এর পরও টেন্ডারবাজি-বোধোদয় হবে কবে?
কয়লা ধুলেও যায় না ময়লা- কথাটির সত্যতা
আবারও প্রমাণ করেছে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসী। অভিযোগ রয়েছে, সোমবার
আবদুল গনি রোডে অবস্থিত বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করে রেখে দুটি কম্পানি ছাড়া আর
কাউকে দরপত্র জমা দিতে দেয়নি তারা।
একজন ঠিকাদারের
দরপত্রও কেড়ে নিয়েছে তারা। ঠিকাদার এই মর্মে লিখিত অভিযোগও করেছেন। জানা
যায়, এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা সম্পাদক
কাজী এনায়েত। আর এ ব্যাপারে কোনো লেখালেখি না করার জন্য তিনি একজন
সাংবাদিককে হুমকিও দিয়েছেন। সাবাস ছাত্রলীগ! সম্প্রতি চারটি সিটি করপোরেশন
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা শোচনীয়ভাবে হেরেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর পেছনে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি,
টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এত বড় পরাজয়ের
পরও ক্ষমতাসীনদের কোনো শিক্ষা হয়েছে বলে মনে হয় না। সোমবারের ঘটনা প্রমাণ
করে, ছাত্রলীগ এখনো সেই বেপরোয়া চরিত্রেই রয়ে গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি বা ডিপিডিসির এক কোটি ৪৪ লাখ টাকার ক্রয় দরপত্র নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এই টেন্ডারবাজির ফলে ডিপিডিসির যে লোকসান হবে তার দায়ভার কে বহন করবে? অবশ্যই সাধারণ মানুষ। ডিপিডিসি বর্ধিত খরচ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে, যা গত চার বছরে বহুবার করা হয়েছে। এর পরও সরকারের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের সন্তুষ্ট থাকার কোনো কারণ আছে কি? শুধু টেন্ডারবাজি নয়, ছাত্রলীগ নামধারীদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেও দেশের মানুষ রীতিমতো অতিষ্ঠ। সরকারের সব ভালো উদ্যোগের সুনাম কেড়ে নিয়েছে এই ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তপনা। গত চার বছরে সরকার যখন বিষয়গুলো বুঝতে পারেনি, ছাত্রলীগ নামধারীদের দমনে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি, তখন শেষ সময়ে এসে সরকার কিছু করবে, তেমন ভাবার যৌক্তিক ভিত্তিটাও দুর্বল হয়ে গেছে। বরং ছাত্রলীগের বর্তমান আচরণ দেখে এটাই মনে হয়, পালিয়ে যাওয়ার আগে যতটা পারা যায় লুটেপুটে নেওয়ার নীতিই তারা গ্রহণ করেছে। এই নীতিতে ছাত্রলীগ যদি অটল থাকে, তাহলে সেটি ক্ষমতাসীনদের জন্য মোটেও সুখকর কিছু হবে না।
দেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই হতভাগা। তারা ক্ষমতাসীন দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কতিপয় লোভী নেতা-কর্মীর অন্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে বারবার পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য, কদিন পরই তারা দেখতে পায়, 'যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ' ধরনের বাস্তবতা। পূর্ববর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অন্যায়-অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মহাজোট সরকারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিল। কিন্তু মহাজোটের সরকার জনগণের সেই বিশ্বাস ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতার বোঝা কি তারা কেবল বাড়িয়েই যাবে?
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি বা ডিপিডিসির এক কোটি ৪৪ লাখ টাকার ক্রয় দরপত্র নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এই টেন্ডারবাজির ফলে ডিপিডিসির যে লোকসান হবে তার দায়ভার কে বহন করবে? অবশ্যই সাধারণ মানুষ। ডিপিডিসি বর্ধিত খরচ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে, যা গত চার বছরে বহুবার করা হয়েছে। এর পরও সরকারের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের সন্তুষ্ট থাকার কোনো কারণ আছে কি? শুধু টেন্ডারবাজি নয়, ছাত্রলীগ নামধারীদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেও দেশের মানুষ রীতিমতো অতিষ্ঠ। সরকারের সব ভালো উদ্যোগের সুনাম কেড়ে নিয়েছে এই ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তপনা। গত চার বছরে সরকার যখন বিষয়গুলো বুঝতে পারেনি, ছাত্রলীগ নামধারীদের দমনে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি, তখন শেষ সময়ে এসে সরকার কিছু করবে, তেমন ভাবার যৌক্তিক ভিত্তিটাও দুর্বল হয়ে গেছে। বরং ছাত্রলীগের বর্তমান আচরণ দেখে এটাই মনে হয়, পালিয়ে যাওয়ার আগে যতটা পারা যায় লুটেপুটে নেওয়ার নীতিই তারা গ্রহণ করেছে। এই নীতিতে ছাত্রলীগ যদি অটল থাকে, তাহলে সেটি ক্ষমতাসীনদের জন্য মোটেও সুখকর কিছু হবে না।
দেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই হতভাগা। তারা ক্ষমতাসীন দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কতিপয় লোভী নেতা-কর্মীর অন্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে বারবার পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য, কদিন পরই তারা দেখতে পায়, 'যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ' ধরনের বাস্তবতা। পূর্ববর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অন্যায়-অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মহাজোট সরকারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিল। কিন্তু মহাজোটের সরকার জনগণের সেই বিশ্বাস ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতার বোঝা কি তারা কেবল বাড়িয়েই যাবে?
No comments