বাবা নির্বাক, প্রতীক্ষায় মা by ইমরান আলী
১৩ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে ফোন আসে অয়নের মোবাইলে। মাকে আসছি বলে বেরিয়ে যায় সে। সেই যে গেল আর ফেরেনি। মা প্রতিদিনই ছেলের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকেন। মায়ের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো শনিবার। দীর্ঘ ২২ দিন পর অয়ন ফিরল লাশ হয়ে।
ছেলের নিথর দেহ দেখে মা পাগল প্রায়। তাকে প্রবোধ দেবে কে? বারবার তিনি বিলাপ করে বলছেন, “আমার বাবা কই, আমার বাবাকে এনে দাও।”
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ফরেন রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপরিচালক ছলিম উদ্দিন ও টঙ্গী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ফেরদৌসি বেগমের একমাত্র সন্তান অয়ন। পুরো নাম শাহারিয়ার ফেরদৌস অয়ন। দুই ভাই বোনের মধ্যে সে বড়। টঙ্গীর শফিউদ্দিন একাডেমির নবম শ্রেণীর কমার্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র।
গত ১৩ অক্টোবর বন্ধুর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় অয়ন। বন্ধুরা তাকে অপহরণ করে বাবা-মার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু পরিবার থেকে সে টাকা দিতে অস্বীকার করলে বন্ধুরা শ্বাসরোধ করে অয়নকে হত্যা করে। র্যাব ১- এর একটি দল শনিবার ঘাতক তিন বন্ধুকে আটক করার পর দুপুরের দিকে তারা হত্যার কথা র্যাবের নিকট স্বীকার করে লাশ বের করে দেওয়ার কথা জানায়। ঘাতক বন্ধু গাজিপুরের জয়দেবপুরের কলেমশ্বরের আব্দুল্লাহ আল আরমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে টয়লেটের ভেতরে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে র্যাব। এই ঘটনায় আটক অপর দুইজন হলেন- তৌসিফ আলম রাব্বি ও আজহারুল ইসলাম রুবেল।
এদিকে একমাত্র ছেলে নির্মমভাবে খুন হওয়ায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা ছলিম উদ্দিন। অয়নের লাশের দিকে নির্বাক চোখে চেয়ে রয়েছেন।
এই প্রতিবেদক দু’বার তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি শুধু তাকিয়ে থাকলেন। কোনো জবাব দিলেন না। লাশ উদ্ধার থেকে মর্গে পাঠানো পর্যন্ত বাকরুদ্ধ ছলিম উদ্দিনকে অঝরে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
বেলা ৩টার দিকে যাওয়া হয় অয়নের বাড়িতে। জয়দেবপুরের মূল রাস্তা থেকে হাতের ডানে বটতলা বাজারের একটু সামনে গেলেই ৪ তলা বাড়ির তিন তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শোকের মাতম। মাসহ পরিবারের আত্মীয় স্বজন সহপাঠিরা কাঁদছেন।
সাংবাদিক পরিচয় দিতেই অয়নের মা ফেরদৌসি বেগম বলেন, “আপনারা কি আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছেন, কই আমার ছেলে কই।” তার কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী করে তোলে। তার মুখে শুধু একটিই কথা “আমার অয়ন কোথায়, তোমরা আমার অয়নকে এনে দাও।”
অয়নের বোন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম ছন্দ একমাত্র ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক বিহ্বল। ভাইয়া ভাইয়া করে কান্নায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছে।
অয়নের চাচা হাবিল উদ্দিনও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, “অয়ন মেধাবী ও খুব ভদ্র ছেলে। তাকে এভাবে খুন হতে হবে কোনো দিন ভাবিনি।”
অয়নের সহপাঠী আফরিন আক্তার মম জানায়, “বন্ধু হিসেবে অয়ন খুব ভদ্র ছিল। অন্য ছেলেদের মতো নয়। তার সঙ্গে অনেক খেলাধুলা করেছি। কিন্তু এভাবে মৃত্যু তার কোনদিন কল্পনা করেনি।” অয়নের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে আফরিনসহ অন্য সহপাঠীরা।
একই বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটের চাকরিজীবী ইসমাইল হোসেনও এসেছিলেন। তিনিও বললেন, “অয়ন খুব ভদ্র ছেলে। আর ভদ্র বলেই তার বন্ধুরা এভাবে নিয়ে যেতে পেরেছে।” তিনি অয়নের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মর্মান্তিক ও নৃশংস এই ঘটনার জন্য বাড়ির সামনে ভিড় করা শত শত মানুষও অয়নের খুনিদের ফাঁসির দাবি করেন।
গত ১৩ অক্টোবর বন্ধুর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় অয়ন। বন্ধুরা তাকে অপহরণ করে বাবা-মার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু পরিবার থেকে সে টাকা দিতে অস্বীকার করলে বন্ধুরা শ্বাসরোধ করে অয়নকে হত্যা করে। র্যাব ১- এর একটি দল শনিবার ঘাতক তিন বন্ধুকে আটক করার পর দুপুরের দিকে তারা হত্যার কথা র্যাবের নিকট স্বীকার করে লাশ বের করে দেওয়ার কথা জানায়। ঘাতক বন্ধু গাজিপুরের জয়দেবপুরের কলেমশ্বরের আব্দুল্লাহ আল আরমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে টয়লেটের ভেতরে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে র্যাব। এই ঘটনায় আটক অপর দুইজন হলেন- তৌসিফ আলম রাব্বি ও আজহারুল ইসলাম রুবেল।
এদিকে একমাত্র ছেলে নির্মমভাবে খুন হওয়ায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা ছলিম উদ্দিন। অয়নের লাশের দিকে নির্বাক চোখে চেয়ে রয়েছেন।
এই প্রতিবেদক দু’বার তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি শুধু তাকিয়ে থাকলেন। কোনো জবাব দিলেন না। লাশ উদ্ধার থেকে মর্গে পাঠানো পর্যন্ত বাকরুদ্ধ ছলিম উদ্দিনকে অঝরে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
বেলা ৩টার দিকে যাওয়া হয় অয়নের বাড়িতে। জয়দেবপুরের মূল রাস্তা থেকে হাতের ডানে বটতলা বাজারের একটু সামনে গেলেই ৪ তলা বাড়ির তিন তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শোকের মাতম। মাসহ পরিবারের আত্মীয় স্বজন সহপাঠিরা কাঁদছেন।
সাংবাদিক পরিচয় দিতেই অয়নের মা ফেরদৌসি বেগম বলেন, “আপনারা কি আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছেন, কই আমার ছেলে কই।” তার কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী করে তোলে। তার মুখে শুধু একটিই কথা “আমার অয়ন কোথায়, তোমরা আমার অয়নকে এনে দাও।”
অয়নের বোন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম ছন্দ একমাত্র ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক বিহ্বল। ভাইয়া ভাইয়া করে কান্নায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছে।
অয়নের চাচা হাবিল উদ্দিনও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, “অয়ন মেধাবী ও খুব ভদ্র ছেলে। তাকে এভাবে খুন হতে হবে কোনো দিন ভাবিনি।”
অয়নের সহপাঠী আফরিন আক্তার মম জানায়, “বন্ধু হিসেবে অয়ন খুব ভদ্র ছিল। অন্য ছেলেদের মতো নয়। তার সঙ্গে অনেক খেলাধুলা করেছি। কিন্তু এভাবে মৃত্যু তার কোনদিন কল্পনা করেনি।” অয়নের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে আফরিনসহ অন্য সহপাঠীরা।
একই বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটের চাকরিজীবী ইসমাইল হোসেনও এসেছিলেন। তিনিও বললেন, “অয়ন খুব ভদ্র ছেলে। আর ভদ্র বলেই তার বন্ধুরা এভাবে নিয়ে যেতে পেরেছে।” তিনি অয়নের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মর্মান্তিক ও নৃশংস এই ঘটনার জন্য বাড়ির সামনে ভিড় করা শত শত মানুষও অয়নের খুনিদের ফাঁসির দাবি করেন।
No comments