গণতন্ত্রে উত্তোরণে মিসরের সামনে অনেক বাধা
সহজেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উত্তরণ
ঘটবে মিসরের- এমন কথা কেউ কখনো বলেননি। তবে সোমবার ভোরে রাজধানী কায়রোয়
প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের সদরদপ্তরে সংঘটিত সহিংসতা জানান দিয়েছে,
স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে দেশটির সামনে রয়েছে অন্তহীন কঠিন
বাস্তবতা।
ওই দিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা পড়ে সদ্য
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ৫১ সমর্থক। গণতান্ত্রিকভাবে
নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসির বিরুদ্ধে গত সপ্তাহের সেনা
অভ্যুত্থান এটা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট যে, আইনের শাসন ও প্রতিনিধিত্বমূলক
সরকারের ধ্যানধারণা আত্তীকরণের অবস্থা থেকে মিসর এখনো অনেক দূরে।
মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত মুরসির পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামা বিরোধীদের পক্ষ নিয়ে অভ্যুত্থান ঘটায় সেনাবাহিনী। এতে করে মুরসিবিরোধীদের কাছে ব্যাপকভাবে নন্দিত তারা। কিন্তু ইসলামপন্থী মুরসি-সমর্থকরা সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে 'গাদ্দারি' বলে মনে করেন। ফলে মুরসির সমর্থক ও বিরোধী- এ দুই পক্ষের মধ্যে ক্রমশ সংঘাত বাড়ছে। গভীরভাবে বিভাজিত দেশটি ঐক্যের পথে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।
মুরসিপন্থীদের বয়ানে সোমবারের ঘটনাটি 'গণহত্যা'। এ ঘটনার পর মুরসিবিরোধীদের (লিবারাল ও সেক্যুলার) সঙ্গ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে নূর পার্টি। ইসলামপন্থী একমাত্র এ দলটিই মুরসির উৎখাতে সেনা অভ্যুত্থানকে সমর্থন দিয়েছিল। মুরসি সমর্থকরাও সংবিধানবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় তাঁদের প্রিয় নেতার অপসারণ কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। মুরসিকে স্বপদে বহাল না করা পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ারও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও মুরসিবিরোধী উভয়ের ঘোষণা অনুযায়ী সব পক্ষের অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একটি ইসলামপন্থী দলও যদি সরকারে যোগ না দেয়, তবে সরকার গঠন সম্ভব হবে না। উভয় সংকটের কানাগলিতে ঘুরপাক খাওয়া মিসর আরব বসন্তের জেরে পরিবর্তনের পথে হাঁটা সব দেশের সামনে কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে। কিভাবে সবার অংশগ্রহণে বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব? কোন পন্থায় অনুদার গণতন্ত্রের পথ পরিহার করে মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখা সম্ভব? যে পথে উদারপন্থীদের কণ্ঠ রোধ করে ইসলামীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুরসি, সে পথ ধরেই ফের সামরিক একনায়কের খপ্পরে পড়তে যাচ্ছে মিসর?
মিসরের জন্য এখন একজন 'আরব নেলসন ম্যান্ডেলা'র দরকার, যিনি গভীর সামাজিক বিভাজন, অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও ধর্মীয় বিভেদ ছাপিয়ে মিসরীয় সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এল বারাদি বা তাঁর মতো যিনিই সব কিছুকে এক সুতোয় বাঁধতে যাবেন, তা নিয়ে হাজারটা প্রশ্ন উঠবে। তবে নিশ্চিতভাবে সেনাবাহিনীর কাজ নয় এটি। সন্দেহ নেই, মুরসি ভালো করতে পারেননি, কিন্তু তার মানে এই নয়, শেষ পর্যন্ত যিনিই তাঁর উত্তরসূরি হবেন, তিনি সহজেই ভালো করতে পারবেন।
যে পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুরসি- তা নিয়ে তোলা আপত্তির বৈধতা আছে সত্যি। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক অঙ্গনে সেনাবাহিনীকে নাক গলানোর সুযোগ করে দেওয়ায়, মিসরীয়রা যতটা ভেবেছিলেন, দৈত্যটাকে বাঙ্বন্দি করাটা তার চেয়েও হয়তো কঠিন হতে পারে। সূত্র : এপি।
মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত মুরসির পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামা বিরোধীদের পক্ষ নিয়ে অভ্যুত্থান ঘটায় সেনাবাহিনী। এতে করে মুরসিবিরোধীদের কাছে ব্যাপকভাবে নন্দিত তারা। কিন্তু ইসলামপন্থী মুরসি-সমর্থকরা সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে 'গাদ্দারি' বলে মনে করেন। ফলে মুরসির সমর্থক ও বিরোধী- এ দুই পক্ষের মধ্যে ক্রমশ সংঘাত বাড়ছে। গভীরভাবে বিভাজিত দেশটি ঐক্যের পথে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।
মুরসিপন্থীদের বয়ানে সোমবারের ঘটনাটি 'গণহত্যা'। এ ঘটনার পর মুরসিবিরোধীদের (লিবারাল ও সেক্যুলার) সঙ্গ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে নূর পার্টি। ইসলামপন্থী একমাত্র এ দলটিই মুরসির উৎখাতে সেনা অভ্যুত্থানকে সমর্থন দিয়েছিল। মুরসি সমর্থকরাও সংবিধানবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় তাঁদের প্রিয় নেতার অপসারণ কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। মুরসিকে স্বপদে বহাল না করা পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ারও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও মুরসিবিরোধী উভয়ের ঘোষণা অনুযায়ী সব পক্ষের অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একটি ইসলামপন্থী দলও যদি সরকারে যোগ না দেয়, তবে সরকার গঠন সম্ভব হবে না। উভয় সংকটের কানাগলিতে ঘুরপাক খাওয়া মিসর আরব বসন্তের জেরে পরিবর্তনের পথে হাঁটা সব দেশের সামনে কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে। কিভাবে সবার অংশগ্রহণে বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব? কোন পন্থায় অনুদার গণতন্ত্রের পথ পরিহার করে মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখা সম্ভব? যে পথে উদারপন্থীদের কণ্ঠ রোধ করে ইসলামীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুরসি, সে পথ ধরেই ফের সামরিক একনায়কের খপ্পরে পড়তে যাচ্ছে মিসর?
মিসরের জন্য এখন একজন 'আরব নেলসন ম্যান্ডেলা'র দরকার, যিনি গভীর সামাজিক বিভাজন, অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও ধর্মীয় বিভেদ ছাপিয়ে মিসরীয় সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এল বারাদি বা তাঁর মতো যিনিই সব কিছুকে এক সুতোয় বাঁধতে যাবেন, তা নিয়ে হাজারটা প্রশ্ন উঠবে। তবে নিশ্চিতভাবে সেনাবাহিনীর কাজ নয় এটি। সন্দেহ নেই, মুরসি ভালো করতে পারেননি, কিন্তু তার মানে এই নয়, শেষ পর্যন্ত যিনিই তাঁর উত্তরসূরি হবেন, তিনি সহজেই ভালো করতে পারবেন।
যে পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুরসি- তা নিয়ে তোলা আপত্তির বৈধতা আছে সত্যি। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক অঙ্গনে সেনাবাহিনীকে নাক গলানোর সুযোগ করে দেওয়ায়, মিসরীয়রা যতটা ভেবেছিলেন, দৈত্যটাকে বাঙ্বন্দি করাটা তার চেয়েও হয়তো কঠিন হতে পারে। সূত্র : এপি।
No comments