জানিয়েছেন, ‘ফজলুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোগী কথা বলছে, এটা দেখে ভালো মনে হতে পারে। কিন্তু ৩৫ শতাংশ পোড়া রোগীর অবস্থা যেকোনো মুহূর্তে খারাপ হয়ে যেতে পারে।’
বাবার চিকিৎসা, সংসার খরচ, বোনের পরীক্ষা— কীভাবে একা সব সামাল দেবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না আমিনুর রহমান। তিনি জানান, নওগাঁয় মায়ের সঙ্গে তাঁর বোন থাকে। মুঠোফোনে তাঁদের খবর জানিয়েছেন। সবাই কাঁদছে। তিনি বলেন, ‘আমার বোন এসএসসি পরীক্ষা দেবে, এ নিয়ে বেশি ভাবতেন বাবা। এখন সব শেষ হয়ে গেল।’
দগ্ধ ট্রাকচালক: প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অন্য একটি শয্যায় কাতরাচ্ছেন ট্রাকচালক তাজুল ইসলাম। তাঁর তিন সন্তান। ১০ জানুয়ারি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে পেট্রলবোমা হামলার শিকার হন। বুক, মুখ, হাতসহ তাঁর শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান চিকিৎসকেরা। তাজুল বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের ওপর কেন হামলা হয়?’
No comments