ক্যাফেতে প্রাণের ফোয়ারা by শিহাব জিশান
(বিকেল হলেই নগরের বিভিন্ন ক্যাফেতে জমে ওঠে তরুণদের আড্ডা। ছবিটি সম্প্রতি নগরের একটি ক্যাফে থেকে তোলা l জুয়েল শীল) কথার
তোড়ে ভেসে যাওয়া কিংবা গানে গানে আসর মাতানোই যেন তারুণ্যের ধর্ম। পাড়ার
চায়ের দোকানে, সড়কের পাশে রেলিংেয়, এমনকি ফুটপাতেও চলে আড্ডা। আড্ডার
নিত্যনতুন জায়গা খুঁজে নিতেও জুড়ি নেই তরুণদের। নগরের কফি হাউসগুলোও বাদ
যাবে কেন? সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি সেখানেও এখন প্রাণের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন
তরুণেরা। কফি আর স্ন্যাকস খাওয়ার পাশাপাশি আড্ডাও চলে সমান তালে। গত
বৃহস্পতিবার প্রবর্তক মোড়ে মিলানো ক্যাফেতে ঢুকতেই দেখা গেল দেয়ালে
ঝোলানো বড় টিভি পর্দায় খেলা চলছে। কেউ খেলা দেখছিলেন, কেউ–বা আড্ডায়
মশগুল। টেবিলে টেবিলে ধূমায়িত কফির কাপ ঘিরে বসে থাকা বেশির ভাগ ক্রেতাই
তরুণ–তরুণী। এখানে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাদার্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিয়া আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘ক্লাসের ফাঁকে
বন্ধুদের সঙ্গে এখানে খেতে আসি। এখানকার ক্যাপ্পুচিনো কফিটা বেশ ভালো
লাগে।’
গত শুক্রবার নগরের জিইসি এলাকার মিলাঞ্জ ক্যাফেতে গিয়ে দেখা গেল তরুণদের ভিড়। এখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছয় তরুণ মিহাদ করিম, জাওয়াদ মোহাম্মদ ইবতিসাম, তাইন উল হক, সাকিব মনজুর, তাওসিফুল হক ও শাহবাজ চৌধুরী। তাঁরা সবাই পরস্পরের স্কুলজীবনের বন্ধু। কেন ক্যাফেতে আড্ডা দিচ্ছেন—এমন প্রশ্ন করতেই মিহাদ করিমের উত্তর, ‘সপ্তাহের প্রতিদিনই ছোটাছুটি করতে হয়। বাইরে বের হলেই ট্রাফিকজ্যামে নাকাল হতে হয়। বন্ধের দিনগুলোতে তাই নির্ভেজাল আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে আসি এখানে।’ মিহাদ করিমের মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া তরুণ-তরুণীকে এখন সন্ধ্যার পর বিভিন্ন ক্যাফেতে জমিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। নগরের বিভিন্ন এলাকার ১২টি ক্যাফেতে ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী অধরা নীলিম দেওয়ানজী পড়াশোনায় বেশ সিরিয়াস। তবে লোখাপড়ার পাশাপাশি ভালোবাসেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতে। তাই সুযোগ পেলেই মন সতেজ করতে তিন বান্ধবী পূজা নন্দী, সংগীতা দাশ ও অধরা মাধুরীকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। চলে যান বিভিন্ন ক্যাফেতে। গত রোববার সন্ধ্যায় নগরের জিইসির মোড় এলাকার রিও ক্যাফেতে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। বারকোড, ক্যাফে মিলানো, মুনো ক্যাফে, মাস্টার ক্যাফে, ক্লাব প্রো, ক্যাফে আড্ডা ও ক্যাফে এইটটি এইটের মতো চট্টগ্রামের সব নামী ক্যাফেতে খেয়েছেন বলে জানালেন তাঁরা। ধীরে–সুস্থে খেতে খেতে আড্ডা দেওয়া যায় বলে ক্যাফেগুলো তাঁদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানান এ তরুণীরা। এ ছাড়া ক্যাফেগুলোতে ভালো পরিবেশ ও নিরাপত্তা থাকায় তারুণ্যের আড্ডা বেড়েছে মন্তব্য করেন তাঁরা।
