সার্ক তবু কোনোভাবে ইজ্জত-মর্যাদা ধরে রাখতে পারল by মহিউদ্দিন আহমদ
প্রায় বিদ্যুৎ গতিতে সার্কের শেষদিন, সার্ক দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সম্পাদিত ‘সার্ক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর এনার্জি কো-অপারেশন’ সার্কের সদ্যসমাপ্ত ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনটিকে তবুও রক্ষা করেছে। তা না হলে শীর্ষ সম্মেলনের সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে সার্কের প্রাসঙ্গিকতার প্রশ্নটি আরও জোরাল হয়ে দেখা দিত। ২৯ বছর হল সার্কের বয়স। ইতিমধ্যে ১৮টি শীর্ষ সম্মেলনও হয়ে গেল এ ২৯ বছরে। কিন্তু এর অর্জনগুলো তেমন আশাপ্রদ বা সন্তোষজনক নয়। ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় ঝগড়া-ফ্যাসাদ সার্ককে আটকে রেখেছে। এ বিবাদ-বিসংবাদ চলতে থাকলে ভবিষ্যতেও এ সংস্থা তেমন সফল হবে বলে মনে হচ্ছে না। সার্কের ৮টি দেশের সরকারপ্রধানরা এ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান হিসেবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। কয়েকজন নতুন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানও যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আবুদল গাইয়ুম এই প্রথমবার শীর্ষ সম্মেলনে এসেছিলেন।
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেন কিনা, তারা একজন আরেকজনের দিকে তাকালেন কিনা- এ বিষয়গুলোতেই কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকের বেশি আগ্রহ ছিল। শেষ মুহূর্তে তারা হ্যান্ডশেক করেছেন, নেপালের অবকাশ কেন্দ্র ধেনুখেলে একটু দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের মধ্যে, একটু কথাবার্তাও তারা বলেছেন। এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে আজকের পত্রপত্রিকায় দেখা গেল।
ভারতের নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার কাশ্মীরের কতগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন, এ অভিযোগে পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক বাতিল করে দিল ভারত। তারপর কথাবার্তাও প্রায় বন্ধ দু’দেশের মধ্যে। একই অবস্থা দেখা গেল কাঠমান্ডুতে সার্কের শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে। তো পাকিস্তান কী এমন অপরাধ করে ফেলল, কাশ্মীরের এ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে? এই গ্রুপগুলোকে ভারত সরকারও তো নিষিদ্ধ করেনি। এ নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনার তো এর আগেও এমন কথাবার্তা বলেছেন। তখন তো এজন্য দু’দেশের মধ্যে আলোচনা থমকে থাকেনি।
অথচ গত মে মাসেই ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্কের অন্য সব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দাওয়াত করেছিলেন। নওয়াজ শরিফ নতুন দিল্লিতে ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেনও। তখন সারা দুনিয়াতে, বিশেষ করে সার্ক দেশগুলোতে আশা-ভরসা ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই এই দু’দেশের সম্পর্কে আবার বড় একটা সংশয়-সন্দেহ দেখা দিল। তবুও সার্কের এসব শীর্ষ সম্মেলনে সাইডলাইনে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্তত এ একটি ফোরামে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো তো আলোচনা করা যাচ্ছে। যেমন করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান- এসব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানি সমস্যা এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবার মনে করিয়ে দেয়ার সুযোগটা তো পেলেন এই শীর্ষ সম্মেলনে সাইডলাইনের এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে।
কখনও কখনও আমার মনে হয়, সার্ক সংগঠনটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থা ওআইসি আরব লীগ, ডি-৮-এর মতো খুবই ধীরগতির। এ সংগঠনগুলোর বয়স বাড়ছে, নিয়মিত সম্মেলনও হচ্ছে কিন্তু সাফল্য তেমন দেখা যায় না। আরব লীগ অবশ্য মূলত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। আরব লীগকে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোকে গুরুত্ব দিতে তেমন দেখা যায়নি।
অথচ এ সংগঠনগুলোর বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আসিয়ান, জিসিসি, ব্রিক্স, বাপেক্স এবং আসেম- এ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সাফল্য ও অর্জন অনেক বেশি জ্বলজ্বল করে।
সার্ক আঞ্চলিক সংগঠনটি কখন কী সাফল্য অর্জন করবে, তার জন্য অপেক্ষা না করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একে অন্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করি। ঠিক এ মুহূর্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য-চিকিৎসা কিংবা আÍীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভ্রমণেচ্ছুদের সহজতর ভিসা পদ্ধতি চালু করার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বছরের এ সময়টাতে উত্তরবঙ্গের কতগুলো জায়গায় আমাদের দু’দেশের মানুষকে কাঁটাতারের এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার এবং কথাবার্তা বলার সুযোগ করে দেয় আমাদের বিজিবি ও ভারতের বিএসএফ। এ সাক্ষাৎকারগুলোতে প্রবীণ আত্মীয়-স্বজনদের আবেগ-আনন্দের যে প্রকাশ আমি দেখি, তা আমাকে মুগ্ধ করে, করে বিচলিতও। এ সুযোগ এবং সুবিধাগুলো কয়েক ঘণ্টার জন্য নির্দিষ্ট না করে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কি বাড়ানো যায় না? সহজ করা যায় না?
