পদ্মা সেতুর বোঝাপড়া এবার দুদকের সঙ্গে by আরিফুর রহমান
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল আজ রবিবার ঢাকায় আসছে। দুর্নীতির যেসব অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের ১২০ কোটি ডলার ঋণচুক্তি বাতিল করেছিল,
সেই সব অভিযোগের তদন্তে দুদকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ বিশেষজ্ঞদল এক মাসের মধ্যে ওয়াশিংটনে তাদের প্রতিবেদন পেশ করবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসা এ প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
তিন দিনের সফরে বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা দুদক চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদ এ মুহূর্তে দেশের বাইরে থাকায় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁদের কোনো বৈঠক হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে থাকবে বলে জানা গেছে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেল পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নিরপেক্ষতা ও পর্যাপ্ততার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক এ পর্যন্ত কী কী কাজ করেছে, বিশেষ করে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য চাইবে প্রতিনিধিদল। ভবিষ্যতে দুদকের সঙ্গে কিভাবে কাজ করবে এবং এ প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত সম্পর্কে দুদকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও প্রতিনিধিদল আলোচনা করবে।
দুদকের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ এ প্যানেলের এটি হবে প্রথম বৈঠক।
প্রতিনিধিদল ঢাকায় তিন দিন অবস্থান করবে। আগামী ১৬ অক্টোবর বিশেষজ্ঞ প্যানেল ঢাকা ত্যাগ করবে। দুদকের সঙ্গে এ প্যানেলের ধারাবাহিক আরো কয়েকটি বৈঠক হবে।
এর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ জুন ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। অভিযুক্ত সব সরকারি কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো, তদন্ত পর্যালোচনা করে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য একটি স্বাধীন এক্সটারনাল প্যানেল গঠন করাসহ চার শর্ত পূরণ না করায় ঋণ চুক্তি বাতিল করে সংস্থাটি। পরবর্তী সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব শর্ত পূরণ করায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আবার পদ্মা সেতু প্রকল্পে নতুন করে সম্পৃক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্বব্যাংক গঠিত এ প্যানেল বাংলাদেশ ও দুদকের জন্য বিশাল সুযোগ। দুদকের উচিত হবে বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে সর্বাত্মক সহায়তা করা। কারণ দুদক সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দুদককে সঠিকভাবে তদন্ত পরিচালনা করতে হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষজ্ঞদল।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দুদকের এ তদন্তের মাধ্যমে দুটি বিষয় নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। প্রথমত, দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হবে। আর দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত না হলে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে কথা বলা সহজ হবে। একই সঙ্গে বহুজাতিক এ সংস্থার বিচার দাবি করতে পারবে সরকার।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডায়ও তদন্ত হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুই সংস্থার প্রতিবেদনে যদি মিল না থাকে, তাহলে আবার সমস্যা তৈরি হবে। তাই দুদককে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এবং সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে তদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যরা প্রথমে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. বদিউজ্জামান, কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর দুদকের অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংক প্যানেলের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে গত সপ্তাহে দুদকের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন কর্মকর্তারা। বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কী ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া গেছে, কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে- এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্যানেলের কাছে সব তথ্য উপস্থাপন করতে দুদক শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে
দুদকের চার সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান কমিটিতে রয়েছেন সিনিয়র উপপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, এ এস এম আবদুল আল-জাহিদ, গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও মির্জা জাহিদুল আলম। এ টিমকে সার্বিকভাবে সহায়তা করবেন মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) খোন্দকার আমিনুর রহমান।
কমিটির একজন সদস্য এর আগে জানিয়েছিলেন, পদ্মা সেতু বিষয়ে দুদক নতুন করে তদন্ত শুরু করবে। বিশ্বব্যাংকের তদন্তদল যে ধরনের তথ্য-উপাত্ত চাইবে, তা তাদের সরবরাহ করা হবে। দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর উচ্চপর্যায়ের যেসব ব্যক্তিকে আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, সেসব তথ্যও বিশ্বব্যাংকের তদন্তদলকে দেখানো হবে। তদন্তদল চাইলে আবারও যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেবে দুদক।
দুদক এর আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক প্রধান আইনজীবী লুই গ্যাবরিয়েল মোরেনো ওকাম্পোর বিশ্বব্যাংকের নতুন এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই বিশেষজ্ঞদলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন হংকংয়ের দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন কমিশনের সাবেক কমিশনার টিমোথি টং এবং যুক্তরাজ্যের সিরিয়াস ফ্রড অফিসের সাবেক পরিচালক রিচার্ড অল্ডারম্যান।
