সংসদীয় আসনের সীমানা-জনসংখ্যার সঠিক বণ্টনই কাম্য ছিল
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস
বাকি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে একটি গুরুদায়িত্ব ছিল আসন পুনর্বিন্যাস
ও সীমানা নির্ধারণ। কয়েক দফা শুনানি ও মতামত গ্রহণের পর অবশেষে সীমানা
পুনর্নির্ধারণের কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।
গেজেট আকারে তা
প্রকাশেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ১৯টি জেলায় ৫৩টি আসনের সীমানা
পুনর্নির্ধারিত হয়েছে। বাকি ৪৫টি জেলার ২৪৭টি আসনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
নতুন এ বিন্যাস নিয়ে দু-একটি বিক্ষিপ্ত মন্তব্য ছাড়া এখন পর্যন্ত বড় ধরনের
কোনো আপত্তি বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য গেজেট প্রকাশের পরই পাওয়া
যেতে পারে আনুষ্ঠানিক আপত্তি। তবে প্রাথমিক বিবেচনায় এটিকে প্রয়োজনীয়
পুনর্বিন্যাস হিসেবেই উল্লেখ করা যায়।
ইতিপূর্বে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। সে সময় ১৩০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ইতিমধ্যে আরেকটি আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১১ সালে। জনসংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি ভোটারের স্থানান্তরও হয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণ স্বাভাবিকভাবেই জরুরি হয়ে পড়েছিল। এ লক্ষ্যে ইসি গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে। অবশ্য তাতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের ১০টি দল অংশ নেয়নি। এ ছাড়া ইসির পক্ষ থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সুধীসমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথকভাবে মতবিনিময় করা হয়। সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি খসড়া আকারে ৮৯টি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর শুনানিকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উত্থাপিত দাবি ও আপত্তিসমূহ বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্তভাবে ৫৩টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে, এ পুনর্বিন্যাস আগামী নির্বাচনের পথ সুগম করবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমান পুনর্বিন্যাসে প্রতিটি জেলার আসনসংখ্যা ঠিক রাখা, আগের সীমানা যথাসম্ভব বহাল রাখা, এক জেলার আসন অন্য জেলায় সম্প্রসারণ না করা, সম্ভবমতো উপজেলা ও স্থানীয় সরকার কাঠামোগুলোর সীমানা অটুট রাখা, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ সুবিধা ইত্যাদি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব বিবেচনাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভোটার সংখ্যার দিকটি উপেক্ষিত হয়েছে। ফলে আসনভেদে ভোটার সংখ্যার বিশাল তারতম্য থেকেই যাবে। অবশ্য কোথাও কোথাও ভৌগোলিক অবস্থান একটি বিশাল সমস্যা হয়েছিল। যেমন যশোর-৬ আসনটি ছিল ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এতে প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালানো যেমন কষ্টকর ছিল, তেমনি ভোটারদেরও পড়তে হয়েছে নানা ভোগান্তিতে। আবার নদী, হাওরসহ প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতাগুলোও বিবেচনায় না নিয়ে উপায় নেই। তার পরও জনসংখ্যা বণ্টনে যথাসম্ভব সমতা রক্ষা করাটাই কাম্য ছিল। ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন এ দিকটিতে আরো মনোযোগী হবে- এমনটাই প্রত্যাশিত।
ইতিপূর্বে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। সে সময় ১৩০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ইতিমধ্যে আরেকটি আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১১ সালে। জনসংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি ভোটারের স্থানান্তরও হয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণ স্বাভাবিকভাবেই জরুরি হয়ে পড়েছিল। এ লক্ষ্যে ইসি গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে। অবশ্য তাতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের ১০টি দল অংশ নেয়নি। এ ছাড়া ইসির পক্ষ থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সুধীসমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথকভাবে মতবিনিময় করা হয়। সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি খসড়া আকারে ৮৯টি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর শুনানিকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উত্থাপিত দাবি ও আপত্তিসমূহ বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্তভাবে ৫৩টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে, এ পুনর্বিন্যাস আগামী নির্বাচনের পথ সুগম করবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমান পুনর্বিন্যাসে প্রতিটি জেলার আসনসংখ্যা ঠিক রাখা, আগের সীমানা যথাসম্ভব বহাল রাখা, এক জেলার আসন অন্য জেলায় সম্প্রসারণ না করা, সম্ভবমতো উপজেলা ও স্থানীয় সরকার কাঠামোগুলোর সীমানা অটুট রাখা, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ সুবিধা ইত্যাদি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব বিবেচনাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভোটার সংখ্যার দিকটি উপেক্ষিত হয়েছে। ফলে আসনভেদে ভোটার সংখ্যার বিশাল তারতম্য থেকেই যাবে। অবশ্য কোথাও কোথাও ভৌগোলিক অবস্থান একটি বিশাল সমস্যা হয়েছিল। যেমন যশোর-৬ আসনটি ছিল ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এতে প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালানো যেমন কষ্টকর ছিল, তেমনি ভোটারদেরও পড়তে হয়েছে নানা ভোগান্তিতে। আবার নদী, হাওরসহ প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতাগুলোও বিবেচনায় না নিয়ে উপায় নেই। তার পরও জনসংখ্যা বণ্টনে যথাসম্ভব সমতা রক্ষা করাটাই কাম্য ছিল। ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন এ দিকটিতে আরো মনোযোগী হবে- এমনটাই প্রত্যাশিত।
No comments