সেই ক্যারিবীয়দের সামনেই 'গ্যাংনাম' নাচের আনন্দ by মাসুদ পারভেজ
সোহাগ গাজীর বলে কাইরন পাওয়েলকে স্টাম্পিং করার সময় তিনটি স্টাম্পই উপড়ে ফেলতে দেখে বোঝা যাচ্ছিল ভীষণ চটে আছেন মুশফিকুর রহিম। সিরিজ জয়ের আনন্দের মাঝেও ওই সময়ের আবেগটা ভুলে যাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'আর বলবেন না, ওই সময়টায় মেজাজ খুব খারাপ ছিল।'
এরপর যত সময় গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা তাঁর মেজাজ আরো চড়িয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্যারিবীয়দের ২১৭ রান তাড়া করতে নামার পর। ৮ রানে ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর ব্যাটিং করতে নেমে তো কান পাতাই কঠিন হয়ে পড়েছিল মুশফিকের। ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের মুখ থেকে যে তখন কেবলই ছুটছিল অম্লীল-কুশ্লীল বাক্যবাণ। মাঠের পারফরম্যান্সে সেটিরই জবাব দিয়ে আসতে পারায় বিজয়ের শিশিরভেজা আনন্দের আবেদন আরো পূর্ণতা পেয়েছে বলেই মনে হচ্ছে তাঁর কাছে, "ওরা স্লেজিং শুরু করে দিয়েছিল। কী যে আজেবাজে কথা বলছিল! সবচেয়ে ভালো লাগছে এ জন্য যে, জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সামনেই ওদের প্রিয় 'গ্যাংন্যাম' নাচ নেচে দেখাতে পারলাম।"
নাচের এ কোরিয়ান স্টাইলটা আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ক্রিস গেইলদের সুবাদেই। শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় এটিতেই মজে থাকা ক্যারিবীয়রা কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দেখলেন সেটি নাচছেন মুশফিকরা। কারোটা হচ্ছিল, কারোটা একটুও নয়! তবে সেটা যাচাইয়ের সুযোগই পাচ্ছিলেন না আবদুর রাজ্জাক, 'এর মধ্যে কারটা ঠিক হচ্ছে আর কারটা নয়, তা দেখার সময় ছিল নাকি!' তবে দলের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি 'গ্যাংন্যাম' নাচও বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে দেখা মুশফিক বললেন, 'ম্যাশ (মাশরাফি) তো আছেনই। তবে আমার মনে হয়, রিয়াদ ভাই (মাহমুদ উল্লাহ) এ নাচটা সবচেয়ে ভালো পারেন।'
এ সিরিজে ব্যাটে-বলেও অন্যতম সেরা পারফরমার মাহমুদই। তবে ব্যাটে আর অধিনায়কত্বে দুর্দান্ত একটা সিরিজ কাটল মুশফিকেরও। কাল যখন ক্রমেই বিধ্বংসী হয়ে উঠতে থাকা কিয়েরন পোলার্ডকে কিছুতেই আউট করা যাচ্ছিল না, তখন বোলিংয়ে নিয়ে এলেন বাঁ-হাতি স্পিনার মমিনুল হককে। এসেই পোলার্ডের পরম কাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠা উইকেটটা তুলে নিলেন এ সিরিজেই অভিষিক্ত তরুণ। কাল রাত সাড়ে ১১টার সংবাদ সম্মেলনে সে প্রসঙ্গ উঠতেই একটু মজাও করে নিলেন অধিনায়ক। একচোট হেসে নিয়ে বললেন, 'আমাকে আগে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। কারণ আমি ওকে বোলিংয়ে না আনলে তো ও উইকেটটা পেতই না।'
সেই মমিনুলকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি, 'ও খুব লড়াকু একজন ক্রিকেটার। এই পর্যায়ে আপনি ব্যর্থ হতেই পারেন। এটা বড় ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হলো সঠিক মনোভাব ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা। ও ঠিক সেরকম একজন খেলোয়াড়। এজন্যই ও আমার খুব পছন্দের খেলোয়াড়। কোনো চ্যালেঞ্জ দিলে সেটা গ্রহণ করে। ও পোলার্ডকে আউট না করলে ক্যারিবীয়দের স্কোর ২৬০ ছাড়িয়ে যেত।' আবার শুরুতে গেইলদের ঘোড়া ছোটাতে না দেওয়া পেসার শফিউল ইসলামের কথাও বলতে ভুললেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'আজকের জন্য কৃতিত্ব কাউকে দিতে হলে ৭০-৮০ পারসেন্ট শফিউলকেই দিতে হবে। এরকম ফাইনাল ম্যাচে গেইল, পোলার্ড ও স্যামুয়েলসের মতো বড় বড় ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করা সহজ কাজ নয়। তা ছাড়া গত কিছুদিন ও খেলেওনি। টেস্টেও না, ওয়ানডেতেও না। ও যেহেতু নতুন বলে সুইং করাতে পারে, তাই আমাদের আশা ছিল- সে দ্রুত কয়েকটা উইকেট তুলে নেবে।'