সার্কের আওতায় কখন এক দেশের মানুষ আরেক দেশে গাড়িতে-বাসে-ট্রেনে চলাচল করতে পারবে - সে জন্য না হয় আমরা অপেক্ষা করতেই থাকি। কিন্তু আমাদের দু’দেশের মানুষ যেন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কাঁটাতারের এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে নিয়মিত কথা বলতে পারে- আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রুত এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অসুবিধা কোথায়? তাহলে আমাদের দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কটা আরেকটু বাড়বে।
মিডিয়ায় দেখেছি, বিদ্যুতের যে একটি চুক্তি শেষ পর্যন্ত সই হল- তা হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক তৎপরতায়। আমাদের এই ভূমিকাটা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ সার্ক গঠনের উদ্যোগও নিয়েছিল বাংলাদেশ। সার্ক গঠিতও হয়েছিল এ ঢাকা শহরে ১৯৮৫-র ডিসেম্বরে সুতরাং সার্ককে ধরে রাখা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা আমাদের একটু বেশি।
মহিউদ্দিন আহমদ : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব, কলাম লেখক
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেন কিনা, তারা একজন আরেকজনের দিকে তাকালেন কিনা- এ বিষয়গুলোতেই কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকের বেশি আগ্রহ ছিল। শেষ মুহূর্তে তারা হ্যান্ডশেক করেছেন, নেপালের অবকাশ কেন্দ্র ধেনুখেলে একটু দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের মধ্যে, একটু কথাবার্তাও তারা বলেছেন। এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে আজকের পত্রপত্রিকায় দেখা গেল।
ভারতের নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার কাশ্মীরের কতগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন, এ অভিযোগে পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক বাতিল করে দিল ভারত। তারপর কথাবার্তাও প্রায় বন্ধ দু’দেশের মধ্যে। একই অবস্থা দেখা গেল কাঠমান্ডুতে সার্কের শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে। তো পাকিস্তান কী এমন অপরাধ করে ফেলল, কাশ্মীরের এ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে? এই গ্রুপগুলোকে ভারত সরকারও তো নিষিদ্ধ করেনি। এ নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনার তো এর আগেও এমন কথাবার্তা বলেছেন। তখন তো এজন্য দু’দেশের মধ্যে আলোচনা থমকে থাকেনি।
অথচ গত মে মাসেই ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্কের অন্য সব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দাওয়াত করেছিলেন। নওয়াজ শরিফ নতুন দিল্লিতে ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেনও। তখন সারা দুনিয়াতে, বিশেষ করে সার্ক দেশগুলোতে আশা-ভরসা ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই এই দু’দেশের সম্পর্কে আবার বড় একটা সংশয়-সন্দেহ দেখা দিল। তবুও সার্কের এসব শীর্ষ সম্মেলনে সাইডলাইনে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্তত এ একটি ফোরামে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো তো আলোচনা করা যাচ্ছে। যেমন করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান- এসব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানি সমস্যা এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবার মনে করিয়ে দেয়ার সুযোগটা তো পেলেন এই শীর্ষ সম্মেলনে সাইডলাইনের এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে।
কখনও কখনও আমার মনে হয়, সার্ক সংগঠনটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থা ওআইসি আরব লীগ, ডি-৮-এর মতো খুবই ধীরগতির। এ সংগঠনগুলোর বয়স বাড়ছে, নিয়মিত সম্মেলনও হচ্ছে কিন্তু সাফল্য তেমন দেখা যায় না। আরব লীগ অবশ্য মূলত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। আরব লীগকে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোকে গুরুত্ব দিতে তেমন দেখা যায়নি।
অথচ এ সংগঠনগুলোর বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আসিয়ান, জিসিসি, ব্রিক্স, বাপেক্স এবং আসেম- এ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সাফল্য ও অর্জন অনেক বেশি জ্বলজ্বল করে।
সার্ক আঞ্চলিক সংগঠনটি কখন কী সাফল্য অর্জন করবে, তার জন্য অপেক্ষা না করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একে অন্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করি। ঠিক এ মুহূর্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য-চিকিৎসা কিংবা আÍীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভ্রমণেচ্ছুদের সহজতর ভিসা পদ্ধতি চালু করার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বছরের এ সময়টাতে উত্তরবঙ্গের কতগুলো জায়গায় আমাদের দু’দেশের মানুষকে কাঁটাতারের এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার এবং কথাবার্তা বলার সুযোগ করে দেয় আমাদের বিজিবি ও ভারতের বিএসএফ। এ সাক্ষাৎকারগুলোতে প্রবীণ আত্মীয়-স্বজনদের আবেগ-আনন্দের যে প্রকাশ আমি দেখি, তা আমাকে মুগ্ধ করে, করে বিচলিতও। এ সুযোগ এবং সুবিধাগুলো কয়েক ঘণ্টার জন্য নির্দিষ্ট না করে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কি বাড়ানো যায় না? সহজ করা যায় না?
সার্কের আওতায় কখন এক দেশের মানুষ আরেক দেশে গাড়িতে-বাসে-ট্রেনে চলাচল করতে পারবে - সে জন্য না হয় আমরা অপেক্ষা করতেই থাকি। কিন্তু আমাদের দু’দেশের মানুষ যেন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কাঁটাতারের এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে নিয়মিত কথা বলতে পারে- আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রুত এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অসুবিধা কোথায়? তাহলে আমাদের দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কটা আরেকটু বাড়বে।
মিডিয়ায় দেখেছি, বিদ্যুতের যে একটি চুক্তি শেষ পর্যন্ত সই হল- তা হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক তৎপরতায়। আমাদের এই ভূমিকাটা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ সার্ক গঠনের উদ্যোগও নিয়েছিল বাংলাদেশ। সার্ক গঠিতও হয়েছিল এ ঢাকা শহরে ১৯৮৫-র ডিসেম্বরে সুতরাং সার্ককে ধরে রাখা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা আমাদের একটু বেশি।
মহিউদ্দিন আহমদ : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব, কলাম লেখক
‘শিউলীতলা’, উত্তরা, ঢাকা
No comments