রাজপথ অবরোধে ঢাকায় গুলি, আগুন, ভাংচুর, তাণ্ডব ও বিক্ষোভ
রাজধানী ও এর আশেপাশে গুলি, বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে চলছে বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি। সকালে পান্থপথ এলাকায় গাড়ীতে আগুন দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে অবরোধকারীরা।
এরপর একে একে কাঁচপুর, মিরপুর, গাবতলী, মালিবাগ, শ্যামপুর, বাবুবাজার, শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুন দেওয়াসহ পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ লিপ্ত হয় বিরোধীজোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আট ঘণ্টার এ অবরোধ কর্মসূচি রোববার সকাল ৬টায় শুরু করে ১৮ দলীয় জোট।
অবরোধের কারণে রাজধানী অনেকটাই গাড়ি শুন্য। তবে রিকশা চলাচল করছে। ভোগান্তিতে পড়েছে অফিস আদালতগামী জনগণ।
বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আহমেদ রাজু, শামীম খান, মান্নান মারুফ, ইশতিয়াক হুসাইন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রহমান মাসুদ, জাকিয়া আহমেদ, সাইদ আরমান, জাহাঙ্গীর সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আশরাফুল ইসলাম, মনোয়ারুল ইসলাম, সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, ইসমাঈল হোসেন, তাহজীব হাসান, শেখ নাসির হোসেন, ইলিয়াস সরকার, এইচএম মর্তুজা, মহিউদ্দিন মাহমুদ, মফিজুল সাদিক, সাজেদা সুইটি, নুর মোহাম্মদ, আবু তালহা, ইমরান আলী, উর্মি মাহবুব ও মেহেদি হাসান পিয়াস বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে এসব খবর দেন।
গাবতলী: ভোরে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি এস এ খালেক ও তার সমর্থকরা পিকেটিং শুরু করেন গাবতলীতে। কিন্তু সাড়ে ছয়টার পর এসএ খালেদ রাজপথে এলে এ চিত্র পাল্টে যেতে থাকে। শ’য়ে শ’য়ে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। যদিও এক পর্যায়ে পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডারদের মিলিত আক্রমণ এবং অন্তত ৪০টি শিয়ার শেল ও শটগানের অর্ধশতাধিক গুলির মুখে অবরোধকারীরা আন্ডারপাসের ওপাশে আমিনবাজারের দিকে সরে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু এসএ খালেকের উপস্থিতির কারণেই ফের সংগঠিত হতে শুরু করে নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
এ সময় সমবেত অবরোধকারীরা এসএ খালেকের নামে মুহুর্মূহু স্লোগান দিতে থাকে।
বেলা পৌনে দশটার দিকে দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনন্দ জানান, স্পট ত্যাগ করেছেন এসএ খালেক।
বস্তুত উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পরপরই স্পট ত্যাগ করেন এসএ খালেক।
কাঁচপুর: কাঁচপুরে শিবিরকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশ অন্তত ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিবিরকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। শিবিরকর্মীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সকালে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অবরোধকারীদের। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সভাপতি সামছুর রহমান খান বেলু, নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির সভাপতি এবিএম কামালসহ ৭/৮ জন আহত হয়।
এদিকে, রাজধানীর কদমতলী ব্রিজের ঢালে অবরোধকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় শট গানের গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
এর আগে মিছিল বের করে অবরোধকারীরা। তারা রাস্তায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ফুটপাতে থাকা টঙ দোকান জ্বালিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। মিছিল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন রিয়াদ হায়দার(২০), ইকবাল ইউসুফ(৪৫) ও আরিফ(৩৫)।
পুলিশের দাবি এরা অবরোধের পক্ষে মিছিলকারী এবং সিএনজি ও টঙ দোকানে অগ্নিসংযোগে জড়িত। তবে তারা নিজেদের সাধারণ পাবলিক দাবি করে অফিসে যাচ্ছেন বলে জানান।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। মিছিলকারীদের ঢিলের জবাবে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
এরপর অবস্থান নেয় রাস্তায়। তাদের অদূরেই তবে মুখোমুখি অবস্থান নেয় মিছিলকারিরা।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়ও মিছিল করে যুবদল। সেখানে অবরোধের সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধের সৃষ্টি করলে পুলিশ বাধা দেয়। টিয়ার সেল ছোঁড়ে। এসময় তাদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
