প্রধানমন্ত্রীর ভিয়েতনাম ও লাওস সফর-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য
ছয় দিনের বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা শুক্রবার সকালে প্রথম ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় পৌঁছেছেন। ওই দিন
দুপুরেই ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন তাং ডুংয়ের সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক
বৈঠকের পরই বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দুটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষরিত হয়।
কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ এবং
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করাই এই চুক্তি ও
সমঝোতার মূল লক্ষ্য। উল্লেখ্য, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে
সর্বশেষ সফর বিনিময় হয়েছিল ২০০৫ সালে। এর পর গত সাত বছরে দুই দেশের
সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে ভিয়েতনাম থেকে প্রধানমন্ত্রী লাওস যাচ্ছেন। বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের এই প্রথম সে দেশ সফর। ভিয়েতনাম সফরটি দ্বিপক্ষীয় হলেও প্রধানমন্ত্রীর লাওস সফরটি আন্তর্জাতিক ফোরাম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেম-এ যোগদান উপলক্ষে। দ্বিপক্ষীয় সফর না হলেও এ সুযোগে লাওসের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিয়েতনাম সফর, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাস্তবতা হলো, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত তেমন জোরদার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। সে কারণে এই সফরের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৯ কোটি মানুষের দেশ ভিয়েতনাম সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে এরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনাম এখন কৃষির পাশাপাশি শিল্পোৎপাদনেও অনেক এগিয়েছে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমে কৃষি খাতের সে দেশের অভিজ্ঞতা থেকে প্রভূত উপকৃত হতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ভিয়েতনাম সফর যেন শুধু দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না হয়ে পড়ে। ফলোআপ কর্মসূচির মাধ্যমে অব্যাহত রাখতে হবে নিবিড় ও উষ্ণ যোগাযোগ। তবেই এ সফর পুরোপুরি সফল হবে। শুধু ভিয়েতনাম নয়, নিকটতম প্রতিবেশী পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। মনে রাখতে হবে, বিশ্ব অর্থনীতিতে এ অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পশ্চিমের দেশগুলোর তীক্ষ্ন দৃষ্টি এখন ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ অপরাপর দেশের দিকে; বিশেষ করে, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড এখন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সফল হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করব পররাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর ভিয়েতনাম ও লাওস সফর ফলপ্রসূ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
এদিকে ভিয়েতনাম থেকে প্রধানমন্ত্রী লাওস যাচ্ছেন। বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের এই প্রথম সে দেশ সফর। ভিয়েতনাম সফরটি দ্বিপক্ষীয় হলেও প্রধানমন্ত্রীর লাওস সফরটি আন্তর্জাতিক ফোরাম এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেম-এ যোগদান উপলক্ষে। দ্বিপক্ষীয় সফর না হলেও এ সুযোগে লাওসের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিয়েতনাম সফর, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাস্তবতা হলো, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত তেমন জোরদার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। সে কারণে এই সফরের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৯ কোটি মানুষের দেশ ভিয়েতনাম সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে এরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনাম এখন কৃষির পাশাপাশি শিল্পোৎপাদনেও অনেক এগিয়েছে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমে কৃষি খাতের সে দেশের অভিজ্ঞতা থেকে প্রভূত উপকৃত হতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ভিয়েতনাম সফর যেন শুধু দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না হয়ে পড়ে। ফলোআপ কর্মসূচির মাধ্যমে অব্যাহত রাখতে হবে নিবিড় ও উষ্ণ যোগাযোগ। তবেই এ সফর পুরোপুরি সফল হবে। শুধু ভিয়েতনাম নয়, নিকটতম প্রতিবেশী পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। মনে রাখতে হবে, বিশ্ব অর্থনীতিতে এ অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পশ্চিমের দেশগুলোর তীক্ষ্ন দৃষ্টি এখন ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ অপরাপর দেশের দিকে; বিশেষ করে, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড এখন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সফল হয়ে উঠেছে। আমরা আশা করব পররাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর ভিয়েতনাম ও লাওস সফর ফলপ্রসূ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
No comments