সংঘাতের পথে রাজনীতি-আলোচনায় বসে সমাধান করুন
আজ প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সারা দেশে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে বাধা দেওয়া হলে তারা লাগাতার হরতাল ঘোষণা করবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
অন্যদিকে অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আর ১৮ দলের প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তো রাস্তায় থাকা গাড়ি ও পুলিশের বিরুদ্ধে আগেই রীতিমতো 'জিহাদ' শুরু করে দিয়েছে। ফলে এটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে দেশের রাজনীতি অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাতের দিকেই ধাবিত হচ্ছে।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এ ইস্যুতে তারা অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে। সেখানে নরম-গরম উভয় ধরনের কর্মসূচিই ছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলে আসছে, সর্বোচ্চ আদালত যাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, সেই বাতিল ঘোষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা হবে না। সেখানে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে সম্মান জানানো হয়েছে, কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণটি উপেক্ষা করা হয়েছে। সেই পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, আরো দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা যেতে পারে। এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এখন দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে এবং চরম অনমনীয়তা প্রদর্শন করে চলেছে। অথচ সেই নির্বাচনের এখনো এক বছর বাকি। এক বছর আগেই 'সম্পূর্ণ অচলাবস্থা' সৃষ্টির কৌশল গ্রহণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে, তা দুই পক্ষের কেউ ভেবে দেখছে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে জামায়াতের অবস্থান ও রাজনৈতিক কৌশলের প্রেক্ষাপট অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। দলটির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেসব অপরাধের বিচারকাজ চলছে। শিগগিরই একাধিক মামলার রায় হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ ও তাদের নেতাদের মুক্ত করতে একরকম মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর সেই কৌশল হিসেবেই তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সংঘাতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের এ অগণতান্ত্রিক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা সম্পৃক্ত নয়। তবে বিষয়টিতে অন্য শরিকদের দৃষ্টিভঙ্গিও স্পষ্ট করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এটুকু বলা যায়, আমাদের রাজনীতি ক্রমেই সংঘাত-সংঘর্ষের কানাগলিতে ঢুকে পড়ছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, এ মুহূর্তে দেশে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা আগামী এক বছর ধরেই দেশের মানুষকে কষ্ট দেবে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের অর্থনীতিও। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও নিজস্ব প্রচেষ্টায় দেশের ব্যক্তি খাত যতটা অগ্রগতি অর্জন করেছিল, তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কাজেই এ ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টির আগে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থের দিকটি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আমরা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। শুধু মুখে নয়, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে আচরণেও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করতে হবে। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে নানাভাবে তাদের সংলাপে বসার অনুরোধ জানানো হলেও সেই সংলাপের প্রতি তাদের কারো আগ্রহ নেই। সংসদ বর্জন একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। দেশ ও গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে হলে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশা করব, রাজপথে ক্ষমতা ও শক্তি প্রদর্শন নয়, আলোচনার টেবিলই হবে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। এ ইস্যুতে তারা অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে। সেখানে নরম-গরম উভয় ধরনের কর্মসূচিই ছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলে আসছে, সর্বোচ্চ আদালত যাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, সেই বাতিল ঘোষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা হবে না। সেখানে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে সম্মান জানানো হয়েছে, কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণটি উপেক্ষা করা হয়েছে। সেই পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, আরো দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা যেতে পারে। এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এখন দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে এবং চরম অনমনীয়তা প্রদর্শন করে চলেছে। অথচ সেই নির্বাচনের এখনো এক বছর বাকি। এক বছর আগেই 'সম্পূর্ণ অচলাবস্থা' সৃষ্টির কৌশল গ্রহণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে, তা দুই পক্ষের কেউ ভেবে দেখছে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে জামায়াতের অবস্থান ও রাজনৈতিক কৌশলের প্রেক্ষাপট অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। দলটির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেসব অপরাধের বিচারকাজ চলছে। শিগগিরই একাধিক মামলার রায় হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ ও তাদের নেতাদের মুক্ত করতে একরকম মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর সেই কৌশল হিসেবেই তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও সংঘাতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের এ অগণতান্ত্রিক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা সম্পৃক্ত নয়। তবে বিষয়টিতে অন্য শরিকদের দৃষ্টিভঙ্গিও স্পষ্ট করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এটুকু বলা যায়, আমাদের রাজনীতি ক্রমেই সংঘাত-সংঘর্ষের কানাগলিতে ঢুকে পড়ছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, এ মুহূর্তে দেশে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা আগামী এক বছর ধরেই দেশের মানুষকে কষ্ট দেবে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের অর্থনীতিও। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও নিজস্ব প্রচেষ্টায় দেশের ব্যক্তি খাত যতটা অগ্রগতি অর্জন করেছিল, তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কাজেই এ ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টির আগে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থের দিকটি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আমরা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। শুধু মুখে নয়, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে আচরণেও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করতে হবে। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে নানাভাবে তাদের সংলাপে বসার অনুরোধ জানানো হলেও সেই সংলাপের প্রতি তাদের কারো আগ্রহ নেই। সংসদ বর্জন একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। দেশ ও গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে হলে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশা করব, রাজপথে ক্ষমতা ও শক্তি প্রদর্শন নয়, আলোচনার টেবিলই হবে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।
No comments