অনীকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
(ডান
চোখে দেখতে পাচ্ছে না অনীক। ফেনীর খেজুর চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়
সে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনীক এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কি না, সে
উৎকণ্ঠায় মা জেসমিন l ছবি: প্রথম আলো) ককটেল
বিস্ফোরণে গুরুতর আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনীকের চিকিৎসার
দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার জন্য অনীককে
বিদেশে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার
দিকে ফেনী শহরের খেজুর চত্বরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে আহত
হয় অনীক। সে এখন পর্যন্ত ডান চোখে দেখতে পারছে না। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি
অনীকের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা অনীকের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ
অনীকের বাবাকে পাসপোর্ট করার জন্য বলা হয়েছে। অনীক যাতে দ্রুত বিদেশ যেতে
পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপাতত অনীককে মাদ্রাজে নেওয়ার চিন্তাভাবনা
চলছে।
অনীক এ মুহূর্তে আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। অনীকের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে নিষ্পাপ। রাজনীতিবিদেরা আছেন রাজনীতি নিয়ে। আর দুষ্কৃতকারীরা ২০০-৩০০ টাকার জন্য বোমা মারছে। আমি চাই আমার মতো আর কোনো মা-বাবাকে যেন সন্তানের জন্য হাহাকার করতে না হয়। আমি চাই, যারা এগুলো করে তাদের যেন কঠিন শাস্তি হয়।’ ছেলের জন্য সবার কাছে শুধু দোয়া চান তিনি।
অনীক ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ে। স্কুলের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি ধরা পড়েনি।
ঘটনার দিন অনীকসহ চার বন্ধু প্রাইভেট পড়তে বের হয়। পড়া শেষে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিল অনীক আর তার বন্ধু হৃদয়। তখন ককটেল বিস্ফোরণে দুজনই গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর থেকে হৃদয়ও ডান চোখে দেখতে পাচ্ছে না।
হৃদয়ের চিকিৎসায় অর্থসংকট: অর্থসংকটে সুচিকিৎসা হচ্ছে না শাহরিয়ার হৃদয়ের। গতকাল সন্ধ্যায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের বাসায় শাহরিয়ারের মা রোজী রৌশন আক্তার বলেন, একদিকে টাকার সংকট, অন্যদিকে হরতাল অবরোধ। ছেলেকে ঢাকায় চিকিৎসা করানোর জন্য একটি মাইক্রোবাসও পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ২ তারিখে এসএসসি পরীক্ষায় সে অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
রৌশন বলেন, ‘চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার পর ঢাকায় হারুন চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক এম এ বাশার শেখকে দেখানো হয়। এক আত্মীয়ের বাসায় এক রাত থেকেছি। তিনি ঢাকায় থাকতে বলেন। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে থাকা হয়নি। চট্টগ্রাম যোগাযোগ করা হলে তাকে (হৃদয়) ১৫ জানুয়ারি একবার দেখানোর জন্য নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসক। ১৫ জানুয়ারি সকাল থেকে ট্রেনের জন্য ফেনী রেলস্টেশনের ১০ ঘন্টা অপেক্ষা। তারপর রাতে চট্টগ্রাম গিয়ে চিকিৎসককে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে চিকিৎসা হবে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতেই নিতে হবে।
শাহরিয়ার পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। ২০১৪ সালে ৮-১০ জুন ১৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় ফেনী জেলা থেকে প্রথম হয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। ঢাকায় ১২তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনেও সে অংশগ্রহণ করে। সে গণিত অলিম্পিয়াড, ফটোগ্রাফি কর্মশালায় অংশগ্রহণ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
রোজী রৌশন আক্তার বলেন, স্থানীয় সাংসদ নিজাম হাজারী ৫০ হাজার এবং সরকারি পাইলট হাইস্কুল থেকে ১৩ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য পেয়েছেন। তিনি ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনীক এ মুহূর্তে আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। অনীকের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে নিষ্পাপ। রাজনীতিবিদেরা আছেন রাজনীতি নিয়ে। আর দুষ্কৃতকারীরা ২০০-৩০০ টাকার জন্য বোমা মারছে। আমি চাই আমার মতো আর কোনো মা-বাবাকে যেন সন্তানের জন্য হাহাকার করতে না হয়। আমি চাই, যারা এগুলো করে তাদের যেন কঠিন শাস্তি হয়।’ ছেলের জন্য সবার কাছে শুধু দোয়া চান তিনি।
অনীক ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ে। স্কুলের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি ধরা পড়েনি।
ঘটনার দিন অনীকসহ চার বন্ধু প্রাইভেট পড়তে বের হয়। পড়া শেষে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিল অনীক আর তার বন্ধু হৃদয়। তখন ককটেল বিস্ফোরণে দুজনই গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর থেকে হৃদয়ও ডান চোখে দেখতে পাচ্ছে না।
হৃদয়ের চিকিৎসায় অর্থসংকট: অর্থসংকটে সুচিকিৎসা হচ্ছে না শাহরিয়ার হৃদয়ের। গতকাল সন্ধ্যায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের বাসায় শাহরিয়ারের মা রোজী রৌশন আক্তার বলেন, একদিকে টাকার সংকট, অন্যদিকে হরতাল অবরোধ। ছেলেকে ঢাকায় চিকিৎসা করানোর জন্য একটি মাইক্রোবাসও পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ২ তারিখে এসএসসি পরীক্ষায় সে অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
রৌশন বলেন, ‘চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার পর ঢাকায় হারুন চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক এম এ বাশার শেখকে দেখানো হয়। এক আত্মীয়ের বাসায় এক রাত থেকেছি। তিনি ঢাকায় থাকতে বলেন। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে থাকা হয়নি। চট্টগ্রাম যোগাযোগ করা হলে তাকে (হৃদয়) ১৫ জানুয়ারি একবার দেখানোর জন্য নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসক। ১৫ জানুয়ারি সকাল থেকে ট্রেনের জন্য ফেনী রেলস্টেশনের ১০ ঘন্টা অপেক্ষা। তারপর রাতে চট্টগ্রাম গিয়ে চিকিৎসককে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে চিকিৎসা হবে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতেই নিতে হবে।
শাহরিয়ার পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। ২০১৪ সালে ৮-১০ জুন ১৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলায় ফেনী জেলা থেকে প্রথম হয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। ঢাকায় ১২তম চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশনেও সে অংশগ্রহণ করে। সে গণিত অলিম্পিয়াড, ফটোগ্রাফি কর্মশালায় অংশগ্রহণ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
রোজী রৌশন আক্তার বলেন, স্থানীয় সাংসদ নিজাম হাজারী ৫০ হাজার এবং সরকারি পাইলট হাইস্কুল থেকে ১৩ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য পেয়েছেন। তিনি ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।
No comments