জাতিসংঘের প্রতিবেদন-প্রায় দেড় কোটি কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে-* দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ বাংলাদেশে-* এ প্রবণতা বন্ধে দরকার শিক্ষার প্রসার
বিশ্বজুড়ে কন্যাশিশুদের বাল্যবিবাহের হার বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। বর্তমান ধারা চলতে থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ প্রতিবছর এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে পড়বে। ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা বছরে দেড় কোটি ছাড়াবে।
আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষা বিস্তারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে তারা।
'ম্যারিং টু ইয়াং : অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারেজ' শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়ায়। এর মধ্যে আবার সবার ওপরে আছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ গত বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং ক্ষতিকর এই রীতি থেকে কন্যাশিশুদের রক্ষার জন্য শিক্ষার প্রসারকেই দিবসটির প্রতিপাদ্য ধরা হয়। এ দিবস উপলক্ষে ইউএনএফপিএ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। সংস্থাটির দাবি, ২০২০ নাগাদ বাল্যবিবাহের হার ১৪ শতাংশ বাড়বে। বাল্যবিবাহের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে আগামী এক দশকে প্রতিবছর ১৮ বছরের নিচের এক কোটি ৪২ লাখ কন্যাশিশুর বিয়ে হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক এই হার দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাবে। প্রায় ৫০টি উন্নয়নশীল দেশের ওপর গবেষণা শেষে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক বাবাতুনদে ওসোতিমেহিন বলেন, 'বাল্যবিবাহ মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ প্রবণতা কন্যাশিশুদের কাছ থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকারসহ দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনাগুলো কেড়ে নেয়। বাল্যবিবাহের ঘটনা মাতৃত্ব ও প্রসবকালীন জটিলতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে।'
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বে বাল্যবিবাহের প্রায় অর্ধেক ঘটনাই ঘটে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর প্রায় ২০ শতাংশ ঘটে সাব-সাহারান আফ্রিকায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাল্যবিবাহের সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কন্যাশিশুদের প্রায় ৬৬ শতাংশই বাল্যবিবাহের শিকার হয়। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৩ কোটি, সাব-সাহারান আফ্রিকায় সাত কোটি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাড়ে চার কোটি কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হবে। বাল্যবিবাহের হারের দিক থেকে এগিয়ে থাকা ১২টি দেশের জন্য আগামী পাঁচ বছরে দুই কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে ইউএনএফপিএ। আর্মেনিয়া, বলিভিয়া, ইথিওপিয়া ও নেপালের মতো কয়েকটি দেশে বাল্যবিবাহের মাত্রা কমেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
'ম্যারিং টু ইয়াং : অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারেজ' শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ এশিয়ায়। এর মধ্যে আবার সবার ওপরে আছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ গত বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং ক্ষতিকর এই রীতি থেকে কন্যাশিশুদের রক্ষার জন্য শিক্ষার প্রসারকেই দিবসটির প্রতিপাদ্য ধরা হয়। এ দিবস উপলক্ষে ইউএনএফপিএ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। সংস্থাটির দাবি, ২০২০ নাগাদ বাল্যবিবাহের হার ১৪ শতাংশ বাড়বে। বাল্যবিবাহের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে আগামী এক দশকে প্রতিবছর ১৮ বছরের নিচের এক কোটি ৪২ লাখ কন্যাশিশুর বিয়ে হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক এই হার দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাবে। প্রায় ৫০টি উন্নয়নশীল দেশের ওপর গবেষণা শেষে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক বাবাতুনদে ওসোতিমেহিন বলেন, 'বাল্যবিবাহ মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ প্রবণতা কন্যাশিশুদের কাছ থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকারসহ দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনাগুলো কেড়ে নেয়। বাল্যবিবাহের ঘটনা মাতৃত্ব ও প্রসবকালীন জটিলতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে।'
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বে বাল্যবিবাহের প্রায় অর্ধেক ঘটনাই ঘটে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর প্রায় ২০ শতাংশ ঘটে সাব-সাহারান আফ্রিকায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাল্যবিবাহের সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কন্যাশিশুদের প্রায় ৬৬ শতাংশই বাল্যবিবাহের শিকার হয়। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৩ কোটি, সাব-সাহারান আফ্রিকায় সাত কোটি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাড়ে চার কোটি কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হবে। বাল্যবিবাহের হারের দিক থেকে এগিয়ে থাকা ১২টি দেশের জন্য আগামী পাঁচ বছরে দুই কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে ইউএনএফপিএ। আর্মেনিয়া, বলিভিয়া, ইথিওপিয়া ও নেপালের মতো কয়েকটি দেশে বাল্যবিবাহের মাত্রা কমেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments