তোপের মুখে আইনমন্ত্রী
সদ্যপ্রয়াত জনবুদ্ধিজীবী অধ্যাপক পিয়াস করিমের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা নিয়ে আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের দেয়া বক্তব্যে সরকারের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সরকার সমর্থক হিসেবে পরিচিত কয়েকটি সংগঠন গতকাল আইনমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ্বিক্ষোভ করেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভের সময় এসব সংগঠনের কর্মীরা আইনমন্ত্রীর কুশপুতুলও পোড়ান। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা আনিসুল হককে ‘নব্য রাজাকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এর আগে যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ অভিহিত করেন। তবে এখনই আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের কোন ধরনের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটছে না। তার বক্তব্যের ব্যাপারে তিনি এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করেছেন। আইনমন্ত্রীর কোন ধরনের পদত্যাগের আশঙ্কাও নাকচ করেছে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। অধ্যাপক পিয়াস করিমের মৃত্যুর পর থেকেই তার এবং তার পিতার মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সরকার সমর্থক কয়েকটি সংগঠনের বিরোধিতার কারণে তার লাশ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেয়া যায়নি। এ বিতর্কের পটভূমিতে রোববার আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন, পিয়াস করিম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করতে গিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন। আর তাকে ছাড়াতেই কুমিল্লায় শান্তি কমিটিতে যোগ দিতে বাধ্য হন তার পিতা এমএ করিম। এ বক্তব্যের জন্য আইনমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম ও কৃষক শ্রমিক পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ করে। জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিলের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)-এর সভাপতি ও গণজাগরণ মঞ্চের নেতা কবির চৌধুরী তন্ময় ও মো. হাবিবুল্লাহ, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি) চেয়ারম্যান লায়ন সালাম মাহমুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি কবি আবদুল খালেক প্রমুখ।
এমএ জলিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পিয়াস করিম কুমিল্লার কোথাও লিফলেট বিলি করে নাই। আমরা যেহেতু কেউ দেখিও নাই এমনকি এর আগে কখনও শুনিও নাই যে, পিয়াস করিম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেছেন। কেবলমাত্র আইনমন্ত্রী আনিসুল হকই ওই ঘটনা জানেন। তিনি মন্ত্রীর এমন গর্হিত কাজের জন্য অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগের দাবি করে আনিসুল হকের অতীত খুঁজে দেখার দাবি করেন। কবির চৌধুরী তন্ময় বলেন, স্বাধীনতাকামী লক্ষ কোটি মানুষ শাহবাগের আন্দোলনকে সাধুবাদ জানালেও রাজাকার পিয়াস করিম এর সমালোচনা করেছেন। তিনি এ আন্দোলনকে তখন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করেছেন। আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সেই নব্য রাজাকার পিয়াস করিমের পক্ষ অবলম্বন করে মুক্তিযুদ্ধের সময় লিফলেট বিতরণ করেছেন বলে বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য আমাদেরকে নতুন করে আইনমন্ত্রীর সম্পর্কে প্রশ্ন তৈরি করেছে যে, তিনিও নব্য রাজাকার দলের কেউ কিনা। তাই অনতিবিলম্বে মন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যদি তিনি তা না করেন তবে তার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন। কবি মো. আবদুল খালেক বলেন, আইনমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জাতির কাছে এক নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যেমন বিরোধী দলের আন্দোলনকে চাঙ্গা করার জন্য বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল- তেমনি আইনমন্ত্রী নিজে এমন কিছু করতে চাইছেন কিনা তা এখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভাবতে হবে। তা নাহলে এ কে খন্দকারের মতো দুষ্কৃতকারীরা ঘাপটি মেরে থাকার পর সময় সুযোগ বুঝে জাতিকে বিভ্রান্ত করবে। লায়ন সালাম মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে আইনমন্ত্রীকে অপসারণের নোটিশ দেন। তা নাহলে আপনার নির্বাচনী ওয়াদা রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। একসময় এসব জ্ঞানপাপী আপনার বাধা হয়ে দাঁড়াবে। মানববন্ধন শেষে আইনমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। এ সময় ‘‘নব্য রাজাকার, নব্য রাজাকার, আনিসুল হক আনিসুল হক, অপসারণ চাই, অপসারণ চাই, আইনমন্ত্রীর অপসারণ চাই” বলে নানা স্লোগান দিতে থাকে নেতাকর্মীরা।
এমএ জলিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পিয়াস করিম কুমিল্লার কোথাও লিফলেট বিলি করে নাই। আমরা যেহেতু কেউ দেখিও নাই এমনকি এর আগে কখনও শুনিও নাই যে, পিয়াস করিম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেছেন। কেবলমাত্র আইনমন্ত্রী আনিসুল হকই ওই ঘটনা জানেন। তিনি মন্ত্রীর এমন গর্হিত কাজের জন্য অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগের দাবি করে আনিসুল হকের অতীত খুঁজে দেখার দাবি করেন। কবির চৌধুরী তন্ময় বলেন, স্বাধীনতাকামী লক্ষ কোটি মানুষ শাহবাগের আন্দোলনকে সাধুবাদ জানালেও রাজাকার পিয়াস করিম এর সমালোচনা করেছেন। তিনি এ আন্দোলনকে তখন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করেছেন। আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সেই নব্য রাজাকার পিয়াস করিমের পক্ষ অবলম্বন করে মুক্তিযুদ্ধের সময় লিফলেট বিতরণ করেছেন বলে বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য আমাদেরকে নতুন করে আইনমন্ত্রীর সম্পর্কে প্রশ্ন তৈরি করেছে যে, তিনিও নব্য রাজাকার দলের কেউ কিনা। তাই অনতিবিলম্বে মন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যদি তিনি তা না করেন তবে তার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন। কবি মো. আবদুল খালেক বলেন, আইনমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জাতির কাছে এক নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যেমন বিরোধী দলের আন্দোলনকে চাঙ্গা করার জন্য বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল- তেমনি আইনমন্ত্রী নিজে এমন কিছু করতে চাইছেন কিনা তা এখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভাবতে হবে। তা নাহলে এ কে খন্দকারের মতো দুষ্কৃতকারীরা ঘাপটি মেরে থাকার পর সময় সুযোগ বুঝে জাতিকে বিভ্রান্ত করবে। লায়ন সালাম মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে আইনমন্ত্রীকে অপসারণের নোটিশ দেন। তা নাহলে আপনার নির্বাচনী ওয়াদা রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ ভেস্তে যাবে। একসময় এসব জ্ঞানপাপী আপনার বাধা হয়ে দাঁড়াবে। মানববন্ধন শেষে আইনমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। এ সময় ‘‘নব্য রাজাকার, নব্য রাজাকার, আনিসুল হক আনিসুল হক, অপসারণ চাই, অপসারণ চাই, আইনমন্ত্রীর অপসারণ চাই” বলে নানা স্লোগান দিতে থাকে নেতাকর্মীরা।
No comments