বাস্তবসম্মত কর্মমুখী শিক্ষানীতি প্রয়োজন by শাকিল
একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে শিক্ষা। শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তিই পারে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি ক্রটি থাকে, তাহলে কীভাবে দেশের উন্নয়ন সম্ভব? আমাদের দেশে বর্তমানে যে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে, এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী পাচ্ছি ঠিকই কিন্তু দক্ষ জনগোষ্ঠী পাচ্ছি না। আর দক্ষ জনগোষ্ঠী পাচ্ছি না বলেই আমরা আমাদের মানবসম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে পারছি না। ফলে কাক্সিক্ষত উন্নয়নও সম্ভব হচ্ছে না। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশে ৫টি শিক্ষা কমিশন ও ৩টি শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করলেও এসব শিক্ষানীতি দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। দেশের অর্থনীতির জন্য রেমিট্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাওয়া সম্ভব। স্বাধীনতার পর ৭ কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়া কঠিন ছিল। আজ ১৬ কোটি মানুষের খাবারের অভাব নেই। এটি সম্ভব হয়েছে কৃষি শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে। কৃষি শিক্ষার মত কর্মমুখী শিক্ষা যদি সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অবশ্যই ত্বরান্বিত হবে।
দেশে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারলে চাকরি না পেয়ে কাউকে হতাশ হয়ে বসে থাকতে হবে না। অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে মানুষ নিজেই তার কাজের ব্যবস্থা করতে পারবে, সেইসঙ্গে অন্যদের কাজের সুযোগও সৃষ্টি করতে পারবে। বিশ্ব আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরও অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী।
শাকিল
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
দেশে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারলে চাকরি না পেয়ে কাউকে হতাশ হয়ে বসে থাকতে হবে না। অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে মানুষ নিজেই তার কাজের ব্যবস্থা করতে পারবে, সেইসঙ্গে অন্যদের কাজের সুযোগও সৃষ্টি করতে পারবে। বিশ্ব আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরও অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী।
শাকিল
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
No comments