দোহা জলবায়ু সম্মেলন-উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাপ্তি অতি সামান্য
উন্নত দেশগুলো থেকে নিঃসৃত কার্বনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অনেক আশা ছিল দোহা জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সম্মেলনের পর হিসাবের খাতা প্রায় শূন্য। কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোটাই আপাতত প্রাপ্তি বলে গণ্য হতে পারে।
কার্বন নিঃসরণ মাত্রা কমিয়ে আনার ব্যাপারে উন্নত ও ইমার্জিং বা উদীয়মান দেশগুলো আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি মোটেও। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা প্রদানের ব্যাপারেও কোনো আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি। দোহা সম্মেলনে আগামী তিন বছরে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি এবং পরবর্তীকালে আরো ৬০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়েও সংশয় কাটেনি। ডেনমার্ক, সুইডেন ও জার্মানি দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দিলেও অন্যান্য উন্নত দেশ কোনো প্রতিশ্রুতিই দেয়নি। ফলে ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে প্রতিশ্রুতি, তা পূরণের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। আপাতত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য যে ৪০ বিলিয়ন ডলারের কথা বলা হচ্ছে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। কিন্তু সেই অর্থও বাংলাদেশ, মালদ্বীপের মতো সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ভাগ্যে কতটা জুটবে, তা স্পষ্ট নয়। বালি অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও উন্নত দেশগুলোর আন্তরিকতার অভাবে তা খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারেনি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা এ উদ্যোগকে গতিশীল করতে হলে উন্নত বিশ্বকে আন্তরিক হতে হবে। তাদের মনে রাখা প্রয়োজন, এটা উন্নয়নশীল ও গরিব দেশগুলোকে করুণা নয়, তাদের যে ক্ষতি করা হচ্ছে, তারই প্রতিদান হবে এ কার্যক্রম। তাদের মনে রাখা দরকার, তাদের উন্নয়নকাণ্ড পরিচালনার দায়ভার অন্য দেশ নিতে পারে না। যেহেতু অন্যের ক্ষতি করে তারা নিজেরা লাভবান হচ্ছে, তাই গরিব দেশগুলোও যাতে উন্নয়নের সুযোগ পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে তাদেরই।
যে ভারত ও চীন কার্বন নিঃসরণ মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার ব্যাপারেও গড়িমসি করছে, তারাই আগে বরাদ্দকৃত অর্থের বেশির ভাগ নিয়ে গেছে। প্রযুক্তিনির্ভর সহযোগিতা কার্যক্রমের কৌশল অবলম্বন করে সেই অর্থ এসব দেশে চলে গেছে, কিন্তু সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশের প্রাপ্তির হার অতি সামান্য। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব সমাজের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। সে জনমতকে কাজে লাগাতে হলে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তৎপরতা চালাতে হবে। কিয়োটো প্রটোকল বাস্তবায়ন যাতে নিশ্চিত হয়, তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জোটকে জোরালো করারও কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থ সরাসরি প্রাপ্তিকেও নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বব্যাংক কিংবা অন্য কোনো সংস্থার মাধ্যমে অর্থপ্রাপ্তির পথ করা হলে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সরাসরি তত্ত্বাবধান থাকতে পারে। কিন্তু আর্থিক কোনো সংস্থাকে জড়িত করলে সেখানে সেবার নামে বাণিজ্যিক চিন্তাকে প্রাধান্য দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
যে ভারত ও চীন কার্বন নিঃসরণ মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার ব্যাপারেও গড়িমসি করছে, তারাই আগে বরাদ্দকৃত অর্থের বেশির ভাগ নিয়ে গেছে। প্রযুক্তিনির্ভর সহযোগিতা কার্যক্রমের কৌশল অবলম্বন করে সেই অর্থ এসব দেশে চলে গেছে, কিন্তু সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশের প্রাপ্তির হার অতি সামান্য। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব সমাজের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। সে জনমতকে কাজে লাগাতে হলে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তৎপরতা চালাতে হবে। কিয়োটো প্রটোকল বাস্তবায়ন যাতে নিশ্চিত হয়, তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জোটকে জোরালো করারও কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থ সরাসরি প্রাপ্তিকেও নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বব্যাংক কিংবা অন্য কোনো সংস্থার মাধ্যমে অর্থপ্রাপ্তির পথ করা হলে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সরাসরি তত্ত্বাবধান থাকতে পারে। কিন্তু আর্থিক কোনো সংস্থাকে জড়িত করলে সেখানে সেবার নামে বাণিজ্যিক চিন্তাকে প্রাধান্য দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
No comments