৯ ওভারে ৪ মেডেনসহ ৩১ রানে ৩ উইকেট নেওয়া শফিউল সবার আগে তুলে নিয়েছেন গেইলকে। এ জ্যামাইকানের ব্যর্থতার কাহিনী দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করার পর গেইলের জন্য যেন করুণাই হচ্ছে মুশফিকের, 'তাঁকে আমরা কখনোই সহজে বাউন্ডারি মারার সুযোগ দেইনি। কারণ এ ধরনের ব্যাটসম্যান প্রথম ১৫টা রান পেয়ে গেলে তাঁকে আউট করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা দুদিক থেকে চাপ দিয়েছি। সে চাপেই উনি ভেঙে পড়েছেন। এত বড় ব্যাটসম্যান অথচ এখন তাঁর ব্যাটিং দেখে আমার মনে হচ্ছে নিজেও হয়তো বুঝতে পারছেন না যে কী করবেন! এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। তাঁর জন্য যে পরিকল্পনাটা আমরা করেছিলাম, তাতে সফল হয়েছি।'
তারপরও এই জয়ের আগে ব্যাটিংয়ের অনেক উত্থান-পতন ছিল। তাতে মুশফিক আর মাহমুদ উল্লাহর পার্টনারশিপ বিপর্যয় ঠেকিয়েছে প্রথমে। তবে মুশফিকের কাছে বেশি মার্কস পাচ্ছে নাসির আর মমিনুলের পার্টনারশিপটা। সেটির পর শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই ফেরা নাসির (৩৯*) জানালেন, তিনি এমন কিছুই করতে আসতে চেয়েছিলেন, 'এসব পরিস্থিতি হলো হিরো হওয়ার সুযোগ। আজ ব্রেকের সময়ও সাকলায়েন ভাই (স্পিন কোচ) আর সুইফটকে (ফিল্ডিং কোচ) বলছিলাম যে, 'আমি ৪০ কি ৫০ রানে নটআউট থাকব এবং ম্যাচ জিতিয়ে আসব।' জেতানোর পর এটাকেই বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সিরিজ জয় বলে রায় দিয়ে ফেলেছেন আবদুর রাজ্জাক, 'এটা নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার চেয়েও বড়। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এটা মাথায় থাকলে এ জয়কে সবচেয়ে বড় না বলে উপায় নেই।' মুশফিকের সুরও তেমনই, 'এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওদের হোয়াইটওয়াশ করেছিলাম। এরপর ওই জয় নিয়ে অনেক কথাই বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, তাঁদের দলটা দুর্বল ছিল। বা নিউজিল্যান্ড এখানে এসে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাওয়ার পরও বলা হয়েছিল, তাঁরা পুরো শক্তির দল ছিল না। এবার তেমন কিছু বলার সুযোগ নেই। কারণ এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব খেলোয়াড়ই ছিলেন। আবার আমাদের এক-দুটো মূল পারফরমারও দলে ছিলেন না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বললে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সিরিজ জয়।'
যে জয়ের পথে ৫ ম্যাচে ২০৪ রান করে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা পেয়েছেন খোদ অধিনায়কই। তবে সে আনন্দ দলের সঙ্গেই মিশিয়ে নিলেন তিনি, 'যখন একটা ম্যাচ বা সিরিজ জিতবেন আর আপনি তাতে অবদান রাখতে পারবেন, এর চেয়ে ভালোলাগার আর কিছুই হয় না।' যে ভালোলাগায় বিজয়ের রাতে ড্রেসিংরুমের সামনে কখনো বাবা মাহবুব হামিদের কোলে চড়লেন। আবার পরম মমতায় বাবাকেও কোলে তুলে ঝাঁকালেন।
বিগড়ে থাকা মেজাজ তখন বিপদসীমার অনেক নিচে। আনন্দের থার্মোমিটারই কেবল তখন ঊর্ধ্বমুখী!
