বিএনপি নেতাদের অভিমত-রাজনৈতিক দল বলতে আওয়ামী লীগকেই বোঝানো হয়েছে
কেবল রাজনৈতিক দল, পুলিশ বা বিচারব্যবস্থা
নয়, বর্তমান সরকার আমলে সব সেক্টরেই দুর্নীতি বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন
বিএনপি নেতারা। তাঁদের অভিমত, এই সরকারের আমলে দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে
প্রবেশ করেছে।
দুর্নীতিকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে
উৎসাহিত করা হয়েছে। আর রাজনৈতিক দল বলতে আওয়ামী লীগকে বোঝানো হয়েছে। কারণ
এখন আওয়ামী লীগই ক্ষমতায়। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কয়েকজন
সিনিয়র নেতা এসব মন্তব্য করেন।
বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক 'দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা' ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) গতকাল মঙ্গলবার সারা বিশ্বে একযোগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের জরিপ প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দল, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থাকে বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ মানুষের ধারণা, দেশে দুর্নীতি বেড়েছে।
গতকাল মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'বর্তমান সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার বলে আমরা এত দিন ধরে যে অভিযোগ করেছি, টিআইবির রিপোর্টে তারই প্রতিফলিত হয়েছে। টিআইবি প্রতিবেদনে ঠিক কথাই বলা হয়েছে। এ সরকার কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।'
মওদুদ আরো বলেন, 'শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বর্তমান সরকারের আমলে সব সেক্টরে দুর্নীতি বেড়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। টিআইবির প্রতিবেদনে যে রাজনৈতিক দলের কথা বলেছে, তা ক্ষমতাসীন দলকে বুঝিয়েছে। কারণ বিএনপি তো সাত-আট বছর ক্ষমতার বাইরে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ উঠতে পারে না।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার এ বিষয়ে গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'টিআইবি একটি নির্দিষ্ট সময়ের ওপর জরিপ করে সাধারণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই জরিপ হয়। সরকার মুখে বড় বড় কথা বললেও দুর্নীতিরোধ হয়নি। বরং আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার দুর্নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কেবল রাজনৈতিক দল নয়, সব সেক্টরেই দুর্নীতি বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুই পারসেন্ট অর্থ কোথায় গেছে।' তিনি আরো বলেন, '২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। চাকরির কথা বলেও দুর্নীতি হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ না হলে কেউ ব্যবসা করতে পারে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ ব্যবসা করলে তাদের চাঁদা দিতে হয়।'
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি সরকারের আমলে যে দুর্নীতি হয়নি তা নয়। তবে এই সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, উৎসাহিত করছে। অন্যদিকে বিএনপি সরকার দুর্নীতিরোধে কাজ করেছে। কাউকে উৎসাহিত করেনি।'
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'দুর্নীতির কথা নতুন কিছু নয়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুর্নীতি ব্যাপকতা লাভ করেছে। এটি এখন ক্রনিক ডিজিজের মতো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতি দুর্নীতির কারণে রসাতলে গেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্প কেবল দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।'
এদিকে বিএনপির শীর্ষ সারির একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেছেন, টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর এ বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক 'দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা' ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) গতকাল মঙ্গলবার সারা বিশ্বে একযোগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের জরিপ প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দল, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থাকে বাংলাদেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ মানুষের ধারণা, দেশে দুর্নীতি বেড়েছে।
গতকাল মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'বর্তমান সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার বলে আমরা এত দিন ধরে যে অভিযোগ করেছি, টিআইবির রিপোর্টে তারই প্রতিফলিত হয়েছে। টিআইবি প্রতিবেদনে ঠিক কথাই বলা হয়েছে। এ সরকার কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।'
মওদুদ আরো বলেন, 'শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বর্তমান সরকারের আমলে সব সেক্টরে দুর্নীতি বেড়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। টিআইবির প্রতিবেদনে যে রাজনৈতিক দলের কথা বলেছে, তা ক্ষমতাসীন দলকে বুঝিয়েছে। কারণ বিএনপি তো সাত-আট বছর ক্ষমতার বাইরে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ উঠতে পারে না।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার এ বিষয়ে গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'টিআইবি একটি নির্দিষ্ট সময়ের ওপর জরিপ করে সাধারণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই জরিপ হয়। সরকার মুখে বড় বড় কথা বললেও দুর্নীতিরোধ হয়নি। বরং আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার দুর্নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কেবল রাজনৈতিক দল নয়, সব সেক্টরেই দুর্নীতি বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুই পারসেন্ট অর্থ কোথায় গেছে।' তিনি আরো বলেন, '২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। চাকরির কথা বলেও দুর্নীতি হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ না হলে কেউ ব্যবসা করতে পারে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ ব্যবসা করলে তাদের চাঁদা দিতে হয়।'
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি সরকারের আমলে যে দুর্নীতি হয়নি তা নয়। তবে এই সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, উৎসাহিত করছে। অন্যদিকে বিএনপি সরকার দুর্নীতিরোধে কাজ করেছে। কাউকে উৎসাহিত করেনি।'
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'দুর্নীতির কথা নতুন কিছু নয়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুর্নীতি ব্যাপকতা লাভ করেছে। এটি এখন ক্রনিক ডিজিজের মতো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতি দুর্নীতির কারণে রসাতলে গেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্প কেবল দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।'
এদিকে বিএনপির শীর্ষ সারির একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেছেন, টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর এ বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
No comments