দেশে ফিরলেন খালেদা, সফর সফল দাবি
সাত দিনের হাইপ্রোফাইল ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিরোধীনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বেলা তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এসময় বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী তাকে অভিনন্দন জানান।
এরআগে দিল্লি বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। যে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা তারা দেখিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত। এই সফর সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আমি তাকে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস, দুই দেশ আলোচনার মধ্য দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে। ভারত সফর শেষে আজ যখন ঢাকায় ফিরলেন খালেদা তখন নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতি একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।
গত তিন দশকে বিএনপির রাজনীতির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য ছিল ‘ভারত বিরোধিতা’। এবারের ভারত সফরে বিএনপি চেয়ারপারসন সে পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। ভারতের পক্ষ থেকেও নতুন শুরুর কথা বলা হয়েছে। পেছনের দিকে না তাকানোর কথা বলেছেন উভয়পক্ষই। এই সফরে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা সুষমা স্বরাজ, ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ প্রমুখের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। ভারতীয়দের উষ্ণ আতিথেয়তায় মুগ্ধ তিনি। যদিও সফরে একটি অপাপ্তিও রয়ে গেছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা হয়নি খালেদা জিয়ার। সাত দিনের এ সফর শেষে কী নিয়ে ফিরলেন তিনি। বাংলাদেশের আগামীদিনের রাজনীতিতে এর প্রভাব কী হবে? সামনের দিনগুলোতে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করবেন পর্যবেক্ষকরা। খালেদা জিয়াকে দিল্লির এতটা গুরুত্ব দেয়া বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের ফলের কোনো আগাম ইংগিত কি না তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। ভারতীয় পত্রিকায় এরইমধ্যে খবর বেরিয়েছে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা কমছে। তবে ভারত বিরোধী কার্ড হারানোর ফলে বিএনপির ভোট ব্যাংকে প্রভাব পড়ে কি না এ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এ সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
No comments