অবরোধের ১৩ দিন আজ- সহিংসতার শিকার সাধারণ মানুষ by শরিফুল হাসান
গাইবান্ধার
আলতাফ হোসেন স্কুলশিক্ষক। নাটোরের ইমাদুর রহমান, সিরাজগঞ্জের ইসমাইল
হোসেন, বরিশালের আবুল কালাম ও নোয়াখালীর জমির হোসেন পেশায় গাড়িচালক। আর
চট্টগ্রামের এনাম হোসেন ও নোয়াখালীর মিজানুর রহমান দোকান চালিয়ে জীবিকা
নির্বাহ করতেন। তাঁরা সবাই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার বলি। কিন্তু তাঁরা
কেউই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কেবল এই সাতজনই নন, গত ১২
দিনের অবরোধে সারা দেশে এখন পর্যন্ত যে ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, তাঁদের ১৯
জনই সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুরে বাসে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ
হয়েই মারা গেছেন নারী-শিশুসহ পাঁচজন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যে ১০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁরা সবাই সাধারণ
শ্রমজীবী। এ ছাড়া অবরোধ কর্মসূচিতে আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি।
যাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনার পর জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ঘর
থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করছেন।
২০১৩ সালেও একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ চলাকালে। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হন ৫০৭ জন। যাঁদের মধ্যে ১৯৬ জন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাড়িতে আগুন, পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলা কিংবা রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষে।
দশম সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে আবার রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে বছরের শুরু থেকে। এ সহিংসতায় আবারও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে জানান, ৫ জানুয়ারি বিএনপি সমাবেশ করতে চেয়েছিল। এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু সরকার নাশকতার কথা বলে তাদের সমাবেশ করতে দিল না। নাশকতার আশঙ্কাটা আসলে কী, সেটা সরকার পরিষ্কার করলে ভালো হতো। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবরোধের নামে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে, সেটি কখনোই মানা যায় না।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনোই সহিংস হতে পারে না। আমরা এর আগেও এমন চিত্র দেখেছি। সব আন্দোলনের শিকার সাধারণ মানুষ। তাঁদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। যখন-তখন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের মনে রাখা উচিত রাজনীতির নামে মানুষ হত্যার অধিকার কারও নেই।’
গত বছর ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ ২০-দলীয় জোটের অবরোধ চলছে। তবে ৪ জানুয়ারি থেকেই সহিংসতার শুরু। ওই দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত নিহত হন ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন পেট্রলবোমা ও গাড়িতে আগুনে পুড়ে এবং ১০ জন সংঘর্ষে মারা গেছেন। পাঁচজন নিহত হন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে। এই পাঁচজনসহ মোট সাতজন রাজনৈতিক কর্মী। এ সময় প্রায় আড়াই শ যানবাহনে আগুন ও তিন শরও বেশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসব যানবাহনের প্রায় সবগুলোর মালিকই সাধারণ মানুষ।
এবার সবচেয়ে নির্মম ঘটনা ঘটেছে ১৩ জানুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুরে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন: কুড়িগ্রামের রহিমা বেগম, তাঁর ছেলে রহিম বাদশা ও মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং রংপুরের তছিরন বেগম ও দুই বছরের এক শিশু। নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী নিলুফার বেগম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকাত (ঢাকায়) বাদাম বিক্রি করত। তাই দিয়া হামার ছাওয়াগুলার পড়াশুনা এবং সংসার চলছে। মোর স্বামীর কী অপরাধ? হামরা তো আজনীতি (রাজনীতি) করি না। হামার স্বামীক কেনে পুড়ি মারিল? হামার শাশুড়ি, ননদোক (ননদ) ক্যান পুড়ি মারিল?’
৮ জানুয়ারি ঢাকার ইস্কাটনে অবরোধকারীদের পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন প্রাইভেট কারের চালক আবুল কালাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৫ জানুয়ারি মারা যান ২৬ বছরের এই তরুণ। ছেলে মারা যাওয়ার পর মা সাফিয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোর ছেলে কোনো রাজনীতি করত না। হ্যার পরও ওরে এমনভাবে পোড়াইয়া মারল। ওর পাঠানো ছয় হাজার টাহা দিয়ে পরিবারের চারজন এত দিন বাঁইচ্যা ছিলাম। অ্যাহন মোরা কী খাইয়া বাঁচমু।’
১২ জানুয়ারি অবরোধের কারণে বাস না পেয়ে ট্রাকে করে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম ফিরছিলেন রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকান কর্মচারী এনাম হোসেন। পথে জোরারগঞ্জে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলায় নিহত হন তিনি। একই দিন অবরোধকারীদের ধাওয়ায় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারালে নোয়াখালী শহরের পৌরকল্যাণ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে নিহত হন চালক জমির হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে বাসে ঢাকায় আসার পথে পেট্রলবোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন বেসরকারি একটি সংস্থার কর্মী আল মাসুদ। তাঁর বোন ফাতেমা জোহরা বলেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কী অপরাধ? আমরা তো রাজনীতি করি না। আমরা কেন হামলার শিকার?’
