নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশা
দীর্ঘ ১০ বছর পর খুলনা মহানগর আওয়ামী
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। দীর্ঘ দিন পর সম্মেলন হওয়ার
কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দেখা গেছে বিপুল
উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা। তারই ছোঁয়া লেগেছে নগরীর সর্বত্র। সম্মেলনকে কেন্দ্র
করে নগরীর চারদিকে সাজ সাজ রব। অসংখ্য তোরণ, বড় বড় বিল বোর্ড,
প্ল্যাকার্ড, প্যানা ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী।
বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় নেতানেত্রীর ছবিসংবলিত
ব্যানার শোভা পাচ্ছে নগরজুড়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোকসজ্জা করা
হয়েছে এক সপ্তাহ আগে থেকেই। সার্কিট হাউস ময়দানে তৈরি করা হয়েছে বিশাল
প্যান্ডেল ও মঞ্চ। আজ সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব শুরু হচ্ছে। পরে
বিকাল ৩টায় অফিসার্স ক্লাবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে।
সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারির সম্মেলনে তালুকদার আবদুল খালেককে সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক করে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়েছিল। বিভিন্ন অজুহাতে তিন বছরের ওই কমিটি আর কোনো সম্মেলন না করে টানা সাত বছর পার করেছে। পরে চলতি বছরে তিন দফায় তারিখ পেছানোর পর সর্বশেষ ২৯ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়।
এই সম্মেলন উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মহানগরীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বিশাল বহর এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। তাই এ সম্মেলনকে আকর্ষণীয়, প্রাণবন্ত, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কোনো প্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটবে না বলে জানানো হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আগামী তিন বছরের জন্য খুলনা মহানগরীর নেতৃত্ব নির্বাচন ও কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের আমলে খুলনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর সভাপতি সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খুলনা সদর আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানসহ নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতা ও সংসদ সদস্যরা। প্রধান বক্তা থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক ও সভাপতিত্ব করবেন নগর সভাপতি সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগে বর্তমানে তিনটি গ্রুপ। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন বর্তমান সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক, দ্বিতীয় গ্র“পের নেতৃত্বে আছেন সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান এবং সদ্য তৃতীয় গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্রুপে আছেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পপলু। সম্মেলন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকলেও তাদের আশংকা ভোটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন ছাড়াই সমঝোতার মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হতে পারে। নগর কমিটির বর্তমান সভাপতি বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোনো নেতা এই পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে সমঝোতা না হলে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নগর কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবারও একই পদে প্রার্থী হচ্ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পপলু এবং সদ্য নির্বাচিত খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে সাইফুল খালেক পক্ষের অন্যতম নেতা।
একাধিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সাত বছরে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় ও দলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সভাপতি খালেক ও সাধারণ সম্পাদক মিজানের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মিজান খুলনা সদর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। পরে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে খালেক গ্রুপের প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়লাভ করায় দুপক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তবে দলের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি সভাপতি খালেক ও সাধারণ সম্পাদক সব সময় অস্বীকার করে আসছেন। তারা বলেন, বিষয়টি অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না। সাধারণ সম্পাদক মিজান দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, সেই হিসেবে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে এবং আছে। কাউন্সিলররাই ঠিক করবেন কারা হবেন নগর কমিটির আগামী দিনের নেতা।
খালেক গ্রুপের অন্যতম নেতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জানান, নেতা নির্বাচনে কাউন্সিলররা তাদের মতামত দিতে চান। অর্থাৎ তারা ভোটের মধ্যমে নেতা নির্বাচিত করে কমিটি করতে চান। তাদের এই ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত।
সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারির সম্মেলনে তালুকদার আবদুল খালেককে সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক করে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়েছিল। বিভিন্ন অজুহাতে তিন বছরের ওই কমিটি আর কোনো সম্মেলন না করে টানা সাত বছর পার করেছে। পরে চলতি বছরে তিন দফায় তারিখ পেছানোর পর সর্বশেষ ২৯ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়।
এই সম্মেলন উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মহানগরীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বিশাল বহর এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। তাই এ সম্মেলনকে আকর্ষণীয়, প্রাণবন্ত, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কোনো প্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটবে না বলে জানানো হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আগামী তিন বছরের জন্য খুলনা মহানগরীর নেতৃত্ব নির্বাচন ও কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের আমলে খুলনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর সভাপতি সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খুলনা সদর আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানসহ নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতা ও সংসদ সদস্যরা। প্রধান বক্তা থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক ও সভাপতিত্ব করবেন নগর সভাপতি সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগে বর্তমানে তিনটি গ্রুপ। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন বর্তমান সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক, দ্বিতীয় গ্র“পের নেতৃত্বে আছেন সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান এবং সদ্য তৃতীয় গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এই গ্রুপে আছেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পপলু। সম্মেলন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকলেও তাদের আশংকা ভোটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন ছাড়াই সমঝোতার মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হতে পারে। নগর কমিটির বর্তমান সভাপতি বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোনো নেতা এই পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে সমঝোতা না হলে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নগর কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবারও একই পদে প্রার্থী হচ্ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান পপলু এবং সদ্য নির্বাচিত খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে সাইফুল খালেক পক্ষের অন্যতম নেতা।
একাধিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সাত বছরে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় ও দলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সভাপতি খালেক ও সাধারণ সম্পাদক মিজানের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মিজান খুলনা সদর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। পরে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে খালেক গ্রুপের প্যানেল নিরঙ্কুশ জয়লাভ করায় দুপক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তবে দলের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি সভাপতি খালেক ও সাধারণ সম্পাদক সব সময় অস্বীকার করে আসছেন। তারা বলেন, বিষয়টি অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না। সাধারণ সম্পাদক মিজান দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, সেই হিসেবে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে এবং আছে। কাউন্সিলররাই ঠিক করবেন কারা হবেন নগর কমিটির আগামী দিনের নেতা।
খালেক গ্রুপের অন্যতম নেতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জানান, নেতা নির্বাচনে কাউন্সিলররা তাদের মতামত দিতে চান। অর্থাৎ তারা ভোটের মধ্যমে নেতা নির্বাচিত করে কমিটি করতে চান। তাদের এই ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত।
No comments