শ্যামপুর: রাজধানীর শ্যামপুর নতুন আলীবরে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে একটি ট্যাংকলরি পুড়িয়ে দিয়েছে অবরোধকারীরা। এছাড়া সকাল ৮টার সময় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়াসহ পোস্তগোলা থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রাস্তায় দুইপাশে পার্কিং করা অবস্থায় অন্তত ২৫টি গাড়ি ভাংচুর ও দুটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা।
ট্যাংকলরির চালক মোহাম্মদ রফিক বাংলানিউজকে বলেন, “ সাড়ে সাতটার দিকে কিছু লোক আমার গাড়ি থামাতে বলে। প্রথমে কুয়াশার কারণে আমি তাদের চিনতে পারিনি। আমি মনে করেছি পুলিশ। এরপর আমাকে গাড়ি থেকে নামতে বলে। কিছুক্ষণ পরই আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।”
রাস্তার পাশে থাকা অধিকাংশ ড্রাইভার তাদের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। ঘনকুয়াশার কারণে দৃর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই)মবিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, “একটি ট্যাংকলরিসহ প্রায় ২৬টি ট্রাক ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। হঠাৎ করে এই ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায় তারা।”
মালিবাগ: মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনের গলি এলাকায় উপর্যুপরি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় আবুল হোটেলের গলি থেকে স্থানীয় ছাত্রদল একটি মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে ছাত্রদল কর্মীরা চার পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় সাংবাদিক ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট উর্মি মাহবুব ও স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট জাহিদ সাইমন, পুলিশ কনস্টেবল শাহীন ও রিকশা চালক কাজী জাহাঙ্গীর। এছাড়া আহত হয়েছেন অজ্ঞাত আরও কয়েকজন।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ-র্যাব বর্তমানে ওই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
শাহবাগ: পৌনে ৭টার দিকে শাহবাগ পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যেই শিশুপার্কের সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার ১৬জন নেতামর্কীকে আটক করে পুলিশ।
আটক হওয়া ঢাবির কর্মীরা হচ্ছেন, শামীম রেজা, শাহীনুর নারগিস, কবির, সুফিয়ান, ইমন, সজীব, নিলয়। ঢাকা কলেজের সাজ্জাদ, জাহিদ, সাইফুল, জন, শামীম, সজল ও কামাল। বাকিরা হচ্ছেন, পল্লবীর শুভ ও রূপনগরের সাব্বির।
মিরপুর: রোকেয়া সরণিতে পাঁচটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে অবরোধ সমর্থকরা। এসময় তারা কয়েকটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গাড়ি ভাঙচুরের সময় অফিসগামী ১০ জন যাত্রী আহত হন।
রোববার সকালে রোকেয়া সরণির কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় পুলিশের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে অবরোধ সমর্থকরা।
এসময় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তবে কেউ আটক হয়নি।
এদিকে, বিস্ফোরণের শব্দে বাসযাত্রীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এসময় হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
টঙ্গী: ঢাকার প্রবেশপথ টঙ্গীতে ঢাকা গাজীপুর মহাসড়ক এখন অবরোধকারীদের দখলে। বর্তমানে সেখানে রাজপথ দখল করে অবস্থান করছে সহস্রাধিক অবরোধকারী। পুলিশ পালন করছে নীরব ভূমিকা।
এদিকে অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই ভোর সাড়ে ৪টার দিকে একটি বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। টঙ্গী ব্রিজ সংলগ্ন মহাসড়কে সকাল থেকেই শত শত অবরোধ সমর্থক রাস্তা অবরোধ করে মিছিল সমাবেশ করছে। পুলিশ সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এখনও অবরোধকারীরা অবরোধস্থলে আসছে। টঙ্গী উপজেলা চেয়ারাম্যান শাহেন শাহের নেতৃত্বে পুরো ঢাকা গাজীপুর মহাসড়ক এখন অবরোধকারীদের দখলে। এছাড়াও জামাত-শিবিরের খণ্ড খণ্ডভাবে মিছিল চলছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে আব্দুল্লাহপুর পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, “ভোরে কুয়াশার কারণে আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না, এমন সময় টঙ্গী এলাকা থেকে একটি বিআরটিসি বাস আব্দুল্লাহপুর ওভারব্রীজের নিচে এসে দাঁড়ায়। হঠাৎ দেখতে পাই গাড়িটিতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।” বাসটিতে ড্রাইভার ছাড়া অন্য কেউ ছিল না বলে এ সময় জানান তিনি।
এদিকে ভোর থেকেই টঙ্গীকে ঘিরে আশপাশের সড়কগুলোতে খুব কম গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। যানবাহনের অভাবে অনেক কর্মজীবীকেই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে
সাভার: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাভারের পৃথক পৃথক স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর পাঁচটা থেকে সাভারের আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সকাল ছ’টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর, ঘোষবাগ, জামগড়া, বাইপাইল, নবীনগর, নয়ার হাট এবং সাভারের রেডিও কলোনির জোড়পুল, হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, আমিনবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে অবরোধকারীদের সংখ্যাও। এ সময় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব আমানউল্লাহ আমান এর নেতৃত্বে আমিন বাজার থেকে একটি বিশাল অবরোধ মিছিল বের করে ১৮ দল। মিছিলে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। তবে, এ ঘটনার সময় পুলিশকে নীরব থাকতে দেখা যায়।
এরপর সকাল সাতটার দিকে রাজপথে শুয়ে অবরোধ করে রাখে বিএনপি জোটের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাহারুল ও মিজান নামে দু’জনকে আটক করে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ দলের কর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে। মাঝে মধ্যে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করছে।
যাত্রাবাড়ী: বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের সারা দেশে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে মহড়া দিচ্ছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। যাত্রবাড়ি থেকে ধলপুর পর্যন্ত তারা মহড়া দিচ্ছে।
এদিকে সকাল সাতটার দিকে একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫০/৬০ মটরসাইকেল ও তিনটি লেগুনা করে সরকার দলের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে মহড়া দিচ্ছে। এসময় হাসপাতাল এলাকায় তারা অবেরাধকারীদের একটি মিছিলে ধাওয়া দেয়।
এদিকে অবরোধের কারণে সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে কোনো গাড়ি বের করেনি মালিকরা।
বিএনপির বক্তব্য: আঠার দলীয় জোট নাশকতা করছে এ অভিযোগ উডিয়ে দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারই তাদের এজেন্ট দিয়ে নাশকতা ঘটায়। আর এর দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে দেয়।
রোববার সকালে রাজপথ অবরোধের শুরুতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, “এটি অবরোধ, হরতাল নয়। তাই পিকেটিং প্রয়োজন নেই। আমরা আশা করি দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবেই পালন হবে। দেশব্যাপী জনগণও আমাদের সঙ্গে আছে।
বিএনপির স্বণির্ভর বিষয় সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর গেফতার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে অযথা গ্রেফতার করছে সরকার। তারা ফ্যাসিবাদি। তাই কোন গণতান্ত্রিক আচরণ তাদের পছন্দ হয় না।
এসময় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরি এ্যানী ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালামও উপস্থিত ছিলেন।
অবরোধের কারণে রাজধানী অনেকটাই গাড়ি শুন্য। তবে রিকশা চলাচল করছে। ভোগান্তিতে পড়েছে অফিস আদালতগামী জনগণ।
বাংলানিউজের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আহমেদ রাজু, শামীম খান, মান্নান মারুফ, ইশতিয়াক হুসাইন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রহমান মাসুদ, জাকিয়া আহমেদ, সাইদ আরমান, জাহাঙ্গীর সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আশরাফুল ইসলাম, মনোয়ারুল ইসলাম, সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, ইসমাঈল হোসেন, তাহজীব হাসান, শেখ নাসির হোসেন, ইলিয়াস সরকার, এইচএম মর্তুজা, মহিউদ্দিন মাহমুদ, মফিজুল সাদিক, সাজেদা সুইটি, নুর মোহাম্মদ, আবু তালহা, ইমরান আলী, উর্মি মাহবুব ও মেহেদি হাসান পিয়াস বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে এসব খবর দেন।
গাবতলী: ভোরে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি এস এ খালেক ও তার সমর্থকরা পিকেটিং শুরু করেন গাবতলীতে। কিন্তু সাড়ে ছয়টার পর এসএ খালেদ রাজপথে এলে এ চিত্র পাল্টে যেতে থাকে। শ’য়ে শ’য়ে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। যদিও এক পর্যায়ে পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডারদের মিলিত আক্রমণ এবং অন্তত ৪০টি শিয়ার শেল ও শটগানের অর্ধশতাধিক গুলির মুখে অবরোধকারীরা আন্ডারপাসের ওপাশে আমিনবাজারের দিকে সরে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু এসএ খালেকের উপস্থিতির কারণেই ফের সংগঠিত হতে শুরু করে নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
এ সময় সমবেত অবরোধকারীরা এসএ খালেকের নামে মুহুর্মূহু স্লোগান দিতে থাকে।
বেলা পৌনে দশটার দিকে দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনন্দ জানান, স্পট ত্যাগ করেছেন এসএ খালেক।
বস্তুত উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পরপরই স্পট ত্যাগ করেন এসএ খালেক।
