সাফল্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত by গোলাম মর্তুজা
মাহমুদা আফরোজ। ঢাকা মহানগর পুলিশের
(ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার। সারদা পুলিশ একাডেমির ‘বেস্ট একাডেমিক
অ্যাওয়ার্ড’ রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই
ছাত্রীর মুকুটে এবার যুক্ত হলো আরেকটি পালক।
বাংলাদেশ পুলিশের ২০ জনের যে দলটি প্রথমবারের মতো উঁচু থেকে দড়ি বেয়ে নামার (র্যাপলিং) প্রশিক্ষণ নিয়েছে, সেই দলের তিনি একজন।
এই দলের অপর নারী সদস্য সহকারী পুলিশ কমিশনার আয়েশা সিদ্দিকাও কম যান না। সারদা পুলিশ একাডেমির ‘বেস্ট অব প্যারেড’ পুরস্কার পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের সাবেক এই ছাত্রী সফলভাবে একাধিকবার দড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন হেলিকপ্টার থেকে। পেয়েছেন পাহাড় ও ভবনে ওঠার প্রশিক্ষণ। শিখে ফেলেছেন অস্ত্র ছাড়াই মারামারি (আনআর্মড কমব্যাট) করার কৌশলগুলো।
সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসের ‘স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিস’-এ দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই দুই নারীসহ ২০ জনের দলটি। ৪ জুলাই শেষ হয়েছে প্রশিক্ষণ। রোদে জ্বলা চেহারা নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন দুজনই।
৮ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে দেখা হয় এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে। দুজনই ২৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দিয়েছেন পুলিশে। আয়েশা বললেন, ‘অনেক ওপর থেকে নিচে তাকালে ভয় লাগত। ভয়কে জয় করা শেখানো হয় প্রশিক্ষণে।’ এ সময় মাহমুদা জানালেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ তাঁরা উপভোগ করেছেন। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হতো প্রশিক্ষণ। টানা চলত দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এরপর আবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা। আর ‘নাইট ফায়ারিং’ শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ চলেছে রাত নয়টা পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণের প্রথম দিনেই ৭০ ফুট ওপর থেকে তাঁদের দড়ি বেয়ে নিচে নামানো হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে উচ্চতা বেড়েছে। এ ছাড়া তাঁদের শেখানো হয়েছে শত্রুর দখল করা ভবন উদ্ধার, জিম্মি উদ্ধার, হিল ক্লাইম্বিং (পাহাড়ে ওঠা), বিল্ডিং ক্লাইম্বিংসহ বিভিন্ন কৌশল। প্রশিক্ষণের শেষ দিকে ২ জুলাই প্রশিক্ষণার্থীদের হেলিকপ্টার র্যাপলিংয়ের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে প্রথম নামা।
২ জুলাই মহড়া শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের জন্য এখন এই প্রশিক্ষণ খুব জরুরি। জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষকে উদ্ধার, আটকে পড়া মানুষকে বের করে আনা, এমনকি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানও চালাতে পারবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। যদি কোনো কারণে যানবাহন আটকে যায়, সে ক্ষেত্রে অভিযান চালানোর জন্য র্যাপলিং প্রশিক্ষণ পাওয়াদের কাজে লাগানো যাবে।
প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারবেন তো? জানতে চাইলে দুই নারী কর্মকর্তাই জানান, পুলিশে চাকরি অনেক রোমাঞ্চকর জেনেই এখানে আসা। যেকোনো দায়িত্ব পালনে আগেও পিছপা হননি তাঁরা, ভবিষ্যতেও হবেন না।
শিগগিরই এই দুই সহকারী কমিশনারকে ডিএমপির বিশেষ দল সোয়াটের (স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিস) অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই দলের অপর নারী সদস্য সহকারী পুলিশ কমিশনার আয়েশা সিদ্দিকাও কম যান না। সারদা পুলিশ একাডেমির ‘বেস্ট অব প্যারেড’ পুরস্কার পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের সাবেক এই ছাত্রী সফলভাবে একাধিকবার দড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন হেলিকপ্টার থেকে। পেয়েছেন পাহাড় ও ভবনে ওঠার প্রশিক্ষণ। শিখে ফেলেছেন অস্ত্র ছাড়াই মারামারি (আনআর্মড কমব্যাট) করার কৌশলগুলো।
সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসের ‘স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিস’-এ দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই দুই নারীসহ ২০ জনের দলটি। ৪ জুলাই শেষ হয়েছে প্রশিক্ষণ। রোদে জ্বলা চেহারা নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন দুজনই।
৮ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে দেখা হয় এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে। দুজনই ২৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দিয়েছেন পুলিশে। আয়েশা বললেন, ‘অনেক ওপর থেকে নিচে তাকালে ভয় লাগত। ভয়কে জয় করা শেখানো হয় প্রশিক্ষণে।’ এ সময় মাহমুদা জানালেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই প্রশিক্ষণ তাঁরা উপভোগ করেছেন। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হতো প্রশিক্ষণ। টানা চলত দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এরপর আবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা। আর ‘নাইট ফায়ারিং’ শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ চলেছে রাত নয়টা পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণের প্রথম দিনেই ৭০ ফুট ওপর থেকে তাঁদের দড়ি বেয়ে নিচে নামানো হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে উচ্চতা বেড়েছে। এ ছাড়া তাঁদের শেখানো হয়েছে শত্রুর দখল করা ভবন উদ্ধার, জিম্মি উদ্ধার, হিল ক্লাইম্বিং (পাহাড়ে ওঠা), বিল্ডিং ক্লাইম্বিংসহ বিভিন্ন কৌশল। প্রশিক্ষণের শেষ দিকে ২ জুলাই প্রশিক্ষণার্থীদের হেলিকপ্টার র্যাপলিংয়ের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে প্রথম নামা।
২ জুলাই মহড়া শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের জন্য এখন এই প্রশিক্ষণ খুব জরুরি। জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষকে উদ্ধার, আটকে পড়া মানুষকে বের করে আনা, এমনকি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানও চালাতে পারবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। যদি কোনো কারণে যানবাহন আটকে যায়, সে ক্ষেত্রে অভিযান চালানোর জন্য র্যাপলিং প্রশিক্ষণ পাওয়াদের কাজে লাগানো যাবে।
প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারবেন তো? জানতে চাইলে দুই নারী কর্মকর্তাই জানান, পুলিশে চাকরি অনেক রোমাঞ্চকর জেনেই এখানে আসা। যেকোনো দায়িত্ব পালনে আগেও পিছপা হননি তাঁরা, ভবিষ্যতেও হবেন না।
শিগগিরই এই দুই সহকারী কমিশনারকে ডিএমপির বিশেষ দল সোয়াটের (স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিস) অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
No comments