আমি ক্লিনটনের প্রেমে পড়েছিলাম
হোয়াইট হাউসের সাবেক শিক্ষানবিস কর্মী মনিকা লিউনস্কি বলেছেন, ‘আমি সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রেমে পড়েছিলাম। ২২ বছর বয়সে আমি আমার বসের প্রেমে পড়েছিলাম। কিন্তু আমার বস তো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।’ তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে আমাদের প্রেমের শুরু, যা প্রায় দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। সে সময় এটাই ছিল আমার সবকিছু। কিন্তু সেই নোংরা বিষয়টা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল এবং জনগণ প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠেছিল। ঘটনার ১৩ বছর পর প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলে মনিকা তার লজ্জা, হতাশা ও আত্মঘাতী হওয়ার চিন্তার কথা শ্রোতাদের কাছে অকপটে তুলে ধরেন। ফিলাডেলফিয়ায় এক ফোরামে আবেগঘন বক্তৃতাকালে তিনি আরও বলেন, আমিই প্রথম ব্যক্তি ইন্টারনেট টানাহেঁচড়ায় যার খ্যাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। ওই খবর ফাঁসের পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেসব সংবাদ ও গালগল্প প্রচারিত হয় সেগুলোর কারণে ওই সময় আমি আত্মহত্যার কথা ভেবেছি। তিনি বলেন, কম্পিউটারের পর্দায় লেখাগুলো দেখে ‘ও ঈশ্বর’ বলে চিৎকার করতাম। তখন কেবল ভাবতাম ‘আমি মরতে চাই’।
সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজিত ফোর্বস থার্টি আন্ডার থার্টি সম্মেলনে ৪১ বছর বয়সী মনিকা জানান, সে কারণে সাইবার নিপীড়নের শিকার যারা তাদের রক্ষায় তিনি এগিয়ে আসতে চান। তিনি বলেন, এখন থেকে যারা এ ধরনের সাইবার নিপীড়নের শিকার হবেন তাদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি। মনিকা লিউনস্কি আরও বলেন, ইন্টারনেট যুগের একেবারে প্রথম দিক হলেও তিনি তীব্রভাবেই সাইবার পীড়নের শিকার হয়েছেন। ক্লিনটনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে ঘরে ঘরে তাকে নিয়ে হাসি তামাশা চলতো। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট আরও দুর্নিবার। তাই নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি অন্যদের এ ধরনের পরিস্থিতি অতিক্রমে সাহায্য করবেন। ক্লিনটনের সঙ্গে মনিকার সম্পর্কের খবর ১৯৯৮ সালে ড্রুর্জ রিপোর্টে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এটি বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়ে ওঠে। ওই বছর ক্লিনটন প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হলেও সিনেটে রেহাই পেয়ে যান। কিন্তু মনিকা লিউনস্কি কেলেংকারির অন্ধকার ঘূর্ণিতে তলিয়ে যান। বর্তমানে ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিন অনিয়মিত কলাম লিখছেন মনিকা।
No comments