তিন দিনের সফরে বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা দুদক চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদ এ মুহূর্তে দেশের বাইরে থাকায় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁদের কোনো বৈঠক হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে থাকবে বলে জানা গেছে।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেল পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নিরপেক্ষতা ও পর্যাপ্ততার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। এ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক এ পর্যন্ত কী কী কাজ করেছে, বিশেষ করে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য চাইবে প্রতিনিধিদল। ভবিষ্যতে দুদকের সঙ্গে কিভাবে কাজ করবে এবং এ প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত সম্পর্কে দুদকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও প্রতিনিধিদল আলোচনা করবে।
দুদকের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ এ প্যানেলের এটি হবে প্রথম বৈঠক।
প্রতিনিধিদল ঢাকায় তিন দিন অবস্থান করবে। আগামী ১৬ অক্টোবর বিশেষজ্ঞ প্যানেল ঢাকা ত্যাগ করবে। দুদকের সঙ্গে এ প্যানেলের ধারাবাহিক আরো কয়েকটি বৈঠক হবে।
এর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ২৯ জুন ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। অভিযুক্ত সব সরকারি কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো, তদন্ত পর্যালোচনা করে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য একটি স্বাধীন এক্সটারনাল প্যানেল গঠন করাসহ চার শর্ত পূরণ না করায় ঋণ চুক্তি বাতিল করে সংস্থাটি। পরবর্তী সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব শর্ত পূরণ করায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আবার পদ্মা সেতু প্রকল্পে নতুন করে সম্পৃক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্বব্যাংক গঠিত এ প্যানেল বাংলাদেশ ও দুদকের জন্য বিশাল সুযোগ। দুদকের উচিত হবে বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে সর্বাত্মক সহায়তা করা। কারণ দুদক সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দুদককে সঠিকভাবে তদন্ত পরিচালনা করতে হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষজ্ঞদল।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দুদকের এ তদন্তের মাধ্যমে দুটি বিষয় নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। প্রথমত, দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হবে। আর দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত না হলে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে কথা বলা সহজ হবে। একই সঙ্গে বহুজাতিক এ সংস্থার বিচার দাবি করতে পারবে সরকার।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডায়ও তদন্ত হচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুই সংস্থার প্রতিবেদনে যদি মিল না থাকে, তাহলে আবার সমস্যা তৈরি হবে। তাই দুদককে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এবং সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে তদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যরা প্রথমে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. বদিউজ্জামান, কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর দুদকের অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা।
বিশ্বব্যাংক প্যানেলের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে গত সপ্তাহে দুদকের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন কর্মকর্তারা। বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কী ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া গেছে, কতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে- এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্যানেলের কাছে সব তথ্য উপস্থাপন করতে দুদক শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে
দুদকের চার সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান কমিটিতে রয়েছেন সিনিয়র উপপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, এ এস এম আবদুল আল-জাহিদ, গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও মির্জা জাহিদুল আলম। এ টিমকে সার্বিকভাবে সহায়তা করবেন মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) খোন্দকার আমিনুর রহমান।
কমিটির একজন সদস্য এর আগে জানিয়েছিলেন, পদ্মা সেতু বিষয়ে দুদক নতুন করে তদন্ত শুরু করবে। বিশ্বব্যাংকের তদন্তদল যে ধরনের তথ্য-উপাত্ত চাইবে, তা তাদের সরবরাহ করা হবে। দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর উচ্চপর্যায়ের যেসব ব্যক্তিকে আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, সেসব তথ্যও বিশ্বব্যাংকের তদন্তদলকে দেখানো হবে। তদন্তদল চাইলে আবারও যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেবে দুদক।
দুদক এর আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক প্রধান আইনজীবী লুই গ্যাবরিয়েল মোরেনো ওকাম্পোর বিশ্বব্যাংকের নতুন এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই বিশেষজ্ঞদলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন হংকংয়ের দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন কমিশনের সাবেক কমিশনার টিমোথি টং এবং যুক্তরাজ্যের সিরিয়াস ফ্রড অফিসের সাবেক পরিচালক রিচার্ড অল্ডারম্যান।
No comments