র্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীপক্ষের অসন্তোষ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায়
র্যাবের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহত
নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট
সাখাওয়াত হোসেন। তাদের অভিযোগ, শেষ পর্যন্ত র্যাব হত্যার দায় স্বীকার
করলেও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীরা আড়ালেই থেকে গেছে। একটি প্রভাবশালী
মহলের চেষ্টায় তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পুলিশ সুপার বলছেন,
র্যাবের প্রতিবেদনেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। এখনও অনেক কাজ বাকি আছে।
চূড়ান্ত ফলাফল আসবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে।
সেই সময় পর্যন্ত অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। সাত খুনের মামলার তদন্তের
ব্যাপারে যুগান্তরের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মামলার বাদী,
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা পুলিশ সুপার। ২৩ অক্টোবর সাত খুনের সঙ্গে
সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে র্যাব সদর দফতর থেকে একটি প্রতিবেদন দাখিল
করা হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে। র্যাবের প্রতিবেদনে আলোচিত সাত খুনের
সঙ্গে র্যাব-১১র অভিযুক্ত সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ
মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এমএম রানাসহ ২৭ জন জড়িত থাকার
কথা উল্লেখ করা হয়। তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান র্যাবের
তদন্তে সন্তুষ্ট নন বলে জানান। তিনি দাবি করেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে
গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির সম্প্রতি দাখিল করা প্রাথমিক তদন্ত
প্রতিবেদন অনুযায়ী র্যাবের আরও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল বলে
উল্লেখ করা হয়েছে। তার প্রশ্ন, তবে কেন তাদেরকে র্যাবের এই প্রতিবেদন থেকে
বাদ দেয়া হল? নিশ্চই র্যাবের সংশ্লিষ্ট অন্যদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাত খুনের সঙ্গে র্যাবের ২৭ জন সরাসরি জড়িত
ছিল। তিনি বলেন, র্যাবের দেয়া নিজস্ব এই প্রতিবেদনে আমাদের কোনো আস্থা
নেই। শুরু থেকেই র্যাবসহ সরকারের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি করা হয়েছিল এই
ঘটনার সঙ্গে র্যাবের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। শেষ পর্যন্ত দেরিতে হলেও
র্যাব সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে নতি স্বীকার করেছে। এটা মন্দের ভালো
হয়েছে।
ডিবির তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, সরকার প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্ব করছে। মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর পেছনে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে আমাদের দেশের ৪০ জন সন্ত্রাসীর যে তালিকা দিয়েছে তাতে নূর হোসেনের নাম নেই। নূর হোসেনের চেয়ে অনেক নিচু স্তরের সন্ত্রাসীর নামও ওই তালিকায় রয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, সরকার চায় না নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। কেননা নূর হোসেনের মুখ থেকে অনেক রাঘববোয়ালের নাম বেরিয়ে আসতে পারে, যারা সাত খুনের পরিকল্পনায় জড়িত। এছাড়া নূর হোসেন ও মামলার আরেক আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন মিয়াকে দীর্ঘ সাত মাসেও দল থেকে বহিষ্কার না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে মামলার বাদী নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি এখনও সন্তানদের নিয়ে আতংকে দিনযাপন করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সন্তানদের নিয়ে আমি ভয়ে আছি। কিন্তু এই সাত মাসেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হল না। তিনি বলেন, নজরুল অপহরণের পনের দিন আগে থেকেই তারা হুমকি দিয়ে আসছিল যে, আমার স্বামীকে তারা মেরে ফেলবে। আমি একথা বারবার বলার পরেও প্রশাসন তাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। মূলত তারাই পরিকল্পনা করে র্যাব দিয়ে আমার স্বামীসহ সাত জনকে খুন করেছে।