চট্টেশ্বরী সড়কের মুনো ক্যাফেতে কথা হয় চট্টগ্রামের ইউএসটিসির ফার্মেসি বিভাগের একদল তরুণের সঙ্গে। তাঁরা বললেন, ‘খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমরা একটু শৌখিন, তাই খাবারে বৈচিত্র্য আনতে ক্যাফেতে যাওয়া হয় প্রায়। এই সুযোগে জমে উঠে আমাদের আড্ডাটাও।’
তারুণ্যের আড্ডা প্রসঙ্গে চট্টেশ্বরী এলাকার অ্যাভালন ক্যাফের স্বত্বাধিকারী সাগর মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ভালো পরিবেশে অনেকক্ষণ বসা যায় বলে তরুণেরা ছুটে আসেন ক্যাফেগুলোতে। খাবারের দাম হাতের নাগালে থাকায় তাঁরা আড্ডার জন্য এখন ক্যাফেনির্ভর হয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া অনেক ক্যাফের খেলা দেখা ও গান শোননোর ব্যবস্থাও তরুণদের আকৃষ্ট করে।
গত শুক্রবার নগরের জিইসি এলাকার মিলাঞ্জ ক্যাফেতে গিয়ে দেখা গেল তরুণদের ভিড়। এখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছয় তরুণ মিহাদ করিম, জাওয়াদ মোহাম্মদ ইবতিসাম, তাইন উল হক, সাকিব মনজুর, তাওসিফুল হক ও শাহবাজ চৌধুরী। তাঁরা সবাই পরস্পরের স্কুলজীবনের বন্ধু। কেন ক্যাফেতে আড্ডা দিচ্ছেন—এমন প্রশ্ন করতেই মিহাদ করিমের উত্তর, ‘সপ্তাহের প্রতিদিনই ছোটাছুটি করতে হয়। বাইরে বের হলেই ট্রাফিকজ্যামে নাকাল হতে হয়। বন্ধের দিনগুলোতে তাই নির্ভেজাল আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে আসি এখানে।’ মিহাদ করিমের মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া তরুণ-তরুণীকে এখন সন্ধ্যার পর বিভিন্ন ক্যাফেতে জমিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। নগরের বিভিন্ন এলাকার ১২টি ক্যাফেতে ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী অধরা নীলিম দেওয়ানজী পড়াশোনায় বেশ সিরিয়াস। তবে লোখাপড়ার পাশাপাশি ভালোবাসেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতে। তাই সুযোগ পেলেই মন সতেজ করতে তিন বান্ধবী পূজা নন্দী, সংগীতা দাশ ও অধরা মাধুরীকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। চলে যান বিভিন্ন ক্যাফেতে। গত রোববার সন্ধ্যায় নগরের জিইসির মোড় এলাকার রিও ক্যাফেতে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। বারকোড, ক্যাফে মিলানো, মুনো ক্যাফে, মাস্টার ক্যাফে, ক্লাব প্রো, ক্যাফে আড্ডা ও ক্যাফে এইটটি এইটের মতো চট্টগ্রামের সব নামী ক্যাফেতে খেয়েছেন বলে জানালেন তাঁরা। ধীরে–সুস্থে খেতে খেতে আড্ডা দেওয়া যায় বলে ক্যাফেগুলো তাঁদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানান এ তরুণীরা। এ ছাড়া ক্যাফেগুলোতে ভালো পরিবেশ ও নিরাপত্তা থাকায় তারুণ্যের আড্ডা বেড়েছে মন্তব্য করেন তাঁরা।
চট্টেশ্বরী সড়কের মুনো ক্যাফেতে কথা হয় চট্টগ্রামের ইউএসটিসির ফার্মেসি বিভাগের একদল তরুণের সঙ্গে। তাঁরা বললেন, ‘খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমরা একটু শৌখিন, তাই খাবারে বৈচিত্র্য আনতে ক্যাফেতে যাওয়া হয় প্রায়। এই সুযোগে জমে উঠে আমাদের আড্ডাটাও।’
তারুণ্যের আড্ডা প্রসঙ্গে চট্টেশ্বরী এলাকার অ্যাভালন ক্যাফের স্বত্বাধিকারী সাগর মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ভালো পরিবেশে অনেকক্ষণ বসা যায় বলে তরুণেরা ছুটে আসেন ক্যাফেগুলোতে। খাবারের দাম হাতের নাগালে থাকায় তাঁরা আড্ডার জন্য এখন ক্যাফেনির্ভর হয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া অনেক ক্যাফের খেলা দেখা ও গান শোননোর ব্যবস্থাও তরুণদের আকৃষ্ট করে।
No comments