বিশ্লেষণঃ র্যাব দপ্তরে কেন মেঘ? by জাকিয়া আহমেদ
নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘকে গত ৩১ অক্টোবর সদর দপ্তরে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছে র্যাব। র্যাবের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেছেন, খেলাচ্ছলে মেঘের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
৩১ অক্টোবর মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন: ``আজকে মেঘকে ফরমালি (আনুষ্ঠানিক) জিজ্ঞেস করবে র্যাব, যদিও এর আগে বহুবার মেঘের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এতো ছোট বাচ্চার স্টেটমেন্ট কী কোনো কোর্ট গ্রহণ করবে? ছোট বাচ্চাটা আর কতো মানসিক চাপ নেবে? ও (মেঘ) কি অনেক দোষ করে ফেলেছে বেঁচে গিয়ে?``
সেদিনই নওশের বাংলানিউজকে বলেন, ``মেঘকে র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়ার পর তাদের যেখানে বসতে দেওয়া হয়, সেখানে নির্ধারিত কালো পোশাক পরা র্যাব সদস্যরা ছিলেন। সেখানে মেঘকে একা রেখে তাকে বাইরে যেতে বললে মেঘ বিরক্ত হয়। তাকে ছাড়া মেঘ কিছুতেই সেখানে থাকতে চায়নি। পরে মেঘ তার সঙ্গেই বের হয়ে আসে।``
মেঘকে ‘জিজ্ঞাসাবাদে’র বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ বা খেলার ছলে তথ্য সংগ্রহ যাই হোক না কেন, এর প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে মানুষের মনে।
মেঘের ‘জিজ্ঞাসাবাদে’র বিষয়ে জানতে চাইলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা মোহিত কামাল বাংলানিউজকে বলেন, “যদি কোনো শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয় তাহলে বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকই থাকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। আমাদের র্যাব বাহিনীতে সে রকম রয়েছেন কী না আমার জানা নেই।”
``শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবেশটাই হতে হবে শিশু উপযোগী। সেখানে কালো পোশাক পরা র্যাব সদস্যরা যদি চারদিকে বসে থাকে তাহলে সেটা একটা শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোটেই উপযোগী স্থান নয়।
শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্লে থেরাপি, ক্রিয়েটিভ থেরাপিসহ নানা উপায় রয়েছে। সেখানে র্যাব অফিসে নিয়ে গিয়ে মেঘকে জিজ্ঞাসাবাদ করা আমি মনস্তাত্ত্বিকভাবে সমর্থন করি না। কারণ, র্যাব অফিসের ভীতিকর পরিবেশটাই এখানে প্রথম অন্তরায় একজন শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেক সিস্টেম অনুসরণ করতে হবে। ``
এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মেঘের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য মেঘকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে উপযোগী করা হয়েছে। এর আগে মনোবিজ্ঞানী কথা বলেছেন মেঘের সঙ্গে।
কিন্তু নওশের রোমান বাংলানিউজকে বলেন, “যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে মেঘের কাউন্সেলিং হতো সেখানেই মেঘ যেতে চাইতো না এবং মেঘকে প্রস্তুত করার জন্য যে সময়টুকু প্রয়োজন ছিল সেটুকু সময়ও পার হয়নি। সুতরাং এ সময়ে মেঘের এই কাউন্সেলিং নিয়েও আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।”
“‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করার জন্য মেঘকে যেখানে বসানো হয় সেখানে কী কোনো শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন?”, প্রশ্ন করেছেন তানিয়া কামরুন নাহার নামের একজন শিক্ষক।
তার মতে, সে সময় মেঘের মানসিক অবস্থা বোঝার জন্য একজন শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল।
সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, খেলাচ্ছলেই যদি মেঘের কাছ থেকে তথ্য জানতে চাওয়া হয় তাহলে কেন র্যাব অফিস? কেন মেঘের পরিচিত জায়গা নয়? কেন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নয়, যেখানে মেঘ হাসতো, খেলতো আর তাদের প্রশ্নে জবাব দিতো!
