নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন-আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই সব
সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে আর
কোনো মার্কিন সেনা না রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করছে তারা।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের হতাশাব্যঞ্জক আচরণের কারণেই
যুক্তরাষ্ট্র এমন চিন্তাভাবনা করছে। মার্কিন ও আফগান কর্মকর্তাদের বরাত
দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
আফগানিস্তানে এখন প্রায় ৬৮ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ তাদের প্রত্যাহারের কথা। তবে এর পরও কিছু সংখ্যক সেনা আফগানিস্তানে রয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আফগান সরকারের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছিল। কিন্তু আফগান কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে- এমন অভিযোগে কারজাই আলোচনা বাতিল করেন। গত মাসের মাঝামাঝিতে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ওই দিনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত ২৭ জুন কারজাইয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু কোনো সমঝোতা ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। কারজাই মনে করছেন, তাঁর সরকারকে বাদ দিয়ে তালেবান ও তাদের আশ্রয়দাতা দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার যে উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র নিচ্ছে, তা আফগানিস্তানকে শত্রুদের সামনে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তির ব্যাপারে সমঝোতাও অনেক দূরের বিষয় বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। আফগানিস্তানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা না রাখার বিষয়টিকে কখনোই গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয়নি। তবে এখন সেটি বিবেচনায় আনা হচ্ছে। ওয়াশিংটনে অনেকেই একে বাস্তবসম্মত পথ বিবেচনা করছেন। তবে সেনা প্রত্যাহার এগিয়ে নিয়ে আসার দিন-ক্ষণের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সূত্র : এএফপি।
আফগানিস্তানে এখন প্রায় ৬৮ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ তাদের প্রত্যাহারের কথা। তবে এর পরও কিছু সংখ্যক সেনা আফগানিস্তানে রয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আফগান সরকারের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছিল। কিন্তু আফগান কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে- এমন অভিযোগে কারজাই আলোচনা বাতিল করেন। গত মাসের মাঝামাঝিতে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ওই দিনই তালেবানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত ২৭ জুন কারজাইয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু কোনো সমঝোতা ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। কারজাই মনে করছেন, তাঁর সরকারকে বাদ দিয়ে তালেবান ও তাদের আশ্রয়দাতা দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার যে উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র নিচ্ছে, তা আফগানিস্তানকে শত্রুদের সামনে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তির ব্যাপারে সমঝোতাও অনেক দূরের বিষয় বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। আফগানিস্তানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ২০১৪ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা না রাখার বিষয়টিকে কখনোই গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হয়নি। তবে এখন সেটি বিবেচনায় আনা হচ্ছে। ওয়াশিংটনে অনেকেই একে বাস্তবসম্মত পথ বিবেচনা করছেন। তবে সেনা প্রত্যাহার এগিয়ে নিয়ে আসার দিন-ক্ষণের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সূত্র : এএফপি।
No comments