কাঁচপুর: কাঁচপুরে শিবিরকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশ অন্তত ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিবিরকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। শিবিরকর্মীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সকালে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অবরোধকারীদের। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সভাপতি সামছুর রহমান খান বেলু, নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির সভাপতি এবিএম কামালসহ ৭/৮ জন আহত হয়।
এদিকে, রাজধানীর কদমতলী ব্রিজের ঢালে অবরোধকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় শট গানের গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
এর আগে মিছিল বের করে অবরোধকারীরা। তারা রাস্তায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ফুটপাতে থাকা টঙ দোকান জ্বালিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। মিছিল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন রিয়াদ হায়দার(২০), ইকবাল ইউসুফ(৪৫) ও আরিফ(৩৫)।
পুলিশের দাবি এরা অবরোধের পক্ষে মিছিলকারী এবং সিএনজি ও টঙ দোকানে অগ্নিসংযোগে জড়িত। তবে তারা নিজেদের সাধারণ পাবলিক দাবি করে অফিসে যাচ্ছেন বলে জানান।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। মিছিলকারীদের ঢিলের জবাবে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ।
এরপর অবস্থান নেয় রাস্তায়। তাদের অদূরেই তবে মুখোমুখি অবস্থান নেয় মিছিলকারিরা।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়ও মিছিল করে যুবদল। সেখানে অবরোধের সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধের সৃষ্টি করলে পুলিশ বাধা দেয়। টিয়ার সেল ছোঁড়ে। এসময় তাদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
শ্যামপুর: রাজধানীর শ্যামপুর নতুন আলীবরে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে একটি ট্যাংকলরি পুড়িয়ে দিয়েছে অবরোধকারীরা। এছাড়া সকাল ৮টার সময় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়াসহ পোস্তগোলা থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রাস্তায় দুইপাশে পার্কিং করা অবস্থায় অন্তত ২৫টি গাড়ি ভাংচুর ও দুটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা।
ট্যাংকলরির চালক মোহাম্মদ রফিক বাংলানিউজকে বলেন, “ সাড়ে সাতটার দিকে কিছু লোক আমার গাড়ি থামাতে বলে। প্রথমে কুয়াশার কারণে আমি তাদের চিনতে পারিনি। আমি মনে করেছি পুলিশ। এরপর আমাকে গাড়ি থেকে নামতে বলে। কিছুক্ষণ পরই আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।”
রাস্তার পাশে থাকা অধিকাংশ ড্রাইভার তাদের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। ঘনকুয়াশার কারণে দৃর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই)মবিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, “একটি ট্যাংকলরিসহ প্রায় ২৬টি ট্রাক ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। হঠাৎ করে এই ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায় তারা।”
মালিবাগ: মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনের গলি এলাকায় উপর্যুপরি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় আবুল হোটেলের গলি থেকে স্থানীয় ছাত্রদল একটি মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে ছাত্রদল কর্মীরা চার পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় সাংবাদিক ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট উর্মি মাহবুব ও স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট জাহিদ সাইমন, পুলিশ কনস্টেবল শাহীন ও রিকশা চালক কাজী জাহাঙ্গীর। এছাড়া আহত হয়েছেন অজ্ঞাত আরও কয়েকজন।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ-র্যাব বর্তমানে ওই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
শাহবাগ: পৌনে ৭টার দিকে শাহবাগ পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যেই শিশুপার্কের সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার ১৬জন নেতামর্কীকে আটক করে পুলিশ।
আটক হওয়া ঢাবির কর্মীরা হচ্ছেন, শামীম রেজা, শাহীনুর নারগিস, কবির, সুফিয়ান, ইমন, সজীব, নিলয়। ঢাকা কলেজের সাজ্জাদ, জাহিদ, সাইফুল, জন, শামীম, সজল ও কামাল। বাকিরা হচ্ছেন, পল্লবীর শুভ ও রূপনগরের সাব্বির।
মিরপুর: রোকেয়া সরণিতে পাঁচটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে অবরোধ সমর্থকরা। এসময় তারা কয়েকটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গাড়ি ভাঙচুরের সময় অফিসগামী ১০ জন যাত্রী আহত হন।
রোববার সকালে রোকেয়া সরণির কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় পুলিশের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে অবরোধ সমর্থকরা।
