দৈনন্দিন বিজ্ঞান-ধুলাবালি থেকে রক্ষা করুন চোখ
ঘুমানোর সময় ছাড়াও আমরা নিয়মিত পলক ফেলি।
মিনিটে প্রায় ১৫ বার। কিন্তু কেন? পলক ফেলা মূলত একটি স্বয়ংক্রিয়
প্রক্রিয়া। অর্থাৎ আমরা না চাইলেও এমনিতেই পলক পড়ে যায়। তবে কখনো কখনো
চাইলে দেরিতে পলক ফেলতে পারি।
চোখের চারপাশে রয়েছে শক্ত
হাড়। খুলির যে গর্তে চোখ রয়েছে এটাকে বলা হয় অক্ষিকোটর। অক্ষিকোটরের মধ্যে
চোখ চর্বির আবরণের মাধ্যমে সচল থাকে। যখন আমরা চোখ খুলে রাখি, দশ ভাগের এক
ভাগ অংশ বাইরে অনাবৃত অবস্থায় থাকে। এ সময় চোখ বাইরের বায়ুমণ্ডলের ধুলিবালি
থেকে নিরাপদ নয়। চোখে পলক পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুটি সুবিধা হয়। প্রথমত, এতে
চোখের বাইরের অনাবৃত অংশ পিচ্ছিল থাকে এবং এ জন্য স্পষ্ট দেখতে সহায়ক হয়।
দ্বিতীয়ত, অনবরত চোখের পলক ফেলার কারণে অনাবৃত অবস্থায় চোখের ওপর পড়া
ধুলিবালি পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া হলেও কখনো কখনো এটি
মানসিক চাপ, কষ্ট বা চিন্তার জন্য অনিয়মিত বা ঘন ঘন পলক পড়তে পারে। কিন্তু
খুব বেশি বড় আকারের ধুলাবালি হলে চোখের পলকের সঙ্গে পরিষ্কার নাও হতে পারে।
সে সময় চোখের বিভিন্ন অংশে ছোট্ট ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য যেসব
স্থানের বায়ুমণ্ডলে খুব বেশি ধুলাবালি সেসব স্থানে কাজ করার জন্য সানগ্লাস
বা চশমা ব্যবহার করুন। বিল্ডিং তৈরি, রাস্তা তৈরি বা অন্যান্য মাটি ও ইটের
কাজের সঙ্গে জড়িত তারা ধুলাবালি থেকে চোখ রক্ষা করার জন্য সাধারণ চশমা
ব্যবহার করুন। আর কখনো চোখে কোনো খড়কুটা বা ধূলিকণা পড়লে অন্য কারো সাহায্য
নিয়ে সাবধানে বের করুন। অযথা খোঁচাখুঁচি বা ডলাডলি করবেন না। এতে চোখে
ক্ষত তৈরি হতে পারে।
No comments