চির রহস্যময় এলসওর্থ লেক খুঁড়তে প্রস্তুত বিজ্ঞানীরা
চিরশুভ্র রহস্যঘেরা বরফের রাজ্য অ্যান্টার্কটিকা। এ অঞ্চলের সব রহস্যের জট যেন লুকিয়ে আছে ওই লেক এলসওর্থের বুকে। লেকটি অ্যান্টার্কটিকাকে পৃথিবীর বাকিটা থেকে আলাদা করে রেখেছে পাঁচ লাখ বছর ধরে।
ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন বিজ্ঞানীর একটি দল তাদের জীবন বাজি রেখেছে এলসওর্থের অদ্ভুত সব অজানাকে জানতে। এলসওর্থের বুক খুঁড়ে তারা দেখবে আসলে এখানে কী আছে? নিরেট বরফের এ রাজ্যে কিভাবে তীব্র ঠাণ্ডা, প্রয়োজনীয় পুষ্টিকণার অভাব আর ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেও লেকটিতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে এত বছর ধরে? আগামী সপ্তাহের শুরুতেই জটিল এসব রহস্যভেদের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে নামবে তারা। এখন দলটি অ্যান্টার্কটিকায় নিজেদের ক্যাম্পে বসে তাদের প্রস্তুতির শেষটুকু সম্পন্ন করছে।
এ দলের এক সদস্য ক্রিস হিল জানান, এ কাজের শুরুতেই বিশেষ ধরনের হট ওয়াটার ড্রিল পদ্ধতির মাধ্যমে লেকের ওপরের পাথরের মতো শক্ত বরফে ৩৬ সেন্টিমিটার চওড়া একটি গর্ত করা হবে। আর এ গর্ত করা মানেই এখান থেকে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। এরপর সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা হোস পাইপের মাধ্যমে উচ্চ চাপে এলসওর্থের ৯০ হাজার লিটার পানি বের করে ফেলা হবে। এ কাজ শেষ করতে তিন-চার দিন লেগে যাবে। এ এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এখন সব পাইপ, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামসহ গোটা পদ্ধতিগত কাঠামো দাঁড় করাতে টানা সাড়ে তিন বছর লেগেছে। তা ছাড়া এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কাজ এর আগে করা হয়নি। চরম উত্তেজনা থাকলেও এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে। তাই সবার মেজাজ এখন ফুরফুরে, হাসি মুখে বললেন ক্রিস।
এলসওর্থ পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিবেশের লেকগুলোর একটি। পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় নিরেট বরফের আচ্ছাদনের নিচে এটি কবরের মতো পড়ে রয়েছে। এখানে দিনের তাপমাত্রাই মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ মাইলও ছাড়িয়ে যায়। গর্ত যেখানে খোঁড়া হবে, সেখানে পেঁৗছাতে দলটিকে ১০০ টন ওজনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ২৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। লেকের গভীর থেকে বিভিন্ন পদার্থ সংগ্রহের জন্য সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি ছাড়াও পাঁচ লাখ বছরের পুরনো এই লেকের পানির হুবহু নমুনা সংগ্রহের জন্য পাত্র আনা হয়েছে। এগুলো বহুমূল্যের বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি।
এ দলেই আছেন ইউনিভার্সিটি অব এবারডিনের জিয়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক জন পারনেল। তিনি বলেন, লেকটির পরিবেশে প্রাণ জন্ম নেওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। অথচ এত দিন ধরে এখানে প্রাণ টিকে রয়েছে। হয়তো এখানে এমন কিছু অজানা পদার্থ বা রসায়ন আছে যার খোঁজ এ অভিযানে পাওয়া যাবে। বের হয়ে আসবে পৃথিবীর এ যাবৎকালের না জানা বিভিন্ন তথ্য। এই অভিযানে সাত মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হবে। সূত্র : স্কাই নিউজ।
এ দলের এক সদস্য ক্রিস হিল জানান, এ কাজের শুরুতেই বিশেষ ধরনের হট ওয়াটার ড্রিল পদ্ধতির মাধ্যমে লেকের ওপরের পাথরের মতো শক্ত বরফে ৩৬ সেন্টিমিটার চওড়া একটি গর্ত করা হবে। আর এ গর্ত করা মানেই এখান থেকে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। এরপর সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা হোস পাইপের মাধ্যমে উচ্চ চাপে এলসওর্থের ৯০ হাজার লিটার পানি বের করে ফেলা হবে। এ কাজ শেষ করতে তিন-চার দিন লেগে যাবে। এ এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এখন সব পাইপ, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামসহ গোটা পদ্ধতিগত কাঠামো দাঁড় করাতে টানা সাড়ে তিন বছর লেগেছে। তা ছাড়া এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কাজ এর আগে করা হয়নি। চরম উত্তেজনা থাকলেও এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে। তাই সবার মেজাজ এখন ফুরফুরে, হাসি মুখে বললেন ক্রিস।
এলসওর্থ পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিবেশের লেকগুলোর একটি। পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় নিরেট বরফের আচ্ছাদনের নিচে এটি কবরের মতো পড়ে রয়েছে। এখানে দিনের তাপমাত্রাই মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ মাইলও ছাড়িয়ে যায়। গর্ত যেখানে খোঁড়া হবে, সেখানে পেঁৗছাতে দলটিকে ১০০ টন ওজনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ২৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। লেকের গভীর থেকে বিভিন্ন পদার্থ সংগ্রহের জন্য সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি ছাড়াও পাঁচ লাখ বছরের পুরনো এই লেকের পানির হুবহু নমুনা সংগ্রহের জন্য পাত্র আনা হয়েছে। এগুলো বহুমূল্যের বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি।
এ দলেই আছেন ইউনিভার্সিটি অব এবারডিনের জিয়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক জন পারনেল। তিনি বলেন, লেকটির পরিবেশে প্রাণ জন্ম নেওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। অথচ এত দিন ধরে এখানে প্রাণ টিকে রয়েছে। হয়তো এখানে এমন কিছু অজানা পদার্থ বা রসায়ন আছে যার খোঁজ এ অভিযানে পাওয়া যাবে। বের হয়ে আসবে পৃথিবীর এ যাবৎকালের না জানা বিভিন্ন তথ্য। এই অভিযানে সাত মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হবে। সূত্র : স্কাই নিউজ।
No comments