কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার জনসভা আজ
গুম-খুন-হত্যা, দুর্নীতি-অপশাসন বন্ধ এবং
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত
জনসভায় যোগ দিতে আজ কুমিল্লা আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
কুমিল্লা টাউন হলে বিকালে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার টোলপ্লাজা ও গৌরীপুর স্টেশনে বিএনপির তোরণ-ব্যানারে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ এ সময় লাঠিচার্জও করে। রাত সাড়ে দশটায় এ রিপোর্ট লেখাকালে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি নেতাদের দাবি সরকারপন্থী নেতাকর্মীরা এ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
খালেদা জিয়ার এ জনসভা সফল করতে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। জনসভাকে ঘিরে জেলার সর্বত্রই সাজসাজ অবস্থা। নেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা নির্মাণ করেছেন তোরণ, লাগিয়েছেন ফেস্টুন। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে কুমিল্লা মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক। মাইকিং, পোস্টার, দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচারণায় এখন মুখরিত উপজেলা থেকে মহানগরী। জানা যায়, জনসভা সফল করতে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, লেবার পার্টি, এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ জোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ উপজেলার ১১টি সংসদীয় আসন থেকেই জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। জনসভাস্থল ও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২২৬টি মাইক স্থাপন এবং নগরীর ৬টি স্থানে বড় পর্দায় খালেদা জিয়াসহ নেতাদের বক্তব্য সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে জনসভাকে ঘিরে এরই মধ্যে পুরো নগরী এবং মহাসড়কের পাশে খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ২০ দলীয় জোটের নেত্রীকে স্বাগত জানাতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনের জোয়ারে ডিজিটাল ব্যানার-তোরণ, পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে কুমিল্লার জনপথ। জনসভাস্থলের চারপাশে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনের যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে সহস্রাধিক তোরণ। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভার কাজ শুরু হবে বেলা ২টায়।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার আজকের জনসভায় চাঁদপুর বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নেতৃত্বে একটি অংশ এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে অপর একটি অংশ জনসভায় যোগ দেবে বলে জানা গেছে। এছাড়া চাঁদপুরের তেরো জন নেতা যারা কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য তারা সবাই আলাদা হয়ে জনসভায় অংশ নেবেন। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, নূরুল হুদা, সাবেক এমপি এমএ মতিন, লায়ন হারুনুর রশিদ, জিএম ফজলুল হক, মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী, ড. জালাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আলাদা হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দেবেন।
জনসভায় বাধা দেয়ার অভিযোগ : আজ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনসভায় বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছে দলটি। শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করে বলেন, শনিবারের জনসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার নানা অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। জেলা নেতারা আমাদের জানিয়েছেন, দাউদকান্দি ও চান্দিনাসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় প্রশাসন বিএনপির নেতাকর্মীদের ভীতি প্রদর্শন করছে। পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে, তোরণ নির্মাণে বাধা দিচ্ছে।
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার টোলপ্লাজা ও গৌরীপুর স্টেশনে বিএনপির তোরণ-ব্যানারে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ এ সময় লাঠিচার্জও করে। রাত সাড়ে দশটায় এ রিপোর্ট লেখাকালে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি নেতাদের দাবি সরকারপন্থী নেতাকর্মীরা এ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
খালেদা জিয়ার এ জনসভা সফল করতে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। জনসভাকে ঘিরে জেলার সর্বত্রই সাজসাজ অবস্থা। নেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা নির্মাণ করেছেন তোরণ, লাগিয়েছেন ফেস্টুন। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে কুমিল্লা মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক। মাইকিং, পোস্টার, দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচারণায় এখন মুখরিত উপজেলা থেকে মহানগরী। জানা যায়, জনসভা সফল করতে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, লেবার পার্টি, এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ জোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ উপজেলার ১১টি সংসদীয় আসন থেকেই জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। জনসভাস্থল ও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২২৬টি মাইক স্থাপন এবং নগরীর ৬টি স্থানে বড় পর্দায় খালেদা জিয়াসহ নেতাদের বক্তব্য সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে জনসভাকে ঘিরে এরই মধ্যে পুরো নগরী এবং মহাসড়কের পাশে খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ২০ দলীয় জোটের নেত্রীকে স্বাগত জানাতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনের জোয়ারে ডিজিটাল ব্যানার-তোরণ, পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে কুমিল্লার জনপথ। জনসভাস্থলের চারপাশে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনের যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে সহস্রাধিক তোরণ। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভার কাজ শুরু হবে বেলা ২টায়।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার আজকের জনসভায় চাঁদপুর বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নেতৃত্বে একটি অংশ এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে অপর একটি অংশ জনসভায় যোগ দেবে বলে জানা গেছে। এছাড়া চাঁদপুরের তেরো জন নেতা যারা কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য তারা সবাই আলাদা হয়ে জনসভায় অংশ নেবেন। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, নূরুল হুদা, সাবেক এমপি এমএ মতিন, লায়ন হারুনুর রশিদ, জিএম ফজলুল হক, মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী, ড. জালাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আলাদা হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দেবেন।
জনসভায় বাধা দেয়ার অভিযোগ : আজ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনসভায় বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছে দলটি। শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করে বলেন, শনিবারের জনসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার নানা অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। জেলা নেতারা আমাদের জানিয়েছেন, দাউদকান্দি ও চান্দিনাসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় প্রশাসন বিএনপির নেতাকর্মীদের ভীতি প্রদর্শন করছে। পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে, তোরণ নির্মাণে বাধা দিচ্ছে।
No comments