কন্যাকে মাটিতে পুঁতে জীবন্ত হত্যার চেষ্টা
মেয়ে
হয়ে জন্ম নেয়ায় ভারতে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে একটি ১০ বছর বয়সী কন্যাকে
হত্যার চেষ্টা করেছে তারই পিতা। তবে এলাকাবাসী দেখে ফেলায় এ যাত্রায় সে
রক্ষা পেয়েছে। ওই শিশুকন্যাটির পিতা আবদুল হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে। এ খবর
দিয়েছে অনলাইন মিরর। এতে বলা হয়েছে, ভারতের ত্রিপুরায় এ ঘটনার খবরে পুলিশ
বিস্মিত। খবরে বলা হয়েছে, আবদুল হোসেনের স্ত্রী যখন বাসার বাইরে ছিলেন, তখন
সে বাড়ির পেছন দিকে একটি গর্ত খোঁড়ে। তারপর নিজের মেয়ের দু’হাত পিঠমোড়া
করে বাঁধে। মুখে আঁটকে দেয় টেপ, যাতে সে চিৎকার করতে বা কথা বলতে না পারে। এ
অবস্থায় কন্যাকে গায়ের জোরে নামিয়ে দেয় মাটির বুকসমান গর্তে। তারপর চারদিক
থেকে মাটি দিয়ে ঢেকে দেয় তার বুক পর্যন্ত। মাটির ওপর শুধু তার দুটি হাত,
মাথা আর মুখ দেখা যায়। এ ছাড়া পুরো শরীর মাটির ভেতর পোঁতা। একপর্যায়ে আবদুল
হোসেনের স্ত্রী বাড়ি ফিরে সেও একই মনোভাব নিয়ে বাঁশের তৈরি একটি ঝুড়ি দিয়ে
কন্যার মাথা ঢেকে দেয়, যাতে বাইরের কেউ জানতে না পারে। কিন্তু এলাকাবাসীর
সন্দেহ হয় তার আচরণে।
কারণ, সে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করতে থাকে তার মেয়ে কোথায়। লোকজন শিশুটিকে খোঁজা শুরু করে। একসময় তাদের চোখে পড়ে শিশুটি। তারা এ দৃশ্য দেখে আবদুল হোসেনকে আটক করে প্রহার করে। তারপর পুলিশে ফোন করে। পুলিশ গিয়ে আটক করে তাদের। এখন তারা হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি। আবদুল হোসেন এখনও ত্রিপুরা পুলিশের হাতে রয়েছে।
কারণ, সে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করতে থাকে তার মেয়ে কোথায়। লোকজন শিশুটিকে খোঁজা শুরু করে। একসময় তাদের চোখে পড়ে শিশুটি। তারা এ দৃশ্য দেখে আবদুল হোসেনকে আটক করে প্রহার করে। তারপর পুলিশে ফোন করে। পুলিশ গিয়ে আটক করে তাদের। এখন তারা হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি। আবদুল হোসেন এখনও ত্রিপুরা পুলিশের হাতে রয়েছে।
No comments