ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু

মধ্যরাত থেকে দাঁড়ানো মানুষের দীর্ঘ সারি নেই। নেই টিকিটের জন্য হাহাকার। ভিড়বাট্টাও কম। গতকাল শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনের চিত্র এটি।পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়ার প্রথম দিনটি ছিল এমনই।


গতকাল ২২ অক্টোবরের টিকিট দেওয়া হয়। আজ রোববার দেওয়া হবে ২৩ অক্টোবরের টিকিট।
গতকাল সকাল ছয়টার পর থেকে টিকিটপ্রত্যাশীরা লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন। সাতটা থেকে টিকিট দেওয়া শুরু হয়।
গতকাল যাঁরা ঈদের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তৈয়বুর রহমানের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটে। তিনি বলেন, ‘পরে অনেক ভিড় হয়। টিকিটও পাওয়া কষ্টকর। ক্লাস নেই। তাই আগেই বাড়ি চলে যাচ্ছি।’
মিরপুরের বাসিন্দা শারমিন ইসলাম বললেন, তিনি সকাল আটটার সময় লাইনে দাঁড়িয়ে সাড়ে আটটার মধ্যেই দিনাজপুরে যাওয়ার টিকিট পেয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রায় সব কাউন্টারের সামনে অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় কমে যায়। কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, টিকিটের দাম বাড়ানো হলেও সেবার মান বাড়েনি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ২৪ অক্টোবর থেকে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়বে।
১০টি বিশেষ ট্রেন: রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের জানান, ঈদ উপলক্ষে এবার ১২৫টি অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়েছে। ঈদের আগে বিভিন্ন গন্তব্যে ১০টি এবং ঈদের পরের দিন থেকে চারটি বিশেষ ট্রেন চালু থাকবে।
ভাড়া বাড়ার কারণে যাত্রী কমেছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে আমরা তো স্বস্তি পেয়েছি। যাত্রী কিছুটা কম হলে আমাদের ওপর চাপ কমে যাবে।’ মহাপরিচালক বলেন, বিভিন্ন আন্তনগর, মেইল ও বিশেষ ট্রেনে প্রতিদিন আসনসংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। নতুন বগি সংযোজন করা হলে আরও ১০ হাজার আসন বাড়বে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হবে।
বুকিং সহকারী সাময়িক বরখাস্ত: যাত্রীদের সহযোগিতা না করায় কমলাপুর রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী সমর দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সমর দাস গতকাল ৯ নম্বর কাউন্টারে খুলনাগামী চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি করছিলেন। সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে এক যাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের মহাপরিচালক তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করেন।

No comments

Powered by Blogger.