যশোরের ট্রাকচালক মুরাদ হোসেন নিজের গাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ৭ জানুয়ারি ওই গাড়িতে আগুন দিলে গুরুতর দগ্ধ হন তিনি। ১১ জানুয়ারি সকালে মারা যান। একইভাবে ১৫ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে বাসের ভেতর পুড়ে মারা যান চালকের সহযোগী তোফাজ্জল হোসেন।
১১ জানুয়ারি রাতে গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা ছুড়লে আসাদুল মিয়া নামে এক যাত্রীর শরীরে আগুন ধরে যায়। তা দেখে ভয়ে জানালা দিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়েন পারভেজ মিয়া নামের আরেক যাত্রী। আর তৎক্ষণাৎ ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
২০১৩ সালে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রলবোমা ও গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে আসকের পরিচালক (তদন্ত ও অনুসন্ধান) মো. নূর খান বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার বা টিকে থাকার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ সব সময়ই মরেছে। দুই দশক ধরে তা বাড়তে বাড়তে এখন তা চরম উদ্বেগের জায়গায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, কখনো এসব হত্যার বিচার হয় না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে।’
২০১৩ সালেও একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ চলাকালে। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হন ৫০৭ জন। যাঁদের মধ্যে ১৯৬ জন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাড়িতে আগুন, পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলা কিংবা রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষে।
দশম সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে আবার রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে বছরের শুরু থেকে। এ সহিংসতায় আবারও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে জানান, ৫ জানুয়ারি বিএনপি সমাবেশ করতে চেয়েছিল। এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু সরকার নাশকতার কথা বলে তাদের সমাবেশ করতে দিল না। নাশকতার আশঙ্কাটা আসলে কী, সেটা সরকার পরিষ্কার করলে ভালো হতো। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবরোধের নামে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে, সেটি কখনোই মানা যায় না।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনোই সহিংস হতে পারে না। আমরা এর আগেও এমন চিত্র দেখেছি। সব আন্দোলনের শিকার সাধারণ মানুষ। তাঁদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। যখন-তখন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের মনে রাখা উচিত রাজনীতির নামে মানুষ হত্যার অধিকার কারও নেই।’
গত বছর ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ ২০-দলীয় জোটের অবরোধ চলছে। তবে ৪ জানুয়ারি থেকেই সহিংসতার শুরু। ওই দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত নিহত হন ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন পেট্রলবোমা ও গাড়িতে আগুনে পুড়ে এবং ১০ জন সংঘর্ষে মারা গেছেন। পাঁচজন নিহত হন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে। এই পাঁচজনসহ মোট সাতজন রাজনৈতিক কর্মী। এ সময় প্রায় আড়াই শ যানবাহনে আগুন ও তিন শরও বেশি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসব যানবাহনের প্রায় সবগুলোর মালিকই সাধারণ মানুষ।
এবার সবচেয়ে নির্মম ঘটনা ঘটেছে ১৩ জানুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুরে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন: কুড়িগ্রামের রহিমা বেগম, তাঁর ছেলে রহিম বাদশা ও মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং রংপুরের তছিরন বেগম ও দুই বছরের এক শিশু। নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী নিলুফার বেগম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকাত (ঢাকায়) বাদাম বিক্রি করত। তাই দিয়া হামার ছাওয়াগুলার পড়াশুনা এবং সংসার চলছে। মোর স্বামীর কী অপরাধ? হামরা তো আজনীতি (রাজনীতি) করি না। হামার স্বামীক কেনে পুড়ি মারিল? হামার শাশুড়ি, ননদোক (ননদ) ক্যান পুড়ি মারিল?’
৮ জানুয়ারি ঢাকার ইস্কাটনে অবরোধকারীদের পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন প্রাইভেট কারের চালক আবুল কালাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৫ জানুয়ারি মারা যান ২৬ বছরের এই তরুণ। ছেলে মারা যাওয়ার পর মা সাফিয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোর ছেলে কোনো রাজনীতি করত না। হ্যার পরও ওরে এমনভাবে পোড়াইয়া মারল। ওর পাঠানো ছয় হাজার টাহা দিয়ে পরিবারের চারজন এত দিন বাঁইচ্যা ছিলাম। অ্যাহন মোরা কী খাইয়া বাঁচমু।’
১২ জানুয়ারি অবরোধের কারণে বাস না পেয়ে ট্রাকে করে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম ফিরছিলেন রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকান কর্মচারী এনাম হোসেন। পথে জোরারগঞ্জে দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলায় নিহত হন তিনি। একই দিন অবরোধকারীদের ধাওয়ায় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারালে নোয়াখালী শহরের পৌরকল্যাণ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে নিহত হন চালক জমির হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে বাসে ঢাকায় আসার পথে পেট্রলবোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন বেসরকারি একটি সংস্থার কর্মী আল মাসুদ। তাঁর বোন ফাতেমা জোহরা বলেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কী অপরাধ? আমরা তো রাজনীতি করি না। আমরা কেন হামলার শিকার?’
যশোরের ট্রাকচালক মুরাদ হোসেন নিজের গাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ৭ জানুয়ারি ওই গাড়িতে আগুন দিলে গুরুতর দগ্ধ হন তিনি। ১১ জানুয়ারি সকালে মারা যান। একইভাবে ১৫ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে বাসের ভেতর পুড়ে মারা যান চালকের সহযোগী তোফাজ্জল হোসেন।
১১ জানুয়ারি রাতে গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা ছুড়লে আসাদুল মিয়া নামে এক যাত্রীর শরীরে আগুন ধরে যায়। তা দেখে ভয়ে জানালা দিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়েন পারভেজ মিয়া নামের আরেক যাত্রী। আর তৎক্ষণাৎ ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
২০১৩ সালে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রলবোমা ও গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে আসকের পরিচালক (তদন্ত ও অনুসন্ধান) মো. নূর খান বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার বা টিকে থাকার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ সব সময়ই মরেছে। দুই দশক ধরে তা বাড়তে বাড়তে এখন তা চরম উদ্বেগের জায়গায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, কখনো এসব হত্যার বিচার হয় না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে।’
No comments