র্যাব প্রসঙ্গে সেলিনা ইসলাম বলেন, র্যাবের সঙ্গে আমার স্বামীর কোনো ধরনের শত্রুতা ছিল নো। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। নূর হোসেন ও তার সহযোগীরাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। দোষী র্যাব সদস্যদের সাজা প্রদানের আগে নূর হোসেনদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বাদীপক্ষের প্রতি আশ্বাস প্রদান করে বলেন, তদন্তে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে। এই মামলার ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণ আমরা জোগাড় করেছি। আমাদের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অহেতুক সময় অতিবাহিত হোক আমরা কখনোই চাই না। মামলার প্রকৃত চিত্র আমাদের কাছে স্পষ্ট। তিনি বলেন, বাদীপক্ষের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সময় লাগলেও আমরা চাই এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হোক। যেহেতু এটি একটি স্পর্শকাতর ও বড় মামলা। তাই আমরা তাড়াহুড়া করব না। চার্জশিট বিবেচনা করে একটি স্বচ্ছ ও মানসম্পন্ন তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার অপেক্ষায় আছি।
র্যাব প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের তদন্তে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়ে গেছে। যেহেতু তদন্ত এখনও চলছে তাই এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিপোর্ট খুবই স্বচ্ছভাবে দেয়া হবে। মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতার সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলেছে। নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকার অভিযোগ করেন, র্যাবের তদন্তে হত্যার পরিকল্পনাকারী অনেকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। র্যাব একপেশে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ডিবির তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, সরকার প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বিলম্ব করছে। মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর পেছনে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে আমাদের দেশের ৪০ জন সন্ত্রাসীর যে তালিকা দিয়েছে তাতে নূর হোসেনের নাম নেই। নূর হোসেনের চেয়ে অনেক নিচু স্তরের সন্ত্রাসীর নামও ওই তালিকায় রয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, সরকার চায় না নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। কেননা নূর হোসেনের মুখ থেকে অনেক রাঘববোয়ালের নাম বেরিয়ে আসতে পারে, যারা সাত খুনের পরিকল্পনায় জড়িত। এছাড়া নূর হোসেন ও মামলার আরেক আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন মিয়াকে দীর্ঘ সাত মাসেও দল থেকে বহিষ্কার না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে মামলার বাদী নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি এখনও সন্তানদের নিয়ে আতংকে দিনযাপন করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সন্তানদের নিয়ে আমি ভয়ে আছি। কিন্তু এই সাত মাসেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হল না। তিনি বলেন, নজরুল অপহরণের পনের দিন আগে থেকেই তারা হুমকি দিয়ে আসছিল যে, আমার স্বামীকে তারা মেরে ফেলবে। আমি একথা বারবার বলার পরেও প্রশাসন তাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। মূলত তারাই পরিকল্পনা করে র্যাব দিয়ে আমার স্বামীসহ সাত জনকে খুন করেছে।
র্যাব প্রসঙ্গে সেলিনা ইসলাম বলেন, র্যাবের সঙ্গে আমার স্বামীর কোনো ধরনের শত্রুতা ছিল নো। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। নূর হোসেন ও তার সহযোগীরাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। দোষী র্যাব সদস্যদের সাজা প্রদানের আগে নূর হোসেনদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বাদীপক্ষের প্রতি আশ্বাস প্রদান করে বলেন, তদন্তে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে। এই মামলার ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণ আমরা জোগাড় করেছি। আমাদের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অহেতুক সময় অতিবাহিত হোক আমরা কখনোই চাই না। মামলার প্রকৃত চিত্র আমাদের কাছে স্পষ্ট। তিনি বলেন, বাদীপক্ষের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সময় লাগলেও আমরা চাই এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হোক। যেহেতু এটি একটি স্পর্শকাতর ও বড় মামলা। তাই আমরা তাড়াহুড়া করব না। চার্জশিট বিবেচনা করে একটি স্বচ্ছ ও মানসম্পন্ন তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার অপেক্ষায় আছি।
র্যাব প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের তদন্তে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়ে গেছে। যেহেতু তদন্ত এখনও চলছে তাই এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিপোর্ট খুবই স্বচ্ছভাবে দেয়া হবে। মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতার সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলেছে। নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকার অভিযোগ করেন, র্যাবের তদন্তে হত্যার পরিকল্পনাকারী অনেকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। র্যাব একপেশে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
No comments