১৪ তলার অনুমোদন নিয়ে ৩০ তলা! by জাহাঙ্গীর আলম
ঢাকা সিটি করপোরেশনের জমিতে ১৪ তলা ভবন নির্মাণের চুক্তি করেছিল বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড। কিন্তু নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান চুক্তি ভেঙে ৩০ তলা করছে। ইতিমধ্যে ২৮ তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর মূল সড়ক-সংলগ্ন ৪৫ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে তিন বিঘা জমির ওপর ভবনটি নির্মিত হচ্ছে।
২০০৬ সালের ৭ মে করা চুক্তি অনুযায়ী ২০১১ সালের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো কাজ শেষ হয়নি, সিটি করপোরেশনের অংশও হস্তান্তর করা হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পাবে ভবনের মাত্র ৩০ শতাংশ আর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান পাবে ৭০ শতাংশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্স নামে প্রথমে ১৩ তলা ভবন নির্মাণের জন্য অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বোরাক রিয়েল এস্টেটের চুক্তি হয়। পরে ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বোরাক ১৪ তলা নির্মাণের জন্য সংশোধিত চুক্তি করে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ভবনটি ১৪ তলা করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের ৬০ কাঠা (তিন বিঘা) জমির মধ্যে ৪২ কাঠায় আগে থেকেই একটি বিপণিবিতান (মার্কেট) ছিল। খালি থাকা ১৮ কাঠা জমিসহ পুরো জায়গায় ১৪ তলা ভবন করার জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বোরাকের চুক্তি হয়। পরে বোরাক রিয়েল এস্টেট ভবনটি ৩০ তলা করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় ওই প্রস্তাব অনুমোদন করেনি। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন ভবনটিতে ১৪ তলার ওপর কোনো তলা নির্মাণ না করার জন্য বোরাককে চিঠি দেয়। একই বছরের ৮ মে আরেক চিঠিতে নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ১৮ জুলাই ২০১১ সালের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সব কাজ শেষ করে সিটি করপোরেশনের অংশ হস্তান্তর করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট আরেকটি চিঠি দেয় এবং ১৪ তলার ওপর নির্মাণকাজ না করার জন্য রিয়েল এস্টেটকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে গত মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হয় বোরাক রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলীর সঙ্গে। কানাডায় অবস্থানরত নূর আলী টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। অনুমোদন ছাড়া আমরা ভবন করতে পারি না।’ তিনি জানান, ভবনটির ২৮ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়ে গেছে।
তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর যোগাযোগ করা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনটি ১৪ তলা পর্যন্ত করার চুক্তি আছে। বোরাক ৩০ তলা করার জন্য একটি আবেদন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়নি। আমরা চিঠি দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছি।’ তিনি আরও জানান, নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সাবেক মেয়রের সময়ের একটি নকশা অনুমোদন হিসেবে দেখাচ্ছে। চূড়ান্ত অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় নূর আলীর সঙ্গে। তাঁর সহকারী একান্ত সচিব ফোনে জানান, তিনি এখনো বিদেশে অবস্থান করছেন।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৪ তলার স্থলে ৩০ তলা ভবন করতে হলে নতুন চুক্তি করতে হবে। তা ছাড়া প্রতি তলা অনুযায়ী নকশা অনুমোদন করাতে হবে।
এদিকে সংসদীয় কমিটি সূত্র জানায়, বনানীর এ প্রকল্পসহ আরও সাতটি বড় প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও জটিলতা নিয়ে গত বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য প্রকল্প সম্পর্কে স্থায়ী কমিটি একটি উপকমিটি করে দেয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য নূর ই আলম চৌধুরীকে উপকমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্স নামে প্রথমে ১৩ তলা ভবন নির্মাণের জন্য অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বোরাক রিয়েল এস্টেটের চুক্তি হয়। পরে ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বোরাক ১৪ তলা নির্মাণের জন্য সংশোধিত চুক্তি করে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ভবনটি ১৪ তলা করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের ৬০ কাঠা (তিন বিঘা) জমির মধ্যে ৪২ কাঠায় আগে থেকেই একটি বিপণিবিতান (মার্কেট) ছিল। খালি থাকা ১৮ কাঠা জমিসহ পুরো জায়গায় ১৪ তলা ভবন করার জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বোরাকের চুক্তি হয়। পরে বোরাক রিয়েল এস্টেট ভবনটি ৩০ তলা করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় ওই প্রস্তাব অনুমোদন করেনি। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন ভবনটিতে ১৪ তলার ওপর কোনো তলা নির্মাণ না করার জন্য বোরাককে চিঠি দেয়। একই বছরের ৮ মে আরেক চিঠিতে নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ১৮ জুলাই ২০১১ সালের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সব কাজ শেষ করে সিটি করপোরেশনের অংশ হস্তান্তর করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট আরেকটি চিঠি দেয় এবং ১৪ তলার ওপর নির্মাণকাজ না করার জন্য রিয়েল এস্টেটকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে গত মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হয় বোরাক রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলীর সঙ্গে। কানাডায় অবস্থানরত নূর আলী টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। অনুমোদন ছাড়া আমরা ভবন করতে পারি না।’ তিনি জানান, ভবনটির ২৮ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়ে গেছে।
তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর যোগাযোগ করা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনটি ১৪ তলা পর্যন্ত করার চুক্তি আছে। বোরাক ৩০ তলা করার জন্য একটি আবেদন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়নি। আমরা চিঠি দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছি।’ তিনি আরও জানান, নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সাবেক মেয়রের সময়ের একটি নকশা অনুমোদন হিসেবে দেখাচ্ছে। চূড়ান্ত অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় নূর আলীর সঙ্গে। তাঁর সহকারী একান্ত সচিব ফোনে জানান, তিনি এখনো বিদেশে অবস্থান করছেন।
সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৪ তলার স্থলে ৩০ তলা ভবন করতে হলে নতুন চুক্তি করতে হবে। তা ছাড়া প্রতি তলা অনুযায়ী নকশা অনুমোদন করাতে হবে।
এদিকে সংসদীয় কমিটি সূত্র জানায়, বনানীর এ প্রকল্পসহ আরও সাতটি বড় প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও জটিলতা নিয়ে গত বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য প্রকল্প সম্পর্কে স্থায়ী কমিটি একটি উপকমিটি করে দেয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য নূর ই আলম চৌধুরীকে উপকমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
No comments