শিমুর আত্মহত্যা চেষ্টার নেপথ্যে by আল আমিন
বিসিএস দিবো। কলেজের শিক্ষক হবো। কিন্তু, আমার পরিবার আমার স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বাবা ও মায়ের একমাত্র মেয়ে হওয়ায় তারা আমাকে দ্রুত বিয়ে দিতে চায়। আমি রাজি হইনি। এজন্য আমার বাবা-মা-ভাই সবাই মিলে নির্যাতন করতো। বাড়ির বাইরে যেতে দিতো না। কোন উপায় না পেয়ে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে গিয়ে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। কথাগুলো কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন ইডেন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কামরুন নাহার শিমু। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে শিমু একটি পানির বোতলে থাকা কেরোসিন নিজের গায়ে ঢালতে থাকেন। পরে ব্যাগ থেকে ম্যাচের কাঠি বের করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দায়িত্ব পালনকারী দুই পুলিশ সদস্য তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। আত্মহত্যার চেষ্টার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে শিমুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-৬২। গতকাল সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, শিমু একজন মানসিক রোগী। তবে শিমু দাবি করেছেন যে, তিনি কোন মানসিক রোগী নন। তাকে মানসিক রোগী সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশিষ্ট মনোরোগ চিকিৎসক দিয়ে তাকে পরীক্ষা করার দাবি করেছেন তিনি।
গতকাল সকালে তেজগাঁও থানায় গিয়ে দেখা যায়, শিমুকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আটক করার পর থানায় পাশেই তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়। আদালতে যাবার আগে সাংবাদিকদের তিনি নিজের পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। শিমু দাবি করেন, ‘আমার ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল কলেজের শিক্ষক হয়ে নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হবো। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্যই দেশের সেরা কলেজ ইডেন কলেজে ২০১২ সালে সম্মানে ভর্তি হই। ভর্তি হওয়ার পরেই আমার এক বান্ধবীর মাধ্যমে ওই কলেজের হোস্টেলে উঠি। হোস্টেল জীবন খুব একটা ভাল লাগেনি। তাই লালবাগ থানাধীন আজিমপুরের পলাশীর ২২/বি নম্বর একটি বাসায় দুই বান্ধবী মিলে থাকতাম। তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার পরেই আমাকে পরিবার থেকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়া হয়। কিন্তু, আমি রাজি হইনি। তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় লালবাগ থানায় একটি জিডি করেছিলাম। কিন্তু, কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। শিমু আরও অভিযোগ করে বলেন, পরিবারে চাপের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে আমি রাজি হই এই বলে যে, অনার্স পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে বিয়ে করবো। কিন্তু, তারা কোন ছাড় দেয়নি। আমার পরিবারের সবাই আমাকে নির্যাতন করতো। গত বৃস্পতিবার সকালে আমি কাউকে না বলে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসি। এরপর সিদ্ধান্ত নেই, আমার প্রতিবাদের ভাষা যেখান থেকে দেশে ও বিদেশে প্রচারিত হবে সেখানে গিয়ে শক্ত প্রতিবাদ জানাবো। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রতিবাদের চেষ্টা করি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শিমুর বাবার নাম আবুল কাসেম। পেশায় শিক্ষক। গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার চেঙ্গুরিয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিমু হচ্ছেন দ্বিতীয়। শিমুর বাবা আবুল কাসেম দাবি করে বলেন, ‘শিমু ২ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। ঢাকার পলাশীর বাসা থেকে তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে আসে। পরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি, সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। এরপর আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। শিমুকে অত্যাচার নির্যাতন ও জোর করে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শিমুর ভাই কামরুজ্জামান জানান, ‘আমার বোন ঢাকায় পড়তো। পরিবারের সদস্যরা তার ওপর নির্যাতন চালাতো বলে সাংবাদিকদের কাছে যে অভিযোগ করেছে তা একেবারে ডাহা মিথ্যা কথা। তার আত্মহত্যার সংবাদ পত্র-পত্রিকায় আসায় আমরা লজ্জায় পড়েছি। শিমু যে ঢাকার পলাশীর ২২/বি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়িতে তালা বন্ধ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই রজিবুল ইসলাম জানান, ওই কলেজ ছাত্রী মানসিক হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারেরও দাবি, শিমুর মানসিক সমস্যা আছে। তবে মেয়েটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তার কোন মানসিক সমস্যা নেই। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার পরিবার তাকে অত্যাচার-নির্যাতন করতো। তিনি আরও বলেন, দুইজনের পক্ষ থেকে দুইরকম বক্তব্য পাওয়ায় পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। পুলিশের মামলায় ওই ছাত্রীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কোন রিমান্ড চাওয়া হয়নি।
গতকাল সকালে তেজগাঁও থানায় গিয়ে দেখা যায়, শিমুকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আটক করার পর থানায় পাশেই তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়। আদালতে যাবার আগে সাংবাদিকদের তিনি নিজের পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। শিমু দাবি করেন, ‘আমার ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল কলেজের শিক্ষক হয়ে নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হবো। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্যই দেশের সেরা কলেজ ইডেন কলেজে ২০১২ সালে সম্মানে ভর্তি হই। ভর্তি হওয়ার পরেই আমার এক বান্ধবীর মাধ্যমে ওই কলেজের হোস্টেলে উঠি। হোস্টেল জীবন খুব একটা ভাল লাগেনি। তাই লালবাগ থানাধীন আজিমপুরের পলাশীর ২২/বি নম্বর একটি বাসায় দুই বান্ধবী মিলে থাকতাম। তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার পরেই আমাকে পরিবার থেকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়া হয়। কিন্তু, আমি রাজি হইনি। তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় লালবাগ থানায় একটি জিডি করেছিলাম। কিন্তু, কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। শিমু আরও অভিযোগ করে বলেন, পরিবারে চাপের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে আমি রাজি হই এই বলে যে, অনার্স পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে বিয়ে করবো। কিন্তু, তারা কোন ছাড় দেয়নি। আমার পরিবারের সবাই আমাকে নির্যাতন করতো। গত বৃস্পতিবার সকালে আমি কাউকে না বলে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসি। এরপর সিদ্ধান্ত নেই, আমার প্রতিবাদের ভাষা যেখান থেকে দেশে ও বিদেশে প্রচারিত হবে সেখানে গিয়ে শক্ত প্রতিবাদ জানাবো। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রতিবাদের চেষ্টা করি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শিমুর বাবার নাম আবুল কাসেম। পেশায় শিক্ষক। গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার চেঙ্গুরিয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিমু হচ্ছেন দ্বিতীয়। শিমুর বাবা আবুল কাসেম দাবি করে বলেন, ‘শিমু ২ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। ঢাকার পলাশীর বাসা থেকে তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে আসে। পরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি, সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। এরপর আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। শিমুকে অত্যাচার নির্যাতন ও জোর করে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শিমুর ভাই কামরুজ্জামান জানান, ‘আমার বোন ঢাকায় পড়তো। পরিবারের সদস্যরা তার ওপর নির্যাতন চালাতো বলে সাংবাদিকদের কাছে যে অভিযোগ করেছে তা একেবারে ডাহা মিথ্যা কথা। তার আত্মহত্যার সংবাদ পত্র-পত্রিকায় আসায় আমরা লজ্জায় পড়েছি। শিমু যে ঢাকার পলাশীর ২২/বি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়িতে তালা বন্ধ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই রজিবুল ইসলাম জানান, ওই কলেজ ছাত্রী মানসিক হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারেরও দাবি, শিমুর মানসিক সমস্যা আছে। তবে মেয়েটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তার কোন মানসিক সমস্যা নেই। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার পরিবার তাকে অত্যাচার-নির্যাতন করতো। তিনি আরও বলেন, দুইজনের পক্ষ থেকে দুইরকম বক্তব্য পাওয়ায় পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। পুলিশের মামলায় ওই ছাত্রীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কোন রিমান্ড চাওয়া হয়নি।
No comments