এসময় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তবে কেউ আটক হয়নি।
এদিকে, বিস্ফোরণের শব্দে বাসযাত্রীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এসময় হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
টঙ্গী: ঢাকার প্রবেশপথ টঙ্গীতে ঢাকা গাজীপুর মহাসড়ক এখন অবরোধকারীদের দখলে। বর্তমানে সেখানে রাজপথ দখল করে অবস্থান করছে সহস্রাধিক অবরোধকারী। পুলিশ পালন করছে নীরব ভূমিকা।
এদিকে অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই ভোর সাড়ে ৪টার দিকে একটি বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। টঙ্গী ব্রিজ সংলগ্ন মহাসড়কে সকাল থেকেই শত শত অবরোধ সমর্থক রাস্তা অবরোধ করে মিছিল সমাবেশ করছে। পুলিশ সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এখনও অবরোধকারীরা অবরোধস্থলে আসছে। টঙ্গী উপজেলা চেয়ারাম্যান শাহেন শাহের নেতৃত্বে পুরো ঢাকা গাজীপুর মহাসড়ক এখন অবরোধকারীদের দখলে। এছাড়াও জামাত-শিবিরের খণ্ড খণ্ডভাবে মিছিল চলছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে আব্দুল্লাহপুর পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, “ভোরে কুয়াশার কারণে আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না, এমন সময় টঙ্গী এলাকা থেকে একটি বিআরটিসি বাস আব্দুল্লাহপুর ওভারব্রীজের নিচে এসে দাঁড়ায়। হঠাৎ দেখতে পাই গাড়িটিতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।” বাসটিতে ড্রাইভার ছাড়া অন্য কেউ ছিল না বলে এ সময় জানান তিনি।
এদিকে ভোর থেকেই টঙ্গীকে ঘিরে আশপাশের সড়কগুলোতে খুব কম গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। যানবাহনের অভাবে অনেক কর্মজীবীকেই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে
সাভার: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাভারের পৃথক পৃথক স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর পাঁচটা থেকে সাভারের আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সকাল ছ’টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর, ঘোষবাগ, জামগড়া, বাইপাইল, নবীনগর, নয়ার হাট এবং সাভারের রেডিও কলোনির জোড়পুল, হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, আমিনবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে অবরোধকারীদের সংখ্যাও। এ সময় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব আমানউল্লাহ আমান এর নেতৃত্বে আমিন বাজার থেকে একটি বিশাল অবরোধ মিছিল বের করে ১৮ দল। মিছিলে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। তবে, এ ঘটনার সময় পুলিশকে নীরব থাকতে দেখা যায়।
এরপর সকাল সাতটার দিকে রাজপথে শুয়ে অবরোধ করে রাখে বিএনপি জোটের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাহারুল ও মিজান নামে দু’জনকে আটক করে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ দলের কর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে। মাঝে মধ্যে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করছে।
যাত্রাবাড়ী: বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের সারা দেশে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে মহড়া দিচ্ছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। যাত্রবাড়ি থেকে ধলপুর পর্যন্ত তারা মহড়া দিচ্ছে।
এদিকে সকাল সাতটার দিকে একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫০/৬০ মটরসাইকেল ও তিনটি লেগুনা করে সরকার দলের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে মহড়া দিচ্ছে। এসময় হাসপাতাল এলাকায় তারা অবেরাধকারীদের একটি মিছিলে ধাওয়া দেয়।
এদিকে অবরোধের কারণে সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে কোনো গাড়ি বের করেনি মালিকরা।
বিএনপির বক্তব্য: আঠার দলীয় জোট নাশকতা করছে এ অভিযোগ উডিয়ে দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারই তাদের এজেন্ট দিয়ে নাশকতা ঘটায়। আর এর দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে দেয়।
রোববার সকালে রাজপথ অবরোধের শুরুতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, “এটি অবরোধ, হরতাল নয়। তাই পিকেটিং প্রয়োজন নেই। আমরা আশা করি দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবেই পালন হবে। দেশব্যাপী জনগণও আমাদের সঙ্গে আছে।
বিএনপির স্বণির্ভর বিষয় সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর গেফতার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে অযথা গ্রেফতার করছে সরকার। তারা ফ্যাসিবাদি। তাই কোন গণতান্ত্রিক আচরণ তাদের পছন্দ হয় না।
এসময় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরি এ্যানী ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালামও উপস্থিত ছিলেন।
No comments