ফ্রান্সও ‘দায়েশ’ ডাকবে আইএস গোষ্ঠীকে
ইরাক ও সিরিয়ায় সম্প্রতি বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করা জঙ্গি সংগঠনটির নাম নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল, তাতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করল ফরাসি সরকার। তারা ওই জঙ্গিদের ‘গলাকাটা দায়েশ’ নামে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর ইন্ডিপেনডেন্টের।
শুরুতে জঙ্গিগোষ্ঠীটি ‘ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট’ (আইএসআইএল) নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত জুন মাসে জঙ্গিরা সিরিয়ার কিছু এলাকা এবং ইরাকের বড় একটা অংশ থেকে সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার পর ‘খিলাফত রাষ্ট্র’ গঠনের ঘোষণা দেয়। সেই সঙ্গে নিজেদের নাম পরিবর্তন করে কেবল ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস রাখে। তবে কোনো সংগঠনের নাম ‘স্টেট’ বা রাষ্ট্র হওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন ওঠে। বিশ্বজুড়ে তাদেরকে তখন থেকে আইএসআইএল এবং আইএস উভয় নামে ডাকা হতে থাকে।
আরবের নেতারা অবশ্য কট্টরপন্থী সুন্নি সংগঠনটিকে আইএসআইএল বা আইএস কোনো নামেই ডাকার পক্ষপাতী নন। তাঁরা শুরু থেকেই ওই জঙ্গিদের ‘দায়েশ’ নামে আখ্যায়িত করে আসছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ‘দায়েশ’ হচ্ছে আরবি ভাষার চারটি শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। শব্দগুলো হচ্ছে দৌলত আল-ইসলামিয়া ফাল-ইরাক ওয়া আল-শাম। আরব গণমাধ্যমের কাছেও সংগঠনটি এ নামেই পরিচিত। তবে এ নামটিকে আইএস অবমাননাকর হিসেবে বিবেচনা করে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস কয়েক দিন আগে তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই জঙ্গিদের দায়েশ নামে আখ্যায়িত করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, কোনোমতেই রাষ্ট্র নয়। তাই আমি ইসলামিক স্টেট নাম ব্যবহারের পক্ষে নই। কারণ, এটা ইসলাম, মুসলিম ও ইসলামপন্থী শব্দগুলোর মধ্যকার সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে তোলে। আরবরা একে দায়েশ বলে ডাকে। আর আমি তাদের ডাকব “গলাকাটা দায়েশ” বলে।’
মার্কিন হামলার প্রতিবাদে আইএস জঙ্গিরা তাদের হাতে বন্দী কয়েকজন পশ্চিমা জিম্মিকে গলা কেটে হত্যা করেছে। ওই হত্যার ছবি তারা নিজেরাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করেছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের একদল জ্যেষ্ঠ ইমাম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ইরাক-সিরিয়ার ওই জঙ্গিদের ‘ইসলামিক স্টেট’ ডাকা বন্ধ করার আহ্বান জানান। ওই ইমামদের মতে, তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যাদের মত ও বিশ্বাসের সঙ্গে ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাসের কোনো মিল নেই।
আইএসের আক্রমণের মুখে কুর্দি যোদ্ধারা: সিরিয়ার কুর্দি-অধ্যুষিত কোবানি শহর রক্ষায় নিয়োজিত কুর্দি মিলিশিয়ারা গত সোমবার রাতে আইএসের প্রচণ্ড আক্রমণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ছিল বেশ কয়েক দফায় আত্মঘাতী বোমা হামলা। প্রতিবেশী তুরস্কের সীমান্ত হয়ে যাতে কোনো সহায়তা কুর্দি যোদ্ধাদের কাছে না পৌঁছাতে পারে, সে জন্য এসব হামলা চালানো হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
তুরস্ক গত সোমবার ঘোষণা দেয়, কোবানি শহরের পতন ঠেকাতে তারা ইরাক থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তবে গতকাল মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সহায়তা কোবানিতে পৌঁছায়নি।
শুরুতে জঙ্গিগোষ্ঠীটি ‘ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট’ (আইএসআইএল) নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত জুন মাসে জঙ্গিরা সিরিয়ার কিছু এলাকা এবং ইরাকের বড় একটা অংশ থেকে সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার পর ‘খিলাফত রাষ্ট্র’ গঠনের ঘোষণা দেয়। সেই সঙ্গে নিজেদের নাম পরিবর্তন করে কেবল ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস রাখে। তবে কোনো সংগঠনের নাম ‘স্টেট’ বা রাষ্ট্র হওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন ওঠে। বিশ্বজুড়ে তাদেরকে তখন থেকে আইএসআইএল এবং আইএস উভয় নামে ডাকা হতে থাকে।
আরবের নেতারা অবশ্য কট্টরপন্থী সুন্নি সংগঠনটিকে আইএসআইএল বা আইএস কোনো নামেই ডাকার পক্ষপাতী নন। তাঁরা শুরু থেকেই ওই জঙ্গিদের ‘দায়েশ’ নামে আখ্যায়িত করে আসছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ‘দায়েশ’ হচ্ছে আরবি ভাষার চারটি শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। শব্দগুলো হচ্ছে দৌলত আল-ইসলামিয়া ফাল-ইরাক ওয়া আল-শাম। আরব গণমাধ্যমের কাছেও সংগঠনটি এ নামেই পরিচিত। তবে এ নামটিকে আইএস অবমাননাকর হিসেবে বিবেচনা করে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস কয়েক দিন আগে তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই জঙ্গিদের দায়েশ নামে আখ্যায়িত করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, কোনোমতেই রাষ্ট্র নয়। তাই আমি ইসলামিক স্টেট নাম ব্যবহারের পক্ষে নই। কারণ, এটা ইসলাম, মুসলিম ও ইসলামপন্থী শব্দগুলোর মধ্যকার সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে তোলে। আরবরা একে দায়েশ বলে ডাকে। আর আমি তাদের ডাকব “গলাকাটা দায়েশ” বলে।’
মার্কিন হামলার প্রতিবাদে আইএস জঙ্গিরা তাদের হাতে বন্দী কয়েকজন পশ্চিমা জিম্মিকে গলা কেটে হত্যা করেছে। ওই হত্যার ছবি তারা নিজেরাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করেছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের একদল জ্যেষ্ঠ ইমাম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ইরাক-সিরিয়ার ওই জঙ্গিদের ‘ইসলামিক স্টেট’ ডাকা বন্ধ করার আহ্বান জানান। ওই ইমামদের মতে, তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যাদের মত ও বিশ্বাসের সঙ্গে ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাসের কোনো মিল নেই।
আইএসের আক্রমণের মুখে কুর্দি যোদ্ধারা: সিরিয়ার কুর্দি-অধ্যুষিত কোবানি শহর রক্ষায় নিয়োজিত কুর্দি মিলিশিয়ারা গত সোমবার রাতে আইএসের প্রচণ্ড আক্রমণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ছিল বেশ কয়েক দফায় আত্মঘাতী বোমা হামলা। প্রতিবেশী তুরস্কের সীমান্ত হয়ে যাতে কোনো সহায়তা কুর্দি যোদ্ধাদের কাছে না পৌঁছাতে পারে, সে জন্য এসব হামলা চালানো হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
তুরস্ক গত সোমবার ঘোষণা দেয়, কোবানি শহরের পতন ঠেকাতে তারা ইরাক থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তবে গতকাল মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সহায়তা কোবানিতে পৌঁছায়নি।
No comments