ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পরিবর্তন আনার আগে... by সেলিম আল রাজ
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটছে অনেক কিছুর। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়েছে। তবে শিক্ষার মান কতটা বেড়েছে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এটি আমার আলোচ্য বিষয় নয়। সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ব্যবস্থা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই।
১৫ অক্টোবর রাতে বিটিভিতে প্রচারিত সংবাদপত্র বিষয়ক টকশোয় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক। প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা। স্যার যে বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করে দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না দেয়ার কথা বলেছেন, মানছি তাতে বেশ যুুক্তি রয়েছে। তবে চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য তা অত্যন্ত হতাশাজনক। চলমান রীতি অনুযায়ী প্রথমবার সুযোগ না পেলে, পরবর্তী বছরে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। আবার কেউ কেউ অধিকতর ভালো কোনো বিষয়ে পড়াশোনার সক্ষমতা অর্জন করে। এ অবস্থায় কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে এ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করলে অনেকেরই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন চিরতরে ভঙ্গ হবে।
আগে থেকে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়টি জানা থাকলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্চ্য হতো না। তাই ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। অথবা দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীরা যেহেতু অনেকটা সময় পায়, সেহেতু তাদের সঙ্গে প্রথমবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা হারে কিছু নম্বর ব্যবধান রাখা যেতে পারে। এছাড়া ভর্তি কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন এনে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষাও গ্রহণ করা যেতে পারে। সর্বোপরি দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর মতো একযোগে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কথাও ভাবা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন পরীক্ষার্থীরা স্বস্তি পাবে, শিক্ষার্থীর পরিবার ও অভিভাবকরা আর্থিকভাবেও উপকৃত হবে।
সেলিম আল রাজ
সাংগঠনিক সম্পাদক
গৌরীপুর যুগান্তর স্বজন সমাবেশ
selim1989gouripur@gmail.com
১৫ অক্টোবর রাতে বিটিভিতে প্রচারিত সংবাদপত্র বিষয়ক টকশোয় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক। প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা। স্যার যে বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করে দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না দেয়ার কথা বলেছেন, মানছি তাতে বেশ যুুক্তি রয়েছে। তবে চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য তা অত্যন্ত হতাশাজনক। চলমান রীতি অনুযায়ী প্রথমবার সুযোগ না পেলে, পরবর্তী বছরে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। আবার কেউ কেউ অধিকতর ভালো কোনো বিষয়ে পড়াশোনার সক্ষমতা অর্জন করে। এ অবস্থায় কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে এ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করলে অনেকেরই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন চিরতরে ভঙ্গ হবে।
আগে থেকে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়টি জানা থাকলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্চ্য হতো না। তাই ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। অথবা দ্বিতীয়বার শিক্ষার্থীরা যেহেতু অনেকটা সময় পায়, সেহেতু তাদের সঙ্গে প্রথমবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা হারে কিছু নম্বর ব্যবধান রাখা যেতে পারে। এছাড়া ভর্তি কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন এনে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষাও গ্রহণ করা যেতে পারে। সর্বোপরি দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর মতো একযোগে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কথাও ভাবা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন পরীক্ষার্থীরা স্বস্তি পাবে, শিক্ষার্থীর পরিবার ও অভিভাবকরা আর্থিকভাবেও উপকৃত হবে।
সেলিম আল রাজ
সাংগঠনিক সম্পাদক
গৌরীপুর যুগান্তর স্বজন সমাবেশ
selim1989gouripur@gmail.com
No comments