রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হবে 'মারাত্মক অপরাধ' : মুন
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের পরাস্ত করতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তা হবে 'মারাত্মক অপরাধ'। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের মতে, 'এর পরণতিও হবে সুদূরপ্রসারী।
' সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের ব্যাপারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিমত দেন বান কি মুন। রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, সব মানুষকে নিয়ে গঠিত ঐক্যবদ্ধ সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদকে রাখা সম্ভব হবে না। আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও জাতিসংঘের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরদিন শুক্রবার হিলারি এ মন্তব্য করেন। তিনি ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির সঙ্গে তাঁদের ওই বৈঠক 'বিশেষ কোনো সিদ্ধান্ত' ছাড়াই অবশ্য শেষ হয়েছে। তবে হিলারি বলেন, সিরিয়ার রাজনৈতিক পালাবদলে ব্রাহিমির নেওয়া নতুন উদ্যোগে সমর্থন দিতে অঙ্গীকার করেছেন ল্যাভরভ।
শুক্রবার তুরস্কে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয়শিবির পরিদর্শন শেষে রাজধানী আংকারায় সংবাদ সম্মেলনে বান কি মুন বলেন, 'যদি আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করে, তবে তা হবে মানবতার নামে মারাত্মক অপরাধ।' রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা বিপদ সংকেত।' এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ আন্তর্জাতিক মহল থেকে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যদিও দামেস্ক জানিয়েছে, কোনো অবস্থায়ই তারা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করবে না।
জর্দান সফর শেষে শুক্রবার সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে তুরস্কে যান জাতিসংঘের মহাসচিব। সহিংসতা বন্ধে করণীয় নির্ধারণে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান, প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কোনো অবস্থাতেই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করতে প্রেসিডেন্ট আসাদকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, 'এর পরিণাম অনেক দূর গড়াবে। আগের দিন বৃহস্পতিবার বাগদাদ সফরকালে বান কি মুন বলেন, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করা হলে আসাদকে 'বিচারের মুখোমুখি' করা হবে।
বৃহস্পতিবারের ডাবলিন বৈঠক শেষে ব্রাহিমি জানান, সিরিয়ার পরিস্থিতি যে খুবই খারাপ, এ ব্যাপারে সবাই একমত। গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর সিরিয়া বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আংকারা-মস্কো আলোচনা প্রসঙ্গে বান কি মুন বলেন, 'আমি ব্যাপারটি জানি।' সংকট সমাধানের 'নতুন পথ' খোঁজা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়া ইস্যুতে সমঝোতায় পেঁৗছাতে পারবে।' ব্রাহিমি সেই চেষ্টাই করছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী সেনারা সারা দেশে একক নেতৃত্বের অধীনে অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে একমত হয়েছে। ফ্রি সিরিয়ান আর্মি বর্তমানে অনেকগুলো ভাগে সিরিয়ার নানা অংশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। তুরস্কের আনতালিয়ায় তিন দিনের বৈঠক শেষে গত শুক্রবার এ ব্যাপারে একমত হয় বিদ্রোহী সেনারা। ২৬০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা এতে যোগ দিয়েছিলেন।
ফ্রান্স সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বলে ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা দাবি করেছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিদ্রোহীদের অস্ত্র কিনতে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিক সূত্রের বরাত দিয়ে গত কয়েক মাসে এ সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে পত্রিকাটি।
গোলান মালভূমিতে সেনা বাড়াবে জাতিসংঘ : সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতির ওপর নজরদারি বাড়াতে গোলান মালভূমিতে সেনা উপস্থিতি বাড়াবে জাতিসংঘ। সিরিয়া পরিস্থিতির অনবতির সঙ্গে সঙ্গে গত কয়েক মাসে মালভূমিতে উত্তেজনা বেড়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীবিষয়ক প্রধান হারভে ল্যাডসোয়াস জানান, অস্ত্রনিষিদ্ধ অঞ্চলের (সিজফায়ার জোন) ওপর দিয়ে সিরিয়া ও ইসরায়েল একে অন্যের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গোলা ছুড়ছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ, নিউ ইয়র্ক টাইমস।
* রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হলে আসাদকে 'বিচারের মুখোমুখি' করা হবে
* আসাদের পতন ত্বরান্বিত করতে বিদ্রোহীদের অস্ত্র কিনতে অর্থ দিচ্ছে ফ্রান্স
* একক নেতৃত্বের অধীনে অভিযান পরিচালনা করবে সিরিয়ার বিদ্রোহী সেনারা
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, সব মানুষকে নিয়ে গঠিত ঐক্যবদ্ধ সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদকে রাখা সম্ভব হবে না। আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও জাতিসংঘের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরদিন শুক্রবার হিলারি এ মন্তব্য করেন। তিনি ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমির সঙ্গে তাঁদের ওই বৈঠক 'বিশেষ কোনো সিদ্ধান্ত' ছাড়াই অবশ্য শেষ হয়েছে। তবে হিলারি বলেন, সিরিয়ার রাজনৈতিক পালাবদলে ব্রাহিমির নেওয়া নতুন উদ্যোগে সমর্থন দিতে অঙ্গীকার করেছেন ল্যাভরভ।
শুক্রবার তুরস্কে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয়শিবির পরিদর্শন শেষে রাজধানী আংকারায় সংবাদ সম্মেলনে বান কি মুন বলেন, 'যদি আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করে, তবে তা হবে মানবতার নামে মারাত্মক অপরাধ।' রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা বিপদ সংকেত।' এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ আন্তর্জাতিক মহল থেকে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যদিও দামেস্ক জানিয়েছে, কোনো অবস্থায়ই তারা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করবে না।
জর্দান সফর শেষে শুক্রবার সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে তুরস্কে যান জাতিসংঘের মহাসচিব। সহিংসতা বন্ধে করণীয় নির্ধারণে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান, প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কোনো অবস্থাতেই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করতে প্রেসিডেন্ট আসাদকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, 'এর পরিণাম অনেক দূর গড়াবে। আগের দিন বৃহস্পতিবার বাগদাদ সফরকালে বান কি মুন বলেন, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করা হলে আসাদকে 'বিচারের মুখোমুখি' করা হবে।
বৃহস্পতিবারের ডাবলিন বৈঠক শেষে ব্রাহিমি জানান, সিরিয়ার পরিস্থিতি যে খুবই খারাপ, এ ব্যাপারে সবাই একমত। গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর সিরিয়া বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আংকারা-মস্কো আলোচনা প্রসঙ্গে বান কি মুন বলেন, 'আমি ব্যাপারটি জানি।' সংকট সমাধানের 'নতুন পথ' খোঁজা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়া ইস্যুতে সমঝোতায় পেঁৗছাতে পারবে।' ব্রাহিমি সেই চেষ্টাই করছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী সেনারা সারা দেশে একক নেতৃত্বের অধীনে অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে একমত হয়েছে। ফ্রি সিরিয়ান আর্মি বর্তমানে অনেকগুলো ভাগে সিরিয়ার নানা অংশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। তুরস্কের আনতালিয়ায় তিন দিনের বৈঠক শেষে গত শুক্রবার এ ব্যাপারে একমত হয় বিদ্রোহী সেনারা। ২৬০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা এতে যোগ দিয়েছিলেন।
ফ্রান্স সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বলে ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা দাবি করেছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিদ্রোহীদের অস্ত্র কিনতে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিক সূত্রের বরাত দিয়ে গত কয়েক মাসে এ সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে পত্রিকাটি।
গোলান মালভূমিতে সেনা বাড়াবে জাতিসংঘ : সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতির ওপর নজরদারি বাড়াতে গোলান মালভূমিতে সেনা উপস্থিতি বাড়াবে জাতিসংঘ। সিরিয়া পরিস্থিতির অনবতির সঙ্গে সঙ্গে গত কয়েক মাসে মালভূমিতে উত্তেজনা বেড়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীবিষয়ক প্রধান হারভে ল্যাডসোয়াস জানান, অস্ত্রনিষিদ্ধ অঞ্চলের (সিজফায়ার জোন) ওপর দিয়ে সিরিয়া ও ইসরায়েল একে অন্যের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গোলা ছুড়ছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ, নিউ ইয়র্ক টাইমস।
* রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হলে আসাদকে 'বিচারের মুখোমুখি' করা হবে
* আসাদের পতন ত্বরান্বিত করতে বিদ্রোহীদের অস্ত্র কিনতে অর্থ দিচ্ছে ফ্রান্স
* একক নেতৃত্বের অধীনে অভিযান পরিচালনা করবে সিরিয়ার বিদ্রোহী সেনারা
No comments