এবার সড়ক নিয়ে বিপাকে জুমা

বিতর্ক ও সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার। তাঁর বিরুদ্ধে নারীপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগের খবর নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে। সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয়ে গ্রামের বাড়িতে বিলাসবহুল ভিলা নির্মাণের অভিযোগের গুঞ্জন স্তিমিত হতে না হতেই এবার অভিযোগ উঠেছে ওই বাড়িতে আসা-যাওয়ার জন্য পিচঢালা দুটি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।


আর এতে ব্যয় হচ্ছে ছয় কোটি ৭০ লাখ ডলার। বিরোধীরা দাবি তুলেছে, সরকারি অর্থে ওই রাস্তা নির্মাণের কোনো প্রয়োজন নেই। ওই এলাকায় এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আছে, যার উন্নয়ন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। তারা ওই রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্তের পেছনে জুমার দুর্নীতি রয়েছে অভিযোগ করে এর তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
জুমা ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কাওয়াজুলু নাটাল প্রদেশের নকান্দলা শহরে। সম্প্রতি তিনি তাঁর গ্রামের বাড়িকে ঘিরে এক বিলাসবহুল পরিকল্পনা হাতে নেন। বাড়িটির উন্নয়নে দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। কিন্তু সরকারি অর্থ ব্যয়ে জুমার ব্যক্তিগত বাড়ির উন্নয়ন করা হচ্ছে_এ অভিযোগ তুলে বিরোধী গণতান্ত্রিক জোট এর তদন্ত দাবি করে। বাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে 'জুমা ভিলা'।
দেশটির সরকার ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্ব পাবলিক প্রটেক্টরের। এটি একটি সাংবিধানিক পদ। বিরোধীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার পাবলিক প্রটেক্টর থুলি মান্দোসেলা জানান, তাঁরা জুমা ভিলায় সরকারি অর্থ ব্যয়সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন। এর দুই দিন পরই অভিযোগ উঠল, ওই বাড়িতে আসা-যাওয়ার জন্য দুটি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ_এ রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে জুমা তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা এর তদন্ত দাবি করে। গণতান্ত্রিক জোটের নেতা ইয়ান ওলিস জানান, তিনি মান্দোসেলার প্রতি দাবি জানাবেন যে, বিলাসবহুল বাড়ির তদন্তের মধ্যে যেন রাস্তা দুটি নির্মাণের তদন্তও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, কাওয়াজুলু নাটালে পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট রয়েছে। সেসব রাস্তারই কোনো একটিকে ওই ভিলায় যাওয়ার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ওই রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে জুমা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগে। প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী উইলিস এমচুনু জানান, ওই রাস্তা এবং আরো কয়েকটি উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে জুমা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই। তা ছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকির আমলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নকান্দলা ও এমসিঙ্গা এলাকার উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়। সূত্র : বিবিসি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.