রামলীলায় বিজেপির ওপর চড়াও সোনিয়া
দিল্লির রামলীলা ময়দানে ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দল আয়োজিত র্যালি ও সমাবেশে কিছুক্ষণ আগে নিজের ভাষণ শেষ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর একটা এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় শেষ হয় তার ভাষণ।
সোনিয়ার ভাষণের আগে জনসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ও সোনিয়াতনয় রাহুল গান্ধী।
নিচে সোনিয়া গান্ধীর ভাষণের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
“রামলীলা ময়দানে আবারও আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আপনাদের মতো সমর্থকদের সামনে দেখতে আমি আবারও নতুন শক্তি লাভ করলাম।
কংগ্রেস সবসময়ই সাধারণ মানুষ এবং গরীব জনগণের জন্য। এই দল ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে।
কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। ধর্মনিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে কংগ্রেস কোনো দলের সঙ্গেই আপোস করবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় অন্য কোনো দল কংগ্রেসকে কখনই টেক্কা দিতে পারবে না।
আগামী নির্বাচনে আবারও কংগ্রেসের ভালো ফলাফলের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু অভিযোগকারীরা(বিরোধী দলগুলো) ভুলে যায় যে, জনগণ ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার জন্য আমাদের ভোট দিয়েছে। মনে হয় জনগণের রায় হজম করতে কিছু রাজনৈতিক দলের সমস্যা হচ্ছে।
আমাদের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিল ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর পার্লামেন্টে আলোচনা ক্রমাগতভাবে পরিহার করেছে বিরোধী দলগুলো। তাদের উদ্দেশ্য আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করা। কিন্তু আমরা তাদের এই ইচ্ছা পূরণ হতে দেবো না। কংগ্রেস সেই রাজনৈতিক দল যারা সব সময় সংবিধানকে সমুন্নত রেখে আসছে।
বিরোধীদের উদ্দেশ্য পার্লামেন্টকে অচল করে রাখা। তারা পার্লামেন্টে যে কোনো বিতর্ক থেকে দূরে সরে থাকছে। এই রাজনৈতিক নেতারা নিজেরাই দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। তাই তারা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করেছে।
তারা আমাদের দুর্নীতি নিয়ে ভাষণ দেয়। কিন্তু তারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত।
যারা অপরের জন্য কুয়া খোঁড়ে তারা নিজেরাই একসময় ওই কুয়োয় পড়বে। আমরা জনগণকে লোকপাল বিল উপহার দিতে চেয়েছি কিন্তু তাদের কারণে আমাদের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
আমরা জানি মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণ কষ্টে আছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই এই ভোগান্তি। আপনারা জানেন, ভারত তার চাহিদার ৮০ভাগ তেল আমদনিঁ করে থাকে।
আমরা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।”
“রামলীলা ময়দানে আবারও আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আপনাদের মতো সমর্থকদের সামনে দেখতে আমি আবারও নতুন শক্তি লাভ করলাম।
কংগ্রেস সবসময়ই সাধারণ মানুষ এবং গরীব জনগণের জন্য। এই দল ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে।
কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। ধর্মনিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে কংগ্রেস কোনো দলের সঙ্গেই আপোস করবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় অন্য কোনো দল কংগ্রেসকে কখনই টেক্কা দিতে পারবে না।
আগামী নির্বাচনে আবারও কংগ্রেসের ভালো ফলাফলের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু অভিযোগকারীরা(বিরোধী দলগুলো) ভুলে যায় যে, জনগণ ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার জন্য আমাদের ভোট দিয়েছে। মনে হয় জনগণের রায় হজম করতে কিছু রাজনৈতিক দলের সমস্যা হচ্ছে।
আমাদের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিল ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর পার্লামেন্টে আলোচনা ক্রমাগতভাবে পরিহার করেছে বিরোধী দলগুলো। তাদের উদ্দেশ্য আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করা। কিন্তু আমরা তাদের এই ইচ্ছা পূরণ হতে দেবো না। কংগ্রেস সেই রাজনৈতিক দল যারা সব সময় সংবিধানকে সমুন্নত রেখে আসছে।
বিরোধীদের উদ্দেশ্য পার্লামেন্টকে অচল করে রাখা। তারা পার্লামেন্টে যে কোনো বিতর্ক থেকে দূরে সরে থাকছে। এই রাজনৈতিক নেতারা নিজেরাই দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। তাই তারা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করেছে।
তারা আমাদের দুর্নীতি নিয়ে ভাষণ দেয়। কিন্তু তারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত।
যারা অপরের জন্য কুয়া খোঁড়ে তারা নিজেরাই একসময় ওই কুয়োয় পড়বে। আমরা জনগণকে লোকপাল বিল উপহার দিতে চেয়েছি কিন্তু তাদের কারণে আমাদের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
আমরা জানি মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণ কষ্টে আছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই এই ভোগান্তি। আপনারা জানেন, ভারত তার চাহিদার ৮০ভাগ তেল আমদনিঁ করে থাকে।
আমরা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।”
No comments