নাচের এ কোরিয়ান স্টাইলটা আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ক্রিস গেইলদের সুবাদেই। শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় এটিতেই মজে থাকা ক্যারিবীয়রা কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দেখলেন সেটি নাচছেন মুশফিকরা। কারোটা হচ্ছিল, কারোটা একটুও নয়! তবে সেটা যাচাইয়ের সুযোগই পাচ্ছিলেন না আবদুর রাজ্জাক, 'এর মধ্যে কারটা ঠিক হচ্ছে আর কারটা নয়, তা দেখার সময় ছিল নাকি!' তবে দলের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি 'গ্যাংন্যাম' নাচও বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে দেখা মুশফিক বললেন, 'ম্যাশ (মাশরাফি) তো আছেনই। তবে আমার মনে হয়, রিয়াদ ভাই (মাহমুদ উল্লাহ) এ নাচটা সবচেয়ে ভালো পারেন।'
এ সিরিজে ব্যাটে-বলেও অন্যতম সেরা পারফরমার মাহমুদই। তবে ব্যাটে আর অধিনায়কত্বে দুর্দান্ত একটা সিরিজ কাটল মুশফিকেরও। কাল যখন ক্রমেই বিধ্বংসী হয়ে উঠতে থাকা কিয়েরন পোলার্ডকে কিছুতেই আউট করা যাচ্ছিল না, তখন বোলিংয়ে নিয়ে এলেন বাঁ-হাতি স্পিনার মমিনুল হককে। এসেই পোলার্ডের পরম কাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠা উইকেটটা তুলে নিলেন এ সিরিজেই অভিষিক্ত তরুণ। কাল রাত সাড়ে ১১টার সংবাদ সম্মেলনে সে প্রসঙ্গ উঠতেই একটু মজাও করে নিলেন অধিনায়ক। একচোট হেসে নিয়ে বললেন, 'আমাকে আগে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। কারণ আমি ওকে বোলিংয়ে না আনলে তো ও উইকেটটা পেতই না।'
সেই মমিনুলকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি, 'ও খুব লড়াকু একজন ক্রিকেটার। এই পর্যায়ে আপনি ব্যর্থ হতেই পারেন। এটা বড় ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হলো সঠিক মনোভাব ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা। ও ঠিক সেরকম একজন খেলোয়াড়। এজন্যই ও আমার খুব পছন্দের খেলোয়াড়। কোনো চ্যালেঞ্জ দিলে সেটা গ্রহণ করে। ও পোলার্ডকে আউট না করলে ক্যারিবীয়দের স্কোর ২৬০ ছাড়িয়ে যেত।' আবার শুরুতে গেইলদের ঘোড়া ছোটাতে না দেওয়া পেসার শফিউল ইসলামের কথাও বলতে ভুললেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'আজকের জন্য কৃতিত্ব কাউকে দিতে হলে ৭০-৮০ পারসেন্ট শফিউলকেই দিতে হবে। এরকম ফাইনাল ম্যাচে গেইল, পোলার্ড ও স্যামুয়েলসের মতো বড় বড় ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করা সহজ কাজ নয়। তা ছাড়া গত কিছুদিন ও খেলেওনি। টেস্টেও না, ওয়ানডেতেও না। ও যেহেতু নতুন বলে সুইং করাতে পারে, তাই আমাদের আশা ছিল- সে দ্রুত কয়েকটা উইকেট তুলে নেবে।'
৯ ওভারে ৪ মেডেনসহ ৩১ রানে ৩ উইকেট নেওয়া শফিউল সবার আগে তুলে নিয়েছেন গেইলকে। এ জ্যামাইকানের ব্যর্থতার কাহিনী দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করার পর গেইলের জন্য যেন করুণাই হচ্ছে মুশফিকের, 'তাঁকে আমরা কখনোই সহজে বাউন্ডারি মারার সুযোগ দেইনি। কারণ এ ধরনের ব্যাটসম্যান প্রথম ১৫টা রান পেয়ে গেলে তাঁকে আউট করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা দুদিক থেকে চাপ দিয়েছি। সে চাপেই উনি ভেঙে পড়েছেন। এত বড় ব্যাটসম্যান অথচ এখন তাঁর ব্যাটিং দেখে আমার মনে হচ্ছে নিজেও হয়তো বুঝতে পারছেন না যে কী করবেন! এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। তাঁর জন্য যে পরিকল্পনাটা আমরা করেছিলাম, তাতে সফল হয়েছি।'
তারপরও এই জয়ের আগে ব্যাটিংয়ের অনেক উত্থান-পতন ছিল। তাতে মুশফিক আর মাহমুদ উল্লাহর পার্টনারশিপ বিপর্যয় ঠেকিয়েছে প্রথমে। তবে মুশফিকের কাছে বেশি মার্কস পাচ্ছে নাসির আর মমিনুলের পার্টনারশিপটা। সেটির পর শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই ফেরা নাসির (৩৯*) জানালেন, তিনি এমন কিছুই করতে আসতে চেয়েছিলেন, 'এসব পরিস্থিতি হলো হিরো হওয়ার সুযোগ। আজ ব্রেকের সময়ও সাকলায়েন ভাই (স্পিন কোচ) আর সুইফটকে (ফিল্ডিং কোচ) বলছিলাম যে, 'আমি ৪০ কি ৫০ রানে নটআউট থাকব এবং ম্যাচ জিতিয়ে আসব।' জেতানোর পর এটাকেই বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সিরিজ জয় বলে রায় দিয়ে ফেলেছেন আবদুর রাজ্জাক, 'এটা নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার চেয়েও বড়। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এটা মাথায় থাকলে এ জয়কে সবচেয়ে বড় না বলে উপায় নেই।' মুশফিকের সুরও তেমনই, 'এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওদের হোয়াইটওয়াশ করেছিলাম। এরপর ওই জয় নিয়ে অনেক কথাই বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, তাঁদের দলটা দুর্বল ছিল। বা নিউজিল্যান্ড এখানে এসে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাওয়ার পরও বলা হয়েছিল, তাঁরা পুরো শক্তির দল ছিল না। এবার তেমন কিছু বলার সুযোগ নেই। কারণ এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব খেলোয়াড়ই ছিলেন। আবার আমাদের এক-দুটো মূল পারফরমারও দলে ছিলেন না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বললে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সিরিজ জয়।'
যে জয়ের পথে ৫ ম্যাচে ২০৪ রান করে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা পেয়েছেন খোদ অধিনায়কই। তবে সে আনন্দ দলের সঙ্গেই মিশিয়ে নিলেন তিনি, 'যখন একটা ম্যাচ বা সিরিজ জিতবেন আর আপনি তাতে অবদান রাখতে পারবেন, এর চেয়ে ভালোলাগার আর কিছুই হয় না।' যে ভালোলাগায় বিজয়ের রাতে ড্রেসিংরুমের সামনে কখনো বাবা মাহবুব হামিদের কোলে চড়লেন। আবার পরম মমতায় বাবাকেও কোলে তুলে ঝাঁকালেন।
বিগড়ে থাকা মেজাজ তখন বিপদসীমার অনেক নিচে। আনন্দের থার্মোমিটারই কেবল তখন ঊর্ধ্বমুখী!
No comments