কিন্তু মেঘকে যেখানে বসানো হয় সেটা বড়দের জিজ্ঞাসাবাদের উপযোগী স্থান ছিল এবং সেখানে র্যাবের পোশাক পরা র্যাব সদস্যরা ছিল বলে বাংলানিউজকে জানান নওশের রোমান।
মেঘের সার্বক্ষণিক সঙ্গী মামা নওশের রোমান বাংলনিউজকে বলেন, মেঘ এখন অনেকটাই পরিণত এবং বেশ কিছুটা চাপা স্বভাবের হয়েছে। বাবা-মায়ের বিষয়ে নিজে থেকে কিছু বলতে চায় না।
মেঘকে ‘জিজ্ঞাসাবাদে’র বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ বা খেলার ছলে তথ্য সংগ্রহ যাই হোক না কেন, এর প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে মানুষের মনে।
মেঘের ‘জিজ্ঞাসাবাদে’র বিষয়ে জানতে চাইলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা মোহিত কামাল বাংলানিউজকে বলেন, “যদি কোনো শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয় তাহলে বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকই থাকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। আমাদের র্যাব বাহিনীতে সে রকম রয়েছেন কী না আমার জানা নেই।”
``শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবেশটাই হতে হবে শিশু উপযোগী। সেখানে কালো পোশাক পরা র্যাব সদস্যরা যদি চারদিকে বসে থাকে তাহলে সেটা একটা শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোটেই উপযোগী স্থান নয়।
শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্লে থেরাপি, ক্রিয়েটিভ থেরাপিসহ নানা উপায় রয়েছে। সেখানে র্যাব অফিসে নিয়ে গিয়ে মেঘকে জিজ্ঞাসাবাদ করা আমি মনস্তাত্ত্বিকভাবে সমর্থন করি না। কারণ, র্যাব অফিসের ভীতিকর পরিবেশটাই এখানে প্রথম অন্তরায় একজন শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেক সিস্টেম অনুসরণ করতে হবে। ``
এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মেঘের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য মেঘকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে উপযোগী করা হয়েছে। এর আগে মনোবিজ্ঞানী কথা বলেছেন মেঘের সঙ্গে।
কিন্তু নওশের রোমান বাংলানিউজকে বলেন, “যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে মেঘের কাউন্সেলিং হতো সেখানেই মেঘ যেতে চাইতো না এবং মেঘকে প্রস্তুত করার জন্য যে সময়টুকু প্রয়োজন ছিল সেটুকু সময়ও পার হয়নি। সুতরাং এ সময়ে মেঘের এই কাউন্সেলিং নিয়েও আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।”
“‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করার জন্য মেঘকে যেখানে বসানো হয় সেখানে কী কোনো শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন?”, প্রশ্ন করেছেন তানিয়া কামরুন নাহার নামের একজন শিক্ষক।
তার মতে, সে সময় মেঘের মানসিক অবস্থা বোঝার জন্য একজন শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল।
সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, খেলাচ্ছলেই যদি মেঘের কাছ থেকে তথ্য জানতে চাওয়া হয় তাহলে কেন র্যাব অফিস? কেন মেঘের পরিচিত জায়গা নয়? কেন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নয়, যেখানে মেঘ হাসতো, খেলতো আর তাদের প্রশ্নে জবাব দিতো!
কিন্তু মেঘকে যেখানে বসানো হয় সেটা বড়দের জিজ্ঞাসাবাদের উপযোগী স্থান ছিল এবং সেখানে র্যাবের পোশাক পরা র্যাব সদস্যরা ছিল বলে বাংলানিউজকে জানান নওশের রোমান।
মেঘের সার্বক্ষণিক সঙ্গী মামা নওশের রোমান বাংলনিউজকে বলেন, মেঘ এখন অনেকটাই পরিণত এবং বেশ কিছুটা চাপা স্বভাবের হয়েছে। বাবা-মায়ের বিষয়ে নিজে থেকে কিছু বলতে চায় না।
No comments