‘জিয়া-এরশাদের পথে হাঁটছে মহাজোট’
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা না করে মহাজোট সরকার ‘জিয়া-এরশাদ’ এর পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়নের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটি আয়োজিত গণঅনশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেনন বলেন, “নির্বাচনের আগে মহাজোট সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় গেলে বাহাত্তরের সংবিধান পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীতে তা করা হয়নি। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করে সরকার জিয়া ও এরশাদের পথেই হাঁটছে।”
সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান রাশেদ খান মেনন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের চার নীতি বাতিল করে ভিন্ন আদর্শ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাহাত্তরের সংবিধানের মৌলিক দিক পূরণ হয়নি।”
সংবিধানের ষষ্ঠদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের অসম্পূর্ণতা পূরণের আহ্বান জানান তিনি।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, “মানুষের দীর্ঘ সংগ্রামের নির্যাস ছিল সংবিধানের চারটি মূলনীতি। কিন্তু বিভিন্ন সময় গণতান্ত্রিক লেবাসে স্বৈরাচারী ও সামরিক সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে দেশকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।”
অবিলম্বে ষষ্ঠদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান সিপিবির এই নেতা।
বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বাসদের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির, যুবমৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক সাব্বা আলী খান কলিন্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা রামু, উখিয়া, পটিয়াসহ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের শাস্তি, সংবিধান থেকে সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল, সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি প্রদান ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার সম্পন্নের দাবি জানান।
অনশন শেষে এসব দাবিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সদস্যদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটির।
সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান রাশেদ খান মেনন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের চার নীতি বাতিল করে ভিন্ন আদর্শ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাহাত্তরের সংবিধানের মৌলিক দিক পূরণ হয়নি।”
সংবিধানের ষষ্ঠদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের অসম্পূর্ণতা পূরণের আহ্বান জানান তিনি।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, “মানুষের দীর্ঘ সংগ্রামের নির্যাস ছিল সংবিধানের চারটি মূলনীতি। কিন্তু বিভিন্ন সময় গণতান্ত্রিক লেবাসে স্বৈরাচারী ও সামরিক সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে দেশকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।”
অবিলম্বে ষষ্ঠদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান সিপিবির এই নেতা।
বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বাসদের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির, যুবমৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক সাব্বা আলী খান কলিন্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা রামু, উখিয়া, পটিয়াসহ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের শাস্তি, সংবিধান থেকে সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল, সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি প্রদান ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার সম্পন্নের দাবি জানান।
অনশন শেষে এসব দাবিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সদস্যদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটির।
No comments