কক্ষপথেই বাংলাদেশ
আশা নিরাশার দোলাচলে জিতেই গেল বাংলাদেশ। চার খেলায় প্রথম পুরো ৫০ ওভার খেলে এবং সব উইকেট না হারিয়েও জয়ের নাগাল পেল না জিম্বাবুয়ে। ফলে ওয়ানডেতেও হোয়াইট ওয়াশ করার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আর মাত্র একটি ম্যাচ জিতলেই ৫-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। গতকাল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকে শেষ হওয়ার এক ঘন্টা আগেও মনে হচ্ছিল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষটা ভাল হয়নি তাদের। স্পিন পেসের সম্মিলিত আক্রমণে তীরে এসে তরী ডোবে তাদের। হার মানে ২১ রানে। গতকাল বাংলাদেশের ২৫৬ রানের জবাবে দু’উইকেট হাতে থাকতেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থেমে যায় ২৩৫ রানে। চার খেলায় কালই প্রথম ২শ’ ছাড়ানো ইনিংস খেলে তারা ব্রেন্ডন টেইলর ও সলোমন মিরের ফিফটিতে। কাকতালীয় হলেও দুই দলই ৮ উইকেট করে হারায় এবং দুই দলেরই ফিফটি প্লাস স্কোর দু’জন করে পেয়েছেন। তবে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকের ৮২ ও ৭৭ রানের জবাবে টেইলরের ৬৩ ও সলোমনের ৫২ শেষ পর্যন্ত কমই রয়ে গেছে।
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও জুবায়ের হোসেন বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান। এরপর রুবেল ও মাশরাফি তাদের চেপে ধরেন। আগের দুই খেলায় ৮ উইকেট পাওয়া আরাফাত সানিকে বসিয়ে ওয়ানডেতে প্রথম খেলার সুযোগ দেয়া হয় জুবায়েরকে। সাকিব, জুবায়ের ও রুবেল হোসেন ২টি করে উইকেট নেন। লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন ৬ ওভারে ৪২টি রান খরচ করে নেন ২টি উইকেট। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে জুবায়েরই প্রথম জেনুইন লেগ স্পিনার হিসেবে শুরু করলেন। অন্যদিকে এক বছর পর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা আবুল হোসেন রাজু নিজের চতুর্থ ওয়ানেড ম্যাচেও থাকেন উইকেট শূন্য। ১০ ওভার বল করে তিনি খরচ করেছেন ৪৮টি রান। সোমবার সিরিজের ৫ম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
২৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও ভুসিমুজি সিবান্দা গড়ে তোলেন ৪৮ রানের জুটি। দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আবুল হাসানকে সহজেই খেলতে থাকেন তারা। তবে সাকিব তার তৃতীয় ও খেলার ১০ম ওভারের প্রথম বলে সিবান্দাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন। ৪৮ রানে তার বিদায়ের পর ৩ রান যোগ হতেই এক প্রান্ত আগলে রাখা মাসাকাদজাকেও ফেরান সাকিব। এরপর তৃতীয় আঘাতটি হানতে খুব বেশী সময় নেননি ওয়ানডে বাংলাদেশের অভিষিক্ত বোলার জুবায়ের হোসেন লিখন। অধিনায়ক তার হাতে বল তুলে দেয়ার প্রথম ওভারেই তিনি বোল্ড করেন ৬ রান করা মারুমাকে। খেলায় দখল নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুত ৩ উইকেট পতনের পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের বোলারদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন ব্রেন্ডন টেইলর ও সলোমন মিরে। চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন বিপর্যয় থেকে। এটিই চার খেলায় তাদের সবচেয়ে বড় জুটি। চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটি হাঁকিয়ে পরের দুই ম্যাচে টেইলর সংগ্রহ করেছিলেন ৮ ও ২৮ রান। কিন্তু গতকাল নিজের ৩১তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন ২৮ বছর বয়সী টেইলর। তবে টেইলরের এই ইনিংস খেলার পথে তাকে দারুণ ভাবে সঙ্গ দেন সলোমন মিরে। বাংলাদেশর বিপক্ষেই অভিষেক হওয়া মিরে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন দ্বিতীয় ওয়ানেডেতে চট্টগ্রামে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ১২ রানে ফিরলেও কাল আবারও রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। টেইলরের সঙ্গে তিনিও তুলে নেন ফিফটি। ৩০.২ ওভারে সময় মাহমুদুল্লাহর বলে সজোরে হাঁকালে ডিপ মিড উইকেটে তার ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন আবুল হাসান রাজু। জীবন পেয়েই ছয়ের সাহায্যে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তবে খুব বেশীক্ষণ তিনি আর ক্রিজে থাকতে পারেননি। জুবায়ের আবারও দলকে চিন্তামুক্ত করেন। ৩৫.৫ ওভারের সময় ৫৪ বলে ৬টি চার ও ২ ছয়ের মার হাঁকানো মিরেকে সাজঘরে পাঠান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাত দিয়ে। তখনও খেলায় আশা জিইয়ে ছিল জিম্বাবুয়ের। ১৬৬ রানের সময় মিরে আউট হলে টেইলরকে বেশী ক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে দেননি রুবেল হোসেন। ৬৯ বলে ৭ চারে ৬৩ রান করার পথে টেইলর রুবেলের বলে উইকেটের পিছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন।
এরপর ৮ম উইকেটে চাকাভা ও মুর ২৮ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালান। কিন্তু তার আগে অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে কোন সুযোগ না দিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি প্রথম উইকেট তুলে নেন। চিগুম্বুরা মাশরাফির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে আবুল হোসেনের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর ২৬ রান করা চাকাভাকেও বিদায় করেন রুবেল হোসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ১৩ রান করা মুর ফিরেন রান আউট হয়ে। তবে আউট হওয়ার আগে এই জুটি জিম্বাবুয়ের তিন ম্যাচ পরে প্রথম ২শ’ রানের সীমা পার করে দিয়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হাতে ২টি উইকেট থাকলেও ২৩৫ রানে মাথে তাদের ইনিংস। চাতারা ১০ ও মাদজিভা ৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। শেষ ৬০ বলে তাদের দরকার ছিল ৭৪ রান। সেখানে তারা তুলতে সক্ষম হয় ৫২ রান। টসে জিতে টানা চতুর্থ খেলায় আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বেকায়দায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারালে ২০০ রান হওয়া নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকের ফিফটির পর মাশরাফির ঝড়ো ইনংস দলকে মান বাঁচানো সংগ্রহ এনে দেয়। তিনি ২৫ বলে করেন ৩৯ রান।
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও জুবায়ের হোসেন বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান। এরপর রুবেল ও মাশরাফি তাদের চেপে ধরেন। আগের দুই খেলায় ৮ উইকেট পাওয়া আরাফাত সানিকে বসিয়ে ওয়ানডেতে প্রথম খেলার সুযোগ দেয়া হয় জুবায়েরকে। সাকিব, জুবায়ের ও রুবেল হোসেন ২টি করে উইকেট নেন। লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন ৬ ওভারে ৪২টি রান খরচ করে নেন ২টি উইকেট। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে জুবায়েরই প্রথম জেনুইন লেগ স্পিনার হিসেবে শুরু করলেন। অন্যদিকে এক বছর পর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা আবুল হোসেন রাজু নিজের চতুর্থ ওয়ানেড ম্যাচেও থাকেন উইকেট শূন্য। ১০ ওভার বল করে তিনি খরচ করেছেন ৪৮টি রান। সোমবার সিরিজের ৫ম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
২৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও ভুসিমুজি সিবান্দা গড়ে তোলেন ৪৮ রানের জুটি। দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও আবুল হাসানকে সহজেই খেলতে থাকেন তারা। তবে সাকিব তার তৃতীয় ও খেলার ১০ম ওভারের প্রথম বলে সিবান্দাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন। ৪৮ রানে তার বিদায়ের পর ৩ রান যোগ হতেই এক প্রান্ত আগলে রাখা মাসাকাদজাকেও ফেরান সাকিব। এরপর তৃতীয় আঘাতটি হানতে খুব বেশী সময় নেননি ওয়ানডে বাংলাদেশের অভিষিক্ত বোলার জুবায়ের হোসেন লিখন। অধিনায়ক তার হাতে বল তুলে দেয়ার প্রথম ওভারেই তিনি বোল্ড করেন ৬ রান করা মারুমাকে। খেলায় দখল নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুত ৩ উইকেট পতনের পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের বোলারদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন ব্রেন্ডন টেইলর ও সলোমন মিরে। চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন বিপর্যয় থেকে। এটিই চার খেলায় তাদের সবচেয়ে বড় জুটি। চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটি হাঁকিয়ে পরের দুই ম্যাচে টেইলর সংগ্রহ করেছিলেন ৮ ও ২৮ রান। কিন্তু গতকাল নিজের ৩১তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন ২৮ বছর বয়সী টেইলর। তবে টেইলরের এই ইনিংস খেলার পথে তাকে দারুণ ভাবে সঙ্গ দেন সলোমন মিরে। বাংলাদেশর বিপক্ষেই অভিষেক হওয়া মিরে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন দ্বিতীয় ওয়ানেডেতে চট্টগ্রামে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ১২ রানে ফিরলেও কাল আবারও রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। টেইলরের সঙ্গে তিনিও তুলে নেন ফিফটি। ৩০.২ ওভারে সময় মাহমুদুল্লাহর বলে সজোরে হাঁকালে ডিপ মিড উইকেটে তার ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন আবুল হাসান রাজু। জীবন পেয়েই ছয়ের সাহায্যে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তবে খুব বেশীক্ষণ তিনি আর ক্রিজে থাকতে পারেননি। জুবায়ের আবারও দলকে চিন্তামুক্ত করেন। ৩৫.৫ ওভারের সময় ৫৪ বলে ৬টি চার ও ২ ছয়ের মার হাঁকানো মিরেকে সাজঘরে পাঠান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাত দিয়ে। তখনও খেলায় আশা জিইয়ে ছিল জিম্বাবুয়ের। ১৬৬ রানের সময় মিরে আউট হলে টেইলরকে বেশী ক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে দেননি রুবেল হোসেন। ৬৯ বলে ৭ চারে ৬৩ রান করার পথে টেইলর রুবেলের বলে উইকেটের পিছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন।
এরপর ৮ম উইকেটে চাকাভা ও মুর ২৮ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালান। কিন্তু তার আগে অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে কোন সুযোগ না দিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি প্রথম উইকেট তুলে নেন। চিগুম্বুরা মাশরাফির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে আবুল হোসেনের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর ২৬ রান করা চাকাভাকেও বিদায় করেন রুবেল হোসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ১৩ রান করা মুর ফিরেন রান আউট হয়ে। তবে আউট হওয়ার আগে এই জুটি জিম্বাবুয়ের তিন ম্যাচ পরে প্রথম ২শ’ রানের সীমা পার করে দিয়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হাতে ২টি উইকেট থাকলেও ২৩৫ রানে মাথে তাদের ইনিংস। চাতারা ১০ ও মাদজিভা ৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। শেষ ৬০ বলে তাদের দরকার ছিল ৭৪ রান। সেখানে তারা তুলতে সক্ষম হয় ৫২ রান। টসে জিতে টানা চতুর্থ খেলায় আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বেকায়দায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারালে ২০০ রান হওয়া নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকের ফিফটির পর মাশরাফির ঝড়ো ইনংস দলকে মান বাঁচানো সংগ্রহ এনে দেয়। তিনি ২৫ বলে করেন ৩৯ রান।
No comments