কেটের অন্তঃসত্ত্বার খবর-ধোঁকা খাওয়া সেবিকার মৃত্যু
ব্রিটিশ প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন গর্ভাবস্থাজনিত অসুস্থতার কারণে যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, সেই হাসপাতালের এক সেবিকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার পুলিশ জ্যাসিন্থা সালডানাহ (৪৬) নামের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই সেবিকার লাশ উদ্ধার করে।
ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স চার্লসের পরিচয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি এফএম রেডিওর দুই ডিস্ক জকি (ডিজে) কেটের খবর জানতে ওই হাসপাতালে ফোন করেছিলেন। জ্যাসিন্থাই প্রথমে ফোনটি ধরনে। তবে তিনি কেটের বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি কলটি কেট যে বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই বিভাগে পাঠিয়ে দেন। ওই বিভাগের দায়িত্বরত সেবিকাই অন্তঃসত্ত্বার খবর দেন। এভাবেই কেটের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জ্যাসিন্থার মৃত্যুতে ব্রিটিশ রাজপরিবার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অস্ট্রেলিয়ার টুডে এফএম রেডিও কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ওই দুই ডিজের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। তবে রেডিও কর্তৃপক্ষের দাবি, কেটের খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার কোনো আইন ভাঙেনি তারা।
গর্ভাবস্থাজনিত অসুস্থতার কারণে গত সোমবার লন্ডনের কিং সপ্তম এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি হন কেট। পরের দিনই কেটের খবর নিতে হাসপাতালে ফোন করেন টুডে এফএম রেডিওর ডিজে মেল গ্রিং ও মাইকেল ক্রিস্টিয়ান। রানি ও প্রিন্সের পরিচয় পেয়ে জ্যাসিন্থা দেরি না করে কলটি সংশ্লিষ্ট সেবিকার কাছে পাঠিয়ে দেন। এতে সহজেই কেটের খবর পেয়ে যান ওই ডিজেরা। কেটের অন্তঃসত্ত্বার খবরের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছিল এটি।
কেট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান গত বৃহস্পতিবার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার কারণে জ্যাসিন্থাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা বা তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো অভিযোগ আনেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ফোন এবং এ-সংক্রান্ত ঘটনার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন জ্যাসিন্থা। শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, জ্যাসিন্থার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তারা কোনো অস্বাভাবিকতা বা সন্দেহজনক কিছু পায়নি। জ্যাসিন্থার মৃত্যুতে উইলিয়াম ও কেট গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। কেটের খবর সংগ্রহ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে টুডে এফএম রেডিও কোনো আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ ও গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স চার্লসের পরিচয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি এফএম রেডিওর দুই ডিস্ক জকি (ডিজে) কেটের খবর জানতে ওই হাসপাতালে ফোন করেছিলেন। জ্যাসিন্থাই প্রথমে ফোনটি ধরনে। তবে তিনি কেটের বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি কলটি কেট যে বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই বিভাগে পাঠিয়ে দেন। ওই বিভাগের দায়িত্বরত সেবিকাই অন্তঃসত্ত্বার খবর দেন। এভাবেই কেটের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জ্যাসিন্থার মৃত্যুতে ব্রিটিশ রাজপরিবার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অস্ট্রেলিয়ার টুডে এফএম রেডিও কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ওই দুই ডিজের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। তবে রেডিও কর্তৃপক্ষের দাবি, কেটের খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার কোনো আইন ভাঙেনি তারা।
গর্ভাবস্থাজনিত অসুস্থতার কারণে গত সোমবার লন্ডনের কিং সপ্তম এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি হন কেট। পরের দিনই কেটের খবর নিতে হাসপাতালে ফোন করেন টুডে এফএম রেডিওর ডিজে মেল গ্রিং ও মাইকেল ক্রিস্টিয়ান। রানি ও প্রিন্সের পরিচয় পেয়ে জ্যাসিন্থা দেরি না করে কলটি সংশ্লিষ্ট সেবিকার কাছে পাঠিয়ে দেন। এতে সহজেই কেটের খবর পেয়ে যান ওই ডিজেরা। কেটের অন্তঃসত্ত্বার খবরের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছিল এটি।
কেট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান গত বৃহস্পতিবার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার কারণে জ্যাসিন্থাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা বা তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো অভিযোগ আনেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ফোন এবং এ-সংক্রান্ত ঘটনার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন জ্যাসিন্থা। শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, জ্যাসিন্থার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তারা কোনো অস্বাভাবিকতা বা সন্দেহজনক কিছু পায়নি। জ্যাসিন্থার মৃত্যুতে উইলিয়াম ও কেট গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। কেটের খবর সংগ্রহ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে টুডে এফএম রেডিও কোনো আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ ও গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
No comments