সংকট উতরাতে পারলেও চড়া মূল্য দিতে হবে মুরসিকে
আস্থাহীনতা আর বিভক্তির গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মিসর। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যে পথ বেছে নিয়েছেন, তা বহু মিসরীয়র মধ্যেই আস্থা জাগাতে পারেনি। উল্টো তা আবারও স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার আতঙ্ক তৈরি করেছে।
একদিকে মুরসি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ক্ষমতা একচ্ছত্র করে সেই অবস্থানে অনড়, অন্যদিকে বিরোধীরাও এই ডিক্রি প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথ ছাড়তে নারাজ।
মিসরে খ্রিস্টান সংখ্যালঘুসহ উদারপন্থী সমাজের একটা বড় অংশ সম্প্রতি প্রণীত খসড়া সংবিধান মেনে নেয়নি। মুরসির ঘোষিত অধ্যাদেশের প্রতিবাদে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছে তারা। এরই মধ্যে খসড়া সংবিধান প্রকাশ এবং এ নিয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে। ফলে মিসরের গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রায় ভেঙে পড়া অর্থনীতির মেরামতের জন্য এর বিকল্প নেই।
মুরসি ক্ষমতায় এসেই সবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, মুরসি শুরু থেকেই তাঁর সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারেই অধিক মনোযোগী। যে কারণে তাঁর নেওয়া সংস্কার পদক্ষেপগুলোও সাধারণের না হয়ে দলীয় হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। গণভোট আয়োজনের বিষয়টিকেও একইভাবে দেখছেন বিরোধীরা। যদিও শেষ পর্যন্ত ভোট হলে দলীয় সমর্থনের কারণেই উতরে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মুরসি। এক পশ্চিমা বিশ্লেষক বলেন, 'নির্বাচনে (গণভোট) সফল হলে বিষয়টিকে তাঁরা (মুসলিম ব্রাদারহুড) বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করবে। যদিও এর জন্য মূল্য দিতে হবে তাঁদের।' মিসরে ইসলামপন্থী ও উদারপন্থীদের মধ্যে বিরোধ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি তা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার মুরসির শর্তসাপেক্ষে গণভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব বিরোধীরা প্রত্যাখ্যান করে। এর আগেই সংলাপে বসার প্রস্তাবও নাকচ করে দেয় তারা। বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার মুরসির উপদেষ্টা আয়মান আল-সায়েদ পদত্যাগ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই এই মেরুকরণের বিষয়টি জানতাম। যথাযথ পদক্ষেপ না নিতে পারলে এটা বিস্ফোরক হয়ে উঠতে পারে_এমন আশঙ্কা ছিল। এবং তাই ঘটেছে।'
ইউরোপীয় পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক ফেলো এলিজা জারওয়ান বলেন, 'গত দুই সপ্তাহের বিক্ষোভ রাজনীতিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। পরবর্তী সরকারকে বহু সংকট মোকাবিলা করতে হবে। তাদের (বিরোধীদেরও) সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যদের সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি কল্পনা করাও কঠিন।' আর এ ক্ষেত্রেই সেতুবন্ধ রচনায় ব্যর্থ হয়েছেন মুরসি। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বচিত হয়েও বিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে পারেননি প্রেসিডেন্ট। ফলে ইসলামপন্থীদের সমর্থন নিয়ে এবার কোনোভাবে তিনি উতরে যেতে পারলেও তাঁর সামনের পথ খুব একটা মসৃণ হবে না বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : রয়টার্স।
মিসরে খ্রিস্টান সংখ্যালঘুসহ উদারপন্থী সমাজের একটা বড় অংশ সম্প্রতি প্রণীত খসড়া সংবিধান মেনে নেয়নি। মুরসির ঘোষিত অধ্যাদেশের প্রতিবাদে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছে তারা। এরই মধ্যে খসড়া সংবিধান প্রকাশ এবং এ নিয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে। ফলে মিসরের গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রায় ভেঙে পড়া অর্থনীতির মেরামতের জন্য এর বিকল্প নেই।
মুরসি ক্ষমতায় এসেই সবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, মুরসি শুরু থেকেই তাঁর সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারেই অধিক মনোযোগী। যে কারণে তাঁর নেওয়া সংস্কার পদক্ষেপগুলোও সাধারণের না হয়ে দলীয় হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। গণভোট আয়োজনের বিষয়টিকেও একইভাবে দেখছেন বিরোধীরা। যদিও শেষ পর্যন্ত ভোট হলে দলীয় সমর্থনের কারণেই উতরে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মুরসি। এক পশ্চিমা বিশ্লেষক বলেন, 'নির্বাচনে (গণভোট) সফল হলে বিষয়টিকে তাঁরা (মুসলিম ব্রাদারহুড) বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করবে। যদিও এর জন্য মূল্য দিতে হবে তাঁদের।' মিসরে ইসলামপন্থী ও উদারপন্থীদের মধ্যে বিরোধ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি তা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার মুরসির শর্তসাপেক্ষে গণভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব বিরোধীরা প্রত্যাখ্যান করে। এর আগেই সংলাপে বসার প্রস্তাবও নাকচ করে দেয় তারা। বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার মুরসির উপদেষ্টা আয়মান আল-সায়েদ পদত্যাগ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই এই মেরুকরণের বিষয়টি জানতাম। যথাযথ পদক্ষেপ না নিতে পারলে এটা বিস্ফোরক হয়ে উঠতে পারে_এমন আশঙ্কা ছিল। এবং তাই ঘটেছে।'
ইউরোপীয় পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক ফেলো এলিজা জারওয়ান বলেন, 'গত দুই সপ্তাহের বিক্ষোভ রাজনীতিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। পরবর্তী সরকারকে বহু সংকট মোকাবিলা করতে হবে। তাদের (বিরোধীদেরও) সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যদের সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি কল্পনা করাও কঠিন।' আর এ ক্ষেত্রেই সেতুবন্ধ রচনায় ব্যর্থ হয়েছেন মুরসি। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বচিত হয়েও বিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে পারেননি প্রেসিডেন্ট। ফলে ইসলামপন্থীদের সমর্থন নিয়ে এবার কোনোভাবে তিনি উতরে যেতে পারলেও তাঁর সামনের পথ খুব একটা মসৃণ হবে না বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : রয়